মুহিব-আলীপুরের যুদ্ধ

মুহিব-আলীপুরের যুদ্ধ ১৭৪৫ সালের ১৪ নভেম্বর বর্তমান ভারতের বিহার রাজ্যের মুহিব-আলীপুর নামক স্থানে বাংলার নবাব আলীবর্দী খানের সৈন্যবাহিনী এবং প্রথম রঘুজী ভোঁসলেমীর হাবিবের নেতৃত্বাধীন মারাঠা বাহিনীর মধ্যে সংঘটিত হয়[1]। যুদ্ধে মারাঠারা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়[1]

মুহিব-আলীপুরের যুদ্ধ
মূল যুদ্ধ: বর্গির হাঙ্গামা এবং বাংলায় মারাঠা আক্রমণ (১৭৪৫–১৭৪৯)
তারিখ১৪ নভেম্বর ১৭৪৫[1]
অবস্থানমুহিব-আলীপুর, বিহার প্রদেশ, বাংলা (বর্তমান মুহিব-আলীপুর, বিহার, ভারত)
ফলাফল বাংলার নবাবের বিজয়[1][2]
যুধ্যমান পক্ষ
বাংলা মারাঠা সাম্রাজ্য
সেনাধিপতি
আলীবর্দী খান প্রথম রঘুজী ভোঁসলে[1]
মীর হাবিব
শক্তি
অজ্ঞাত ১৪,০০০[1]
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি
অজ্ঞাত অজ্ঞাত

পটভূমি

১৭৪৫ সালে নাগপুরের মহারাজা প্রথম রঘুজী ভোঁসলে বাংলায় আফগান বিদ্রোহের সুযোগ নিয়ে বাংলা আক্রমণ করেন[1]। বাংলার নবাব আলীবর্দী খান এসময় আফগান বিদ্রোহ দমনে ব্যস্ত থাকায় তিনি মারাঠাদের প্রতিরোধ করতে পারেন নি[1]। এ সুযোগে রঘুজীর মারাঠা সৈন্যরা একের পর এক উড়িষ্যা, মেদিনীপুর, বর্ধমান এবং বীরভূম দখল করে নেয়[1], এবং বিহার দখল করার জন্য অগ্রসর হয়।

যুদ্ধের ঘটনাবলি

মারাঠাদের বিহারের দিকে অগ্রসর হওয়ার সংবাদ পেয়ে নবাব আলীবর্দীও তাদের অনুসরণ করে বিহারে আসেন[1]। বিহারের মুহিব-আলীপুর নামক স্থানে আলীবর্দীর বাহিনী মারাঠাদের ধরে ফেলতে সক্ষম হয়। নবাব মারাঠা বাহিনীকে আক্রমণ করেন এবং মারাঠারা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়[1]

ফলাফল

মুহিব-আলীপুরে পরাজয়ের পর মারাঠারা বিহার থেকে পশ্চাৎপসরণ করতে বাধ্য হয়[1][2]। ফলে তাদের বিহার দখলের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যায়। এরপর মীর হাবিবের পরামর্শে রঘুজী মুর্শিদাবাদ আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন[1][2]

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. ড. মুহম্মদ আব্দুর রহিম, (বাংলাদেশের ইতিহাস), আলীবর্দী ও মারাঠা আক্রমণ, পৃ. ২৯৩–২৯৯
  2. "Maratha raids into Bengal"। ১৮ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৭
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.