ডেভিড দে গিয়া

ডেভিড দে গিয়া কিন্তানা (ইংরেজি: David de Gea, স্পেনীয় উচ্চারণ: [daˈβið ðe ˈxea kinˈtana]; জন্ম ৭ নভেম্বর ১৯৯০) একজন স্প্যানিশ পেশাদার ফুটবলার যিনি প্রিমিয়ার লীগ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে একজন গোলরক্ষক হিসেবে খেলে থাকেন। মাদ্রিদে জন্মানো দে গিয়া ১০ বছর বয়সে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে তার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং ২০০৯ সালে সিনিয়র টিমে খেলার আগ পর্যন্ত তাদের একাডেমীতে বেড়ে উঠেন। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের প্রধান গোলরক্ষক হয়ে উঠার পর থেকে তিনি তার দলকে ২০১০ উয়েফা ইউরোপা লীগ ও ২০১০ সুপার কাপ জিতিয়েছেন। তার পারফর্মেন্সর মাধ্যমে তিনি ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দৃষ্টি আকৃষ্ট করতে সক্ষম হন যারা তাকে ২০১১ সালের জুনে নিজেদের দলে নিয়ে আসে। তিনি স্পেন অনুর্ধ-২১ দলের অধিনায়কও ছিলেন।

ডেভিড দে হিয়া
২০১৭ সালে স্পেনের হয়ে দে হিয়া
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম ডেভিড দে হিয়া কিন্তানা[1]
জন্ম (1990-11-07) ৭ নভেম্বর ১৯৯০
জন্ম স্থান মাদ্রিদ, স্পেন
উচ্চতা ১.৯২ মি (৬ ফু ৪ ইঞ্চি)[2]
মাঠে অবস্থান গোলরক্ষক
ক্লাবের তথ্য
বর্তমান ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
জার্সি নম্বর
যুব পর্যায়ের খেলোয়াড়ী জীবন
২০০১–২০০৮ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ
জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ী জীবন*
বছর দল উপস্থিতি (গোল)
২০০৮-২০০৯ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ বি ৩৫ (০)
২০০৯–২০১১ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ৫৭ (০)
২০১১– ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ২৩৪ (০)
জাতীয় দল
২০০৪ স্পেন অনুর্ধ-১৫ ১২ (০)
২০০৭ স্পেন অনুর্ধ-১৭ ১৫ (০)
২০০৭–২০০৯ স্পেন অনুর্ধ-১৯ ১৫ (০)
২০০৯ স্পেন অনুর্ধ-২০ (০)
২০০৯–২০১৩ স্পেন অনুর্ধ-২১ ২৭ (০)
২০১২ স্পেন অনুর্ধ-২৩ (০)
  • পেশাদারী ক্লাবের উপস্থিতি ও গোলসংখ্যা শুধুমাত্র ঘরোয়া লিগের জন্য গণনা করা হয়েছে এবং ১৫:৫২, ২১ ডিসেম্বর ২০১৩(UTC) তারিখ অনুযায়ী সঠিক।
† উপস্থিতি(গোল সংখ্যা)।

ক্লাব ক্যারিয়ার

অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ

দে গিয়া ১০ বছর বয়সে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে যোগ দেন। তিনি তার ২য় মৌসুম সেগুন্দা ডিভিশন বি তে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ(বি) এর হয়ে খেলেন।অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের প্রধান গোলরক্ষক সার্জিও অ্যাছেঞ্জো ২০০৯ ফিফা অনুর্ধ ২০ বিশ্বকাপে ডাক পেলে দে গিয়াকে দলের ২য় গোলরক্ষক রবার্তোর বিকল্প হিসেবে সিনিয়র টিমে নেয়া হয়। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে দে গিয়ার অভিষেক ঘটে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ সালে, ১৮ বছর বয়সে। ২০০৯-১০ সালের উয়েফা চ্যাম্পিয়ান্স লীগে এফসি পোর্তোর বিপক্ষে ওই ম্যাচটিতে তিনি ২৭ মিনিটে চোটপ্রাপ্ত গোলরক্ষক রবার্তোর বদলী হিসেবে নামেন;ম্যাচটিতে তিনি ২ গোল হজম করেন যার ফলশ্রুতিতে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ২-০ গোলে হেরে যায়।[3]

রবার্তোর ইনজুরির ফলে ওই ম্যাচের ৩ দিন পর লা লিগায় রিয়াল জারাগোজার বিরুদ্ধে দে গিয়ার অভিষেক ঘটে। ওই ম্যাচে তিনি ডি-বক্সে ফাউল করার কারনে জারাগোজা একটি পেনাল্টি পায়, যদিও তিনি তা ঠেকিয়ে দেন এবং ঘরের মাঠে নিজের দলকে ২-১ গোলে জয় পেতে সহায়তা করেন।[3] দলের প্রধান গোলরক্ষক অ্যাছেঞ্জোর খারাপ পারফর্মেন্স ও দলের নতুন ম্যানেজার গিগে ফ্লোরেসের আসার পর দে গিয়া ২০০৯-১০ মৌসুমে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের প্রধান গোলরক্ষক হয়ে যান। ওই মৌসুমে তিনি ২ টি ম্যাচে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন।[4] এছাড়াও তিনি ২০০৯-১০ মৌসুমে ইউরোপা লীগ জয়ী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে ৮ টি ম্যাচে মাঠে নামেন যার মধ্যে ফাইনালে ফুলহামের বিরুদ্ধে ২-১ গোলে জয়ের ম্যাচটিও অর্ন্তভুক্ত[5]

দে গিয়া ২০১০-১১ মৌসুমেও ভাল সূচনা করেন এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে ২০১০ উয়েফা সুপার কাপ জিততে সাহায্য করেন। ইন্টার মিলানের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জেতা ওই ম্যাচে তিনি ৯০ মিনিটে দিয়াগো মিলিতোর পেনাল্টি সেভ করেন।[6] ওই মৌসুমের বাকি সময়টুকু তিনি দলের প্রধান গোলরক্ষক হিসেবে খেলেন যাতে অ্যাটলেটিকো লা লিগায় ৭ম স্থান লাভ করেন।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

২০১১-১২ মৌসুম

২০১১ সালের প্রথমার্ধে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রধান গোলরক্ষক ভ্যান ডার স্যারের অবসর ঘোষণার পর কে তার উত্তরসূরি হবেন এই নিয়ে অনেক জল্পনা কল্পনা চলতে থাকে, যার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন ডেভিড দে গিয়া[7] ২৪ মে জুভেন্টাসের বিরুদ্ধে গ্যারি নেভিলের টেস্টিমোনিয়াল ম্যাচের পর(ক্লাবে ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে খেলোয়াড়ের সম্মানার্থে খেলা ম্যাচ) ইউনাইটেড ম্যানেজার স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন দাবি করেন যে তারা দে গিয়াকে ওল্ড ট্রাফোর্ডে নিয়ে আসার জন্য প্রয়োজনীয় চুক্তি সম্পন্ন করেছেন, যদিও দে গিয়ার প্রতিনিধি ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করে এবং দে গিয়া বলেন যে ২০১১ উয়েফা অনুর্ধ-২১ চ্যাম্পিয়নশিপের আগে তিনি এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত জানাবেন না[8] ওই টুর্নামেন্টে স্পেনের জয়লাভ করার পর, ২৭ জুন দে গিয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য ম্যানচেস্টারে দেখা যায়[9] এর পর দিন তিনি জানান যে ইউনাইটেড তাকে চুক্তি জন্য প্রস্তাব করেছে। ২৯ জুন নিশ্চিত হওয়া যায় যে তার ট্রান্সফার ফি ছিল £১৭.৮ মিলিয়ন যা যেকোন গোলরক্ষকের জন্য একটি ব্রিটিশ রেকর্ড।[10]

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলছেন দে গিয়া, মে ২০১২

দে গিয়া ২৩ জুলাই ২০১১ সালে শিকাগো ফায়ারের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে প্রথম মাঠে নামেন; খেলায় ইউনাইটেড ৩-১ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করে। প্রতিযোগিতাপুর্ন খেলায় দে গিয়ার অভিষেক ঘটে ৭ই আগস্ট, ইউনাইটেডের নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির বিরুদ্ধে কমিউনিটি শিল্ড কাপের ম্যাচে। উক্ত ম্যাচে জুলিয়ন লেসকট ও এডিন জেকোর গোলে সিটি ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলেও ইউনাইটেড শেষপর্যন্ত ৩-২ ব্যবধানে ম্যাচটি জিতে নেয়।[11] প্রিমিয়ার লীগে তার অভিষেক ঘটে ওয়েস্ট ব্রমের বিরুদ্ধে। উক্ত খেলায় তিনি সেন লং এর একটি দুর্বল শট ঠেকাতে ব্যর্থ হন, এরপরেও ইউনাইটেড ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতে নেয়।[12] টটেনহামের বিরুদ্ধে ওল্ড ট্রাফোর্ডে নিজের অভিষেক ম্যাচে ইউনাইটেডের হয়ে তার প্রথম ক্লিন শিট অর্জন করেন। ওই খেলায় তিনি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সেভ করেন যার ফলস্বরুপ খেলাটি ইউনাইটেড ৩-০ গোলে জিতে নেয়।[13] এর ৬ দিন পরে ইউনাইটেডের পরবর্তী খেলায় দে গিয়া আর্সেনালের অধিনায়ক ভ্যান পার্সির নেয়া পেনাল্টি রুখে দেন যা ইউনাইটেডের ১-০ গোলের লিডকে নাকচ করে দিতে পারত। উক্ত ম্যাচে তিনি ভ্যান পার্সি ও আরশাভিনের বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা নস্যাৎ করে দেন এবং ইউনাইটেড খেলাটিতে আর্সেনালকে ৮-২ গোলে গুড়িয়ে দেয়।[14] ১৮ই সেপ্টেম্বর ইউনাইটেড ঘরের মাঠে চেলসিকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে;ওই খেলায় তিনি কয়েকটি গোল ঠেকিয়ে দেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল রামিরেজের প্রচেষ্টা যেখানে রামিরেজকে শুধুমাত্র ফাকা গোলপোস্টে বল মারতে হত, কিন্তু সেইসময় দে গিয়া খুব দ্রুততার সাথে তার কাছে চলে আসেন এবং গোলটি রক্ষা করেন। দে গিয়া তার এই উন্নতির ধারা পরবর্তী খেলাগুলোয় বজায় রাখেন।[15]

দে গিয়ার উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগে অভিষেক ঘটে ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০১১ সালে ঘরের মাঠে এফসি বাসেলের বিরুদ্ধে; খেলাটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়। ২৩ অক্টোবর ২০১১ সালে ইউনাইটেড ঘরের মাঠে ১৯৫৫ সালের পর সবচেয়ে বড় ৬-১ ব্যবধানে পরাজিত হয় নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির সাথে,যেই খেলায় দে গিয়া ইউনাইটেডের গোলরক্ষক ছিলেন।[16] ২০১২ সালের জানুয়ারিতে দে গিয়ার হাইপেরপিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ পায়, যদিও এটি তার পারফর্মেন্সে প্রভাব ফেলছিল না, ২০১২ এর গ্রীষ্মে তার চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়[17][18] প্রিমিয়ার লীগে ব্লাকবার্ন রোভের্সের বিরুদ্ধে ৩-২ গোলে হেরে যাওয়া খেলায় দে গিয়া গোলরক্ষক ছিলেন। ইউনাইটেডের ওই হারের জন্য বেশিরভাগ মিডিয়া দে গিয়াকে দায়ী করেন। ওই ম্যাচের পর দে গিয়া দলে তার জায়গা হারান দলের ২য় গোলরক্ষক লিন্ডেগার্দের কাছে, যদিও লিন্ডেগার্দের ইনজুরির কারনে দে গিয়া পুনরায় দলে ফিরে আসেন এবং ভাল পারফর্মেন্সের মাধ্যমে দলে তার জায়গা সুসংহত করেন। ইউনাইটেডের হয়ে দে গিয়া সবচেয়ে ভাল পারফর্মেন্স দেখান অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে, যদিও ম্যাচটি ইউনাইটেড ৩-২ গোলে হেরে যায়। ওই ম্যাচের পর ডি গিয়া দলের রক্ষণভাগের সমালোচনা করেন। ওই মৌসুমে তিনি প্রিমিয়ার লীগের সকল গোলরক্ষকের মধ্যে শটের বিপরীতে সবচেয়ে বেশি সেভ করার কৃতিত্ব অর্জন করেন, যা ছিল প্রায় ৭৭.৯ শতাংশ।[19]

২০১২-১৩ মৌসুম

২০১২ সালে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে খেলার কারনে দে গিয়া ইউনাইটেডের প্রাকমৌসুম সফরে যেতে পারেননি। কিন্তু তিনি ইউনাইটেডের ২০১২-১৩ মৌসুমের প্রথম খেলায় এভারটনের বিপক্ষে মাঠে নামেন। এই ম্যাচে দে গিয়ার কিছু অবিশ্বাস্য শেভের পরও ইউনাইটেড ম্যাচটি ১-০ ব্যবধানে হেরে যায়।[20] ফুলহামের বিরুদ্ধে এর পরের ম্যাচেও তিনি কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সেভ করেন; খেলায় ভিদিচের আত্মঘাতী গোলের পরও ইউনাইটেড ৩-২ গোলে জয়ী হয়[21]

৮ই ডিসেম্বর ২০১২ সালে, ম্যানচেস্টার সিটির সাথে খেলার আগের দিন প্রাক্তন ইউনাইটেড গোলরক্ষক অ্যালেক্স স্টিপনি এই মত দেন যে লিন্ডেগার্দের চেয়ে দে গিয়া “অধিক সম্ভবনাময়”।[22] তার ওই ভাবনা কে যথার্থ প্রমাণ করেন তার পরের দিন, সিটির বিরুদ্ধে খেলায় যেখানে তিনি পর পর কয়েকটি সেভ করেন এবং ইউনাইটেডকে তাদের নগরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ৩-২ গোলে জয়লাভ করতে সহায়তা করেন।[23]

সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে ওল্ড ট্রাফোর্ডে এর ম্যাচে পরের ম্যাচেও তিনি ভাল খেলেন[24][25] ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ সালে,২০১২-১৩ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে সান্টিয়াগো বার্নাব্যু তে ১-১ গোলে ড্র হওয়া খেলায় কয়েকটি দুর্দান্ত সেভ করেন [26] এবং তার এই পার্ফরমেন্সে ইউনাইটেড ম্যানেজার স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন তার ভূয়সী প্রশংসা করেন[27]

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ সালে, তিনি ইউনাইটেডের হয়ে টানা ২টি ক্লিন শিট অর্জন করে যা ইউনাইটেডর শিরোপা দৌড়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। [28][29][30]

তার এই ভাল পারফর্মেন্সের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি “পিএফএ প্রিমিয়ার লীগ টিম অফ দ্যা ইয়ার” দলে জায়গা করে নেন। ইউনাইটেডকে শিরোপা জেতানোর পথে এই স্বীকৃতি ইংলিশ ফুটবলে তার একজন তারকা ফুটবলার হয়ে উঠার নিদর্শন বহন করে।[31] দে গিয়ার এই মৌসুম ইউনাইটেডের হয়ে প্রথম প্রিমিয়ার লীগ মেডেল প্রাপ্তির মাধ্যমে শেষ হয়। তিনি এই মৌসুমে ২৮ খেলায় ১১টি ক্লিন শিট অর্জন করেন।

২০১৩-১৪ মৌসুম

এই মৌসুমের প্রথম ম্যাচে তিনি ইউনাইটেডের হয়ে মাঠে নামেন সোয়ানসি সিটির বিরুদ্ধে; সোয়ানসির ঘরের মাঠ লিবার্টি স্টেডিয়ামে হওয়া এই খেলায় ইউনাইটেড ৪-১ গোলে জয়লাভ করে[32] ৫ অক্টোবর ২০১৩ সালে, সান্ডারল্যান্ডের মাঠে দে গিয়ার একটি দুর্দান্ত সেভের ফলে ইউনাইটেড ২-১ গোলে সান্ডারল্যান্ড কে পরাজিত করে যা ইউনাইটেডের প্রাক্তন গোলরক্ষক পিটার শিমেইছিলের চোখে তার দেখা প্রিমিয়ার লীগে অন্যতম সেরা সেভের একটি।[33]

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার

২০১৩ সালে স্পেন অনুর্ধ-২১ দলের হয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দে গিয়া

দে গিয়া স্পেন অনুর্ধ-১৭ দলকে ২০০৭ উয়েফা অনুর্ধ-১৭ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জেতাতে ,[34] এবং ২০০৭ ফিফা অনুর্ধ-১৭ বিশ্বকাপে রানার্স-আপ হওয়াতে সয়হতা করেন।[4] ২০১০ সালের মে মাসে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে তার ভাল খেলার ফলস্বরূপ তৎকালীন স্পেন জাতীয় দলের ম্যানেজার ভিসেন্ত দেল বস্ক ২০১০ বিশ্বকাপের জন্য ৩০ সদস্যের প্রাথমিক দলে তাকে ডাক দেন;[34] যদিও তিনি মুল দলে জায়গা পাননি।[4] ২০১১ সালে উয়েফা অনুর্ধ-২১ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী স্পেন দলের তিনি একজন সদস্য ছিলেন। ১৫ই মে ২০১২ সালে, চীন এবং সার্বিয়ার বিরুদ্ধে দুইটি খেলার জন্য তিনি জাতীয় দলে ডাক পান।[4] ২০১২ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য তিনি দলের ম্যানেজার ভিসেন্ত দেল পরিকল্পনায় ছিলেন, যদিও তিনি ২৩ সদস্যের মুল দলে জায়গা করে নিতে পারেননি। এর বদলে তিনি ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে স্পেন ফুটবল দলে অর্ন্তভুক্ত হন।[35]

ক্লাব পরিসংখ্যান

ক্লাব মৌসুম লীগ কাপ লীগ কাপ ইউরোপ অন্যান্য সর্বমোট
উপস্থিতি গোল উপস্থিতি গোল উপস্থিতি গোল উপস্থিতি গোল উপস্থিতি গোল উপস্থিতি গোল
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ২০০৯-১০ ১৯৩৫
২০১০-১১ ৩৮৪৯
সর্বমোট ৫৭১২১৪৮৪
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ২০১১-১২ ২৯৩৯
২০১২-১৩ ২৮৪১
২০১৩-১৪ ১৯২৮
সর্বমোট ৭৬২১১০৮
ক্যারিয়ার সর্বমোট ১৩৩১৮৩৫১৯২

২১ ডিসেম্বর ২০১৩ পর্যন্ত সঠিক[36]

সম্মাননা

ক্লাব

অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ
  • উয়েফা ইউরপা লীগ (১): ২০০৯-১০
  • উয়েফা সুপার কাপ (১): ২০১০
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
  • প্রিমিয়ার লীগ (১): ২০১২-১৩
  • এফএ কমিউনিটি শিল্ড (২): ২০১১, ২০১৩

আন্তর্জাতিক

স্পেন অনুর্ধ-১৭
  • উয়েফা অনুর্ধ-১৭ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ (১): ২০০৭
স্পেন অনুর্ধ-২১
  • উয়েফা অনুর্ধ-২১ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ (২): ২০১১,২০১৩

ব্যাক্তিগত

  • উয়েফা অনুর্ধ-২১ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ টিম অফ দ্যা টুর্নামেন্ট (২): ২০১১,২০১৩[37]
  • প্রিমিয়ার লীগ পিএফএ টিম অফ দ্যা ইয়ার (১): ২০১২-১৩

তথ্যসূত্র

  1. "David de Gea"transfermarkt.co.uk। Transfer Markt। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১১
  2. "Player Profile: David de Gea"। Premier League। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৩
  3. Bryan, Paul (৫ অক্টোবর ২০০৯)। "De Gea stands tall after whirlwind bow"UEFA.com। Union of European Football Associations। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১১
  4. "De Gea factfile"Sky Sports। BSkyB। ২৭ জুন ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০১১
  5. "Atletico Madrid 2 – 1 Fulham"BBC Sport। British Broadcasting Corporation। ১২ মে ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০১০
  6. "Slick Atlético seal Super Cup success"UEFA.com। Union of European Football Associations। ২৭ আগস্ট ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১০
  7. "Manchester United close to signing keeper - David Gill"BBC Sport। British Broadcasting Corporation। ১৬ মে ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১১
  8. "De Gea denies Manchester United deal is imminent"BBC Sport। British Broadcasting Corporation। ২৬ মে ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১১
  9. Herbert, Ian (২৮ জুন ২০১১)। "£17.8m keeper De Gea set for United after medical"independent.co.uk। London: Independent Print। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১১
  10. "Manchester United confirm signing of David de Gea"BBC Sport। British Broadcasting Corporation। ২৯ জুন ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১১
  11. Bevan, Chris (৭ আগস্ট ২০১১)। "Man City 2-3 Man Utd"BBC Sport। British Broadcasting Corporation। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০১১
  12. Chowdhury, Saj (১৪ আগস্ট ২০১১)। "West Brom 1-2 Man Utd"BBC Sport। British Broadcasting Corporation। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১১
  13. "Young Reds run free to deny Spurs"soccernet.espn.go.com। ২২ আগস্ট ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১১
  14. "Man Utd 8-2 Arsenal"BBC Sport। British Broadcasting Corporation। ২৮ আগস্ট ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১১
  15. Da Silva, Michael (২৪ আগস্ট ২০১১)। "Stoke 1-1 Man Utd"BBC Sport। British Broadcasting Corporation। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১১
  16. McNulty, Phil (২৩ অক্টোবর ২০১১)। "Man Utd 1-6 Man City"BBC Sport। British Broadcasting Corporation। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১১
  17. Taylor, Daniel (১৯ জানুয়ারি ২০১২)। "Manchester United's error-prone David de Gea may need eye surgery"The Guardian। London: Guardian News and Media।
  18. Man Utd's De Gea faces eye surgery
  19. "Garth Crooks's team of the season"। BBC Sport। ১৩ মে ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০১২
  20. McNulty, Phil (২০ আগস্ট ২০১২)। "Everton 1-0 Man Utd"BBC Sport। British Broadcasting Corporation। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১২
  21. Magowan, Alistair (২৫ আগস্ট ২০১২)। "Man Utd 3-2 Fulham"BBC Sport। British Broadcasting Corporation। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১২
  22. O'Donnell, Dale (৭ ডিসেম্বর ২০১২)। "Alex Stepney joins the keeper debate between Anders Lindegaard & David de Gea" |ইউআরএল= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)StrettyNews। STRETTYNEWS। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০১২
  23. McCauley, Kevin (৯ ডিসেম্বর ২০১২)। "Manchester City vs. Manchester United: Final score 3-2, Robin van Persie wins match marred by crowd trouble"sbnation। SBNATION। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০১২
  24. Mathieson, Stuart (১৫ ডিসেম্বর ২০১২)। "Manchester United 3 Sunderland 1: Premier League match report"MENmedia। MANCHESTEREVENINGNEWS। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১২
  25. Jaffa, Jay (১৫ ডিসেম্বর ২০১২)। "Manchester United 3-1 Sunderland: Rooney & Van Persie restore six-point gap over City"goal.com। GOAL.COM। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১২
  26. "Real Madrid 1-1 Man Utd" BBC Sport. 13 February 2013. Retrieved 14 February 2013.
  27. "Real Madrid v Man Utd: Sir Alex Ferguson praises David de Gea" BBC Sport. 13 February 2013. Retrieved 14 February 2013.
  28. Magowan, Alistair (২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩)। "BBC Sport - QPR 0-2 Manchester United"bbc.co.uk। BBC.CO.Uk। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৩
  29. Ornstein, David (২ মার্চ ২০১৩)। "BBC Sport - Manchester United 4-0 Norwich"bbc.co.uk। BBC.CO.Uk। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৩
  30. Magowan, Alistair (১৬ মার্চ ২০১৩)। "BBC Sport - Manchester United 1-0 Reading"bbc.co.uk। BBC.CO.Uk। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৩
  31. http://www.bbc.co.uk/sport/0/football/22331030
  32. "Swansea 1-4 Man Utd" BBC Sport. 17 August 2013. Retrieved 18 September 2013.
  33. "Schmeichel lauds De Gea save" Manchester United. 05 October 2013. Retrieved 06 October 2013.
  34. Bandini, Paolo (২৫ মে ২০১১)। "The 'New van der Sar' fulfils his destiny"guardian.co.uk। London: Guardian News and Media। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১১
  35. "Euro 2012 trio Mata, Alba & Martinez in Spain Olympic squad"BBC Sport। British Broadcasting Corporation। ৫ জুলাই ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১২
  36. "David de Gea"StretfordEnd.co.uk। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৩
  37. "Thiago leads all-star squad dominated by Spain"। UEFA। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৩

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.