চাকমা

চাকমা তথা চাংমা বাংলাদেশের একটি প্রধান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। । বাংলাদেশ সংবিধানের ২৩(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বলা হয় যে,বাংলাদেশে কোনো আদিবাসী নেই; বরং মূল বাঙালি জনগোষ্ঠীর বিপরীতে এই অ-বাঙালি জনসমষ্টিকে - উপজাতি; ক্ষুদ্র জাতিসত্তা; নৃগোষ্ঠী নামে অভিহিত করা হয়েছে। তবে, এই অবাঙালি জনগোষ্ঠী জাতিসংঘ আদিবাসী অধিকার ঘোষণা ২০০৭ এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ১০৭ ও ১৬৯ নং কনভেনশনের ঘোষণা অনুযায়ী নিজেদের আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি আদায়ের কর্মসূচী পালন করে আসছে। চাকমারা মঙ্গোলীয় জাতির একটি শাখা। বর্তমান মিয়ানমারের আরাকানে বসবাসকারী ডাইংনেট জাতিগোষ্ঠীকে চাকমাদের একটি শাখা হিসেবে গণ্য করা হয়। এবং এরা প্রধানত থেরাবাদ বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী। বুদ্ধপুর্ণিমা ছাড়া তাদের অন্যতম প্রধান আনন্দ উৎসব হচ্ছে বিজু

চাকমা তথা চাংমা
একজন চাকমা নারী
মোট জনসংখ্যা
~৯ লক্ষ(প্রায়)
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চলসমূহ
বেশিরভাগ বাংলাদেশ, ভারত এবং মিয়ানমারে বসবাস করে
ভাষা
চাংমা বা চাকমা
ধর্ম
থেরাবাদ বৌদ্ধ

বাংলাদেশের রাঙামাটিখাগড়াছড়িতে এদের সংখ্যা বেশী। তবে বান্দরবানেও সংখ্যায় চাকমাদের উপস্থিতি রয়েছে। চাকমা জনগোষ্ঠীর কিছু অংশ বর্তমান ভারতের উত্তর-পূর্বাংশে তথা ত্রিপুরা ও অরুণাচল রাজ্যে বসবাস করছে। এছাড়া চাকমাদের বড় একটি অংশ অভিবাসন নিয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে। এদের প্রধান জীবিকা কৃষি কাজ। পার্বত্য চট্টগ্রামের সমতল অংশে স্বাভাবিক সেচ পদ্ধতিতে মৌসুমী কৃষি কাজ, এবং পাহাড়ি অঞ্চলে জুম চাষের মাধ্যমে চাকমা জনগোষ্ঠী বিভিন্ন খাদ্যশস্য ও রবিশস্য উৎপাদন করে থাকে।

চাকমাদের ভাষার নামও চাকমা (চাংমা)। চাকমাদের নিজস্ব বর্ণমালা রয়েছে। চাকমারা ৪৬টি গোজা ও বিভিন্ন গুত্তি বা গোষ্ঠীতে বিভক্ত। ১৯৯১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামে চাকমাদের সংখ্যা ২ লাখ ৩৯ হাজার ৪১৭ জন। তবে বর্তমানে তা তিন লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে ধারণা করা হয়। চাকমারা পূর্বে হরি ধর্মের অনুসারী হলেও পরবর্তীতে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করে। তবে বর্তমানে অনেকে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষা নিচ্ছে। চাকমারা জন্মান্তরবাদে বিশ্বাস করে। তারা বিশ্বাস করে ক্রমাগত সৎকর্ম সাধনের মাধ্যমে নির্বাণ লাভ করা যায়।

চাকমা শব্দটি সংস্কৃত শব্দ শক্তিমান থেকে আগত [1]. বর্মী রাজত্বের শুরুর দিককার সময়ে বর্মী রাজারা এই চাকমা নামকরনের প্রচলন করেন। তখনকার সময়ে বর্মী রাজারা, চাকমাদের রাজার পরামর্শক, মন্ত্রী এবং পালি ভাষার বৌদ্ধধর্মের পাঠ অনুবাদকের কাজে নিয়োগ প্রধান করতেন। রাজা কর্তৃক সরাসরি নিয়োগকৃত হওয়াতে বর্মী রাজ দরবারে চাকমারা বেশ প্রভাবশালী ছিলেন। বার্মায় প্রচলিত চাকমাদের নাম সংক্ষেপ "সাক" শব্দটি সংস্কৃত শব্দ শক্তিমানের বিকৃত রুপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এরই এক পর্যায়ে, জনগোষ্ঠীটির নাম "সাকমা" এবং পরবর্তীতে বর্তমান "চাকমা" নামটি গ্রহণযোগ্যতা পায়। [2]

মধ্যযুগে চাকমা জনগোষ্ঠী

১৫৪৬ সালে আরাকান রাজা মেং বেং বার্মার সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পরেন। যুদ্ধাবস্থায় "সাক" রাজা উত্তর দিক থেকে তৎকালীন আরাকান, অর্থাৎ আজকের কক্সবাজারের রামু আক্রমন করে দখল করে নেন। [3]

ডিয়েগো ডি এস্টোর, একজন পর্তুগীজ, প্রাচীন বংগ অঞ্চলের মানচিত্র তৈরি করেন। যা Descripção do Reino de Bengalla হিসেবে Quarta decada da Asia (Fourth decade of Asia) নামক বইয়ে João de Barros ১৬১৫ সালে প্রকাশ করেন। ঐ মানচিত্রে কর্ণফুলি নদীর পূর্বতীরে "চাকোমাস" নামে একটি অঞ্চলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ধারনা করা হয়, ঐ নির্দেশিত অঞ্চলটিই ছিল তখনকার চাকমা দের আবাসভূমি।

পরবর্তীকালে আরাকান রাজা মেং রাজাগ্রী (১৫৯৩-১৬১২) পর্তুগীজ মানচিত্রে উল্লেখ করা চাকোমাস অঞ্চলটি অধিকারে নেন। পর্তুগীজ বণিক Philip de Brito Nicote ১৬০৭ সালের এক চিঠিতে উল্লেখ করেন যে, মেং রাজাগ্রী নিজেকে আরাকান, চাকোমাস এবং বেংগল এর সবচেয়ে শক্তিশালী রাজা হিসেবে পরিচয় দেন। [4]

আরাকানীদের কাছে পরাজিত হয়ে চাকমা জনগোষ্ঠী বর্তমান পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে চলে আসেন এবং আলেক্যাদং, বর্তমান আলী কদম এ তাদের রাজধানী স্থাপন করেন। পরবর্তীতে আলেক্যাদং থেকে আরো উত্তরে সরে এসে বর্তমান চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, ফটিকছড়ি উপজেলায় বসতি স্থাপন করেন।

১৬১৬ সালে মুঘল সুবেদার শায়েস্তা খান, আরাকানীদের পরাজিত করে চট্টগ্রাম দখলে নেন। এবং চট্টগ্রামের নাম ইসলামাবাদ রাখেন। যাই হোক, ঐ সময় ও মুঘল সাম্রাজ্য চট্টগ্রামের সমতল অংশগুলোই নিয়ন্ত্রন করতো, এবং চাকমারা তখনো পর্যন্ত মুঘল সাম্রাজ্যের অন্তর্গত ছিলেন না।

তার কিছু সময় পর, মুঘলরা চাকমাদের কাছ থেকে চট্টগ্রামে ব্যবসা করার বিপরীতে খাজনা দাবি করতে থাকেন। এর ফলে মুঘলদের সাথে চাকমাদের বিরোধ শুরু হয়। [5]

পরবর্তীতে ১৭১৩ সালে চাকমা এবং মুগলদের মাঝে শান্তি স্থাপিত হয় এবং একটি দৃঢ় সম্পর্কের ও সূত্রপাত ঘটায় এই শান্তি স্থাপন। তারপর থেকে মুঘল সাম্রাজ্য আর কখনোই চাকমাদের কে তাদের বশ্যতা স্বীকারে বাধ্য করে নি। মুঘলরা একইসাথে চাকমা রাজা সুখদেব রায় কে পুরষ্কৃত করেন। সুখদেব রায় নিজের নামে রাজধানী স্থাপন করেন, যা আজো সুখবিলাস নামে পরিচিত। সেখানে আজো পুরনো রাজবাড়ির ধ্বংসাবশেষ এবং অন্যান্য প্রাচীন স্থাপনা রয়েছে। পরবর্তীতে রাজানগরে রাজধানী স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে যা চট্টগ্রাম জেলায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলার, রানীরহাটের রাজানগর হিসেবে পরিচিত।

বৃটিশ শাসনে চাকমা জনগোষ্ঠী

পলাশীর যুদ্ধের তিন বছর পরে, মুর্শিদাবাদের নতুন নবাব মীর কাশিম বৃটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীকে চট্টগ্রাম, বর্ধমান এবং মেদিনীপুর উপহার হিসেবে দিয়ে দেন। ৫ জানুয়ারী ১৭৬১ সালে, কোম্পানীর প্রতিনিধি হ্যারি ভেরেলস্ট চট্টগ্রামের শাসনভার সুবেদার মোহাম্মদ রেজা খানের কাছ থেকে গ্রহণ করেন।

তবে তখনো চাকমা রাজা শের দৌলত খান স্বাধীনভাবে তার রাজ্য পরিচালনা এবং মুঘলদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। এবং কোম্পানীর শাসন মেনে না নিয়ে কোম্পানী কর্তৃক ধার্য নির্ধারিত খাজনা প্রদানে বিরত ছিলেন। ফলে কোম্পানির সাথে একটি দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধের সূত্রপাত হয়, যা ১৭৮৭ সালপর্যন্ত চলেছিল।[6] কোম্পানী চাকমা রাজের বিরুদ্ধে চারটি যুদ্ধ পরিচালনা করেছিল। সেগুলো হল - ১৭৭০, ১৭৮০, ১৭৮২ এবং ১৭৮৫ সালের যুদ্ধ। যুদ্ধে কোম্পানী বিশেষ সুবিধে করতে না পারায় এবং চাকমা রাজ্যে বাণিজ্য অবরোধের ফলে সৃষ্ট সমস্যায় - দুই পক্ষই ১৭৮৫ সালে একটি শান্তি আলোচনা চালায়। চাকমা রাজের পক্ষে রাজা জানবক্স খান, শের দৌলত খানের পুত্র অংশ নেন। পরবর্তীতে ১৭৮৭ সালে কলকাতায় চাকমা রাজের সাথে কোম্পানীর একটি শান্তি চুক্তি সম্পন্ন হয়। চুক্তি অনুযায়ী চাকমা রাজা কোম্পানীর আধিপত্য মেনে নেওয়ার পাশাপাশি বছরে ৫০০ মণ তুলা দেওয়ার প্রতিশ্রতি দেন, বিনিময়ে কোম্পানী চাকমা রাজার আঞ্চলিক আধিপত্য মেনে নিয়ে বাণিজ্য অবরোধ তুলে নেয়। [7]

লর্ড কর্নওয়ালিস ও চাকমা রাজার মধ্যে সাক্ষরিত চুক্তির প্রধান অংশগুলো ছিল নিম্নরুপ[8] -

  • কোম্পানী জানবক্স খান কে চাকমাদের রাজা হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। এবং নিজ এলাকায় চাকমা রাজা রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব পালন করবেন।
  • বৃটিশ রাজ, চাকমা রাজ্যের স্বতন্ত্র সার্বভৌমত্ব কে মেনে নেবেন এবং একই সাথে সমতল থেকে অভিবাসনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।
  • চুক্তি অনুযায়ী চাকমা রাজা জানবক্স খান নিজ একাকায় শান্তি শৃংখলা রক্ষার্থে মূল দায়িত্ব পালন করবেন।
  • বৃটিশ রাজের সৈন্য চাকমা রাজ্যে নিয়োজিত থাকবে চাকমা রাজের রাজ্য অন্য পার্শ্ববর্তী জনগোষ্ঠীরর আক্রমন থেকে রক্ষার্থে। [9]

১৮২৯ সালে, হ্যালহেড, তখনকার চট্টগ্রামে কোম্পানির কমিশনার উল্লেখ করেন যে :

The hill tribes were not British subjects but merely tributaries and we recognized no right on our part to interfere with their internal arrangements. The near neighbourhood of a powerful and stable government naturally brought the Chief by degree under control and every leading chief paid to the Chittagong collector a certain tribute or yearly gifts. These sums were at first fluctuating in amount but gradually were brought to a specific and fixed limit, eventually taking the shape not as tribute but as revenue to the state.[10]

জানবক্স খান তার রাজ্যের রাজধানী রাজানগরে সরিয়ে নেন, যা বর্তমান রাংনীয়ার রানীরহাটে অবস্থিত। ১৮০০ সালে জানবক্স খানের মৃত্যুর পর তার পুত্র তব্বর খান রাজা হন, কিন্তু কিছু সময়ের ব্যবধানে তিনিও মারা গেলে, তার ছোট ভাই জব্বর খান রাজা হন। জব্বর খান ১০ বছর পর্যন্ত শাসন করেন। তার মৃত্যুর পর তারই সন্তান ধরম বক্স খান ১৮১২ সালে রাজা হন। ধরম বক্স খান ১৮৩২ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেন। ১৮৩২ সালে তার মৃত্যুর পর পুরুষ উত্তরাধিকারের অভাবে রাজ্য শাসনে অরাজকতা দেখা দেয়। ফলে কোম্পানীর হস্তক্ষেপে সুখলাল দেওয়ান কে অন্তর্বতীকালীন ম্যানেজার নিয়োগ দেয়া হয়। এই সময়কালে ধরম বক্স খানের বিধবা স্ত্রী রানী কালিন্দী কোম্পানীর কাছে রাজ্য পরিচালন ভার দেওয়ার আবেদন করেন। কোম্পানীর সরকার রানীর আবেদন গ্রহণ করে ১৮৪৪ সালে একটি আদেশ জারি করে। [11] ১৮৬৪ সালে নতুন খাজনা ধার্য করা হয়, যার পরিমান দাঁড়ায় বছরে ১১,৮০৩ টাকা।

সিপাহী বিদ্রোহের পরে ১৮৫৭ সালে বৃটিশ সরকার কোম্পানীর কাছ থেকে ভারত শাসন ভার নিয়ে নেয়, এর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের শাসনভার ও অন্তর্গত ছিল, যা তখনো পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে চট্টগ্রাম থেকে আলাদা করা হয় নি। তবে, বৃটিশ সরকার নতুন দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমানা নির্দেশ করে একটি প্রত্যাদেশ বাংলা ৬ শ্রাবন ১১৭০ সনে জারি করেন। প্রত্যাদেশ অনুযায়ী ফেনী নদী হতে শঙ্খ নদীর মধ্যবর্তী সকল পাহাড় এবং চট্টগ্রামের নিজামপুর রোড হতে কুকি হিলস পর্যন্ত অঞ্চল কে চাকমা রাজের সীমানাভুক্ত করা হয়। [12]

১৮৭৩ সালে রানী কালিন্দীর মৃত্যুর পর, তার প্রপৌত্র হরিশ চন্দ্র কারবারি চাকমা রাজা হিসেবে স্থলাভিষিক্ত হন এবং রায় বাহাদুর উপাধী প্রদান করা হয়। ইংরেজদের সাথে যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে চাকমা সামরিক বাহিনী ক্রমে দুর্বল হয়ে পরে।

কুকি জনগোষ্ঠী, যারা আরো উত্তরের অঞ্চলে স্বাধীন ভাবে বসবাস করত, তারা ১৮৪৭,১৮৪৮, ১৮৫৯ ও ১৮৬০ সালের দিকে ত্রিপুরা, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও রানী কালিন্দী শাসিত চাকমা অঞ্চলে একাধিকার আক্রমন চালায়। এর ফলশ্রুতিতে, আক্রান্ত এলাকা রক্ষা এবং চাকমা ভূখন্ড দখলে নেয়ার মানসিকতা থেকে বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর, হিল ট্রাক্ট রেগুলেশন থেকে চাকমা শাসিত অংশটির অপসারন এবং একজন সুপারিন্টেনডেন্ট নিয়োগের সুপারিশ করেন। এই সুপারিশগুলো ১৮৬০ সালের XXII নং আইনে পাশ করানো হয়, এবং তা একই বছরের ১৮ অগাস্ট থেকে আইন হিসেবে প্রয়োগ করা হয়। রানী কালিন্দী শাসিত চাকমা অঞ্চল কে প্রশাসনিক ভাবে চট্টগ্রাম থেকে আলাদা করে ফেলা হয়। এবং এই অঞ্চলের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে একজন সুপারিন্টেনডেন্ট নিয়োগ করা হয় যার সদর দপ্তর ছিল বর্তমান রাঙামাটি জেলার চন্দ্রঘোনায়। এই সুপারিন্টেনডেন্ট এর অধিভুক্ত এলাকাকে, তখন থেকেই প্রথম বারের মত চিটাগাং হিল ট্র‍্যাক্টস হিসেবে নির্দেশ করা হয়। সুপারিন্টেনডেন্ট নিয়োগের পরবর্তী কয়েক বছর শান্তি শৃংখলা বজায় রাখাটাই হয়ে দাড়ায় মূল কাজ।

১৮৬৯ সালে সুপারিন্টেনডেন্ট এর সদর দপ্তর চন্দ্রঘোনা থেকে রাঙামাটিতে স্থানান্তর করা হয়। স্থানান্তর করার আগেই সুপারিন্টেনডেন্ট পদটিকে ডেপুটি কমিশনারে রুপ দেয়া হয়। এবং তাকে এই অঞ্চলের রাজস্ব আদায় থেকে স্থানীয় শাসন ও বিচার ব্যবস্থার সর্বময় ক্ষমতা প্রধান করা হয়।

পার্শ্ববর্তী জনগোষ্ঠী গুলোর ক্রমাগত আক্রমন এবং বৃটিশ কর্মকর্তাদের চাপের মুখে চাকমাদের রাজধানী ১৮৭৪ সালে রাজানগর থেকে রাঙামাটি তে স্থানান্তরিত হয়। সেই সময় গুলোয়, পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রচুর পরিমানে তুলা উৎপাদিত হত, যা বৃটিশদের কাছে তাদের দেশের সুতার কলকারখানার কাঁচামাল বিবেচনায় পার্বত্য চট্টগ্রামের পূর্ণ নিয়ন্ত্রন অত্যন্ত গুরুত্ববহন করতো।

১৮৮১ সালের দিকে বৃটিশ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম কে তিনটি সার্কেলে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। এবং এই সার্কেলের নামমাত্র শাসকদের "সার্কেল চীফ" হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এই সার্কেল গুলো হল - চাকমা সার্কেল, বোমাং সার্কেল এবং মং সার্কেল। চাকমা সার্কেল চাকমাদের নিয়ে, আরাকানী বংশোদ্ভূত বোমাং প্রধানের দায়িত্বে বোমাং সার্কেল এবং আরাকানী ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী ও ত্রিপুরা অঞ্চলের অভিবাসীদের নিয়ে গঠিত হয় মং সার্কেল।

পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভাগ করার পিছনে মূল কারণ ছিল এই যে, বৃটিশ সরকার, এই অঞ্চলের অন্যান্য পাহাড়ি জনগোষ্ঠী দের কাছে চাকমা রাজার গ্রহণযোগ্যতাকে ভালো ভাবে নিতে পারছিলো না। উপরন্তু, বৃটিশ সরকার, এই অঞ্চলের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠায় ক্রমানয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছিলো। যার ফলে, বৃটিশ সরকার এই অঞ্চলে পূর্ণ নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠায় একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থার ভিত্তি আরোপ করে। যার অন্যতম উদ্দেশ্য গুলো ছিল -

  • চাকমা রাজের শাসন ক্ষমতার তদারকী এবং কতিপয় ক্ষমতার কাটছাঁট করা।
  • কুকী আক্রমনের হাত থেকে বৃটিশ কর্মকর্তা এবং বৃটিশ সম্পদ রক্ষা করা।
  • পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে শান্ত অবস্থা বজায় রাখা যাতে, এই অঞ্চলে তুলার উৎপাদন আরো বৃদ্ধি করানো যায়।

তিনটি আলাদা সার্কেল গঠন করার পরও পার্বত্য চট্টগ্রামে কুকী আক্রমন চলতে থাকে। এর মধ্যেই শেন্দু জনগোষ্ঠী ১৮৬৫ থেকে ১৮৮৮ সালের মাঝে পার্বত্য চট্টগ্রামে আক্রমন শানাতে থাকে। এর মধ্যে ১৮৭২ সালে লেফটেন্যান্ট স্টুয়ার্ড ও তার জরিপ দলের উপর হামলা অন্যতম। এই ক্রমাগত হামলার মুখে, ১৮৯০ সালে বাংলা ও আসাম এর বৃটিশ প্রশাসনের সহায়তায় লুসাই পাহাড় থেকে চট্টগ্রাম ও বার্মা পর্যন্ত সেনা অভিযান চালানো হয়। ফলশ্রুতিতে, স্বাধীন কুকীদের আবাস ভুমি বৃটিশ শাসনের অধীনে চলে আসে।

১ এপ্রিল ১৯০০ সালে, দক্ষিণ ও উত্তর লুসাই পাহাড় যা আগে পার্বত্য চট্টগ্রামের অংশ ছিল, তা আসাম প্রদেশের সাথে সংযুক্ত করা হয়।বর্তমানে লুসাই হিল ভারতের মিজোরাম রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত।

পার্বত্য চট্টগ্রামে ভাঙন নিশ্চিত ও চাকমা আধিপত্য খর্ব করার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি ১৯০০ প্রনয়নের মাধ্যমে, বৃটিশদের পক্ষে ডেপুটি কমিশনার এই চাকমা শাসিত অঞ্চলের পরিপূর্ন শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করেন।

পরবর্তীতে ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনে পার্বত্য চট্টগ্রাম কে ভারতে বৃটিশ শাসনের অন্তর্ভুক্ত না দেখিয়ে, স্বতন্ত্র এলাকা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

চাকমা জনগোষ্ঠীর বর্তমান অবস্থান

পার্শ্ববর্তী ভারতের মিজোরাম ও ত্রিপুরা অঞ্চলের চাকমাদের মতই আজকের দিনের বাংলাদেশী চাকমা জনগোষ্ঠী, বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের বহু আগে থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাস করে আসছে। তবে বাংলাদেশ অংশে ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে চাকমাদের ঐতিহ্যবাহী বাসভূমিতে সমতলের বাঙালিদেরকে সরকারী ব্যবস্থায় অভিবাসন - একটি আন্ত:সাম্প্রদায়িক সমস্যার সূত্রপাত ঘটায়। এমন আভিবাসনের বিরুদ্ধে চাকমাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য জুম্ম জাতিগোষ্ঠীর প্রতিবাদী অবস্থানের বিপরীতে বাংলাদেশের সরকারগুলো রাজনৈতিক পন্থা অবলম্বন না করে দমন নীতি গ্রহণ করে। তবে ১৯৯৭ সালের ২ জানুয়ারিতে সাক্ষরিত পার্বত্য চুক্তি পূর্বেকার অবস্থার পরিবর্তন সাধনে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়।

চাকমা জনগোষ্ঠীর সাথে জবরদস্তি মূলক আচরনের সূত্রপাত ঘটে পূর্ব পাকিস্তান আমলে বহু চাকমা গ্রাম ও তাদের আবাদী ভূমি ডুবিয়ে দিয়ে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ব্যারেজ নির্মাণের মাধ্যমে। এর ফলে ১৯৬৪- ১৯৬৯ সালের মধ্যবর্তী সময়ে, চাকমা জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ - বসতভিটা ও আবাদের জমি হারিয়ে ভারতের অরুনাচল রাজ্যের দিয়ূন অঞ্চলে শরণার্থী হিসেবে অভিবাসন গ্রহণ করতে বাধ্য হন।

১৯৭২ এর ফেব্রুয়ারিতে, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একটি যৌথ বিবৃতি প্রদান করেন। এই যৌথ বিবৃতির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল - ১৯৫৫ সালের ভারতের নাগরিকত্ব আইনের ৫(১)(ক) ধারানুযায়ী, ভারত সরকার কর্তৃক অরুনাচল রাজ্যে অভিবাসিত চাকমাদের নাগরিকত্ব দেয়া। তবে এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে তৎকালীন অরুনাচল রাজ্য সরকার মতামত দেয়া থেকে বিরত থাকে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অরুনাচল রাজ্যে তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনে পুনর্বাসিত করা হয়। ভারতের নির্বাচন কমিশন পুনর্বাসিত চাকমাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে এবং ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য অরুনাচল রাজ্য কনস্টিটিউয়েন্সিতে নতুন নীতিমালা প্রনয়ন করেন।

২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের সুপ্রিমকোর্ট একটি রায় প্রদান করেন। তাতে, অরুনাচলের সকল চাকমাদের নাগরিকত্ব দান ও পক্ষপাতবিহীনভাবে নাগরিক অধিকার চর্চা নিশ্চিত করার জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও অরুনাচল রাজ্য সরকারের প্রতি নির্দেশ প্রদান করেন। [13]

বর্তমানে মিজোরাম রাজ্যের জেনারেল এসেম্বলি, ত্রিপুরা রাজ্যের লেজিসলেটিভ এসেম্বলি এবং Tripura Tribal Area Autonomous District Council এ চাকমাদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। চাকমাদের রাজনৈতিক অধিকার চর্চার একমাত্র ক্ষেত্র হিসেবে আছে ভারতের Chakma Autonomous District Council, তবে এই কাউন্সিল মিজোরাম অঞ্চলের চাকমাদের মাত্র ৩৫% এর প্রতিনিধিত্ব করে। বর্তমানে বার্মার রাখাইন রাজ্যে আরো প্রায় ৮০,০০০ এর মত চাকমা বসবাস করছেন। বার্মায় চাকমারা মূলত ডাইংনেট জনগোষ্ঠী নামে পরিচিত।

চাকমা শব্দের উৎস

চাকমারা মূলত বীরের জাতি। এবং চাকমা শব্দটি এসেছেও সংস্কৃত শব্দ শক্তিমান থেকে।[14]

বর্মী রাজত্বের শুরুর দিককার সময়ে বর্মী রাজারা এই চাকমা নামকরনের প্রচলন করেন। তখনকার সময়ে বর্মী রাজারা, চাকমাদের রাজার পরামর্শক, মন্ত্রী এবং পালি ভাষার বৌদ্ধধর্মের পাঠ অনুবাদকের কাজে নিয়োগ প্রধান করতেন। রাজা কর্তৃক সরাসরি নিয়োগকৃত হওয়াতে বর্মী রাজ দরবারে চাকমারা বেশ প্রভাবশালী ছিলেন। বার্মায় প্রচলিত চাকমাদের নাম সংক্ষেপ "সাক" শব্দটি সংস্কৃত শব্দ শক্তিমানের বিকৃত রুপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এরই এক পর্যায়ে, জনগোষ্ঠীটির নাম "সাকমা" এবং পরবর্তীতে বর্তমান "চাকমা" নামটি গ্রহণযোগ্যতা পায়।[2]

ধর্ম

বেশীর ভাগ চাকমা শত শত বছরের পুরাতন থেরবাদী বৌদ্ধ ধর্ম অনুসরণ করে। তাদের বৌদ্ধ ধর্ম পালনের মধ্যে হিন্দুধর্ম ও অন্যান্য প্রাচীন ধর্মের মিল পাওয়া যায়। দেশি-বিদেশি অনেক মিশনারী তাদের খ্রিস্টান বানানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এটি চাকমাদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করেছে।[15]

প্রায় প্রত্যেক চাকমা গ্রামের বৌদ্ধ মন্দির বা হিওং আছে। বৌদ্ধ সন্যাসীদের ভিক্ষু বলা হয়। তারা ধর্মীয় উৎসব ও অনুষ্ঠান তত্ত্বাবধায়ন করে। গ্রামবাসীরা ভিক্ষুদের খাবার, উপহার, ইত্যাদি দিয়ে সাহায্য করে।

চাকমারা হিন্দু দেব-দেবীর পূজাও করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, লক্ষীদেবীকে চাষাবাদের দেবী হিসেবে পূজা করা হয়। চাকমার বিশ্বাস করে কিছু আত্মা পৃথিবীতে জ্বর ও রোগব্যাধি নিয়ে আসে এবং এসব আত্মাদের সন্তুষ্ট রাখার জন্য এরা ছাগল, মুরগী, হাঁস, ইত্যাদি বলি দেয়। যদিও বৌদ্ধ বিশ্বাসমতে পশুবলি নিষিদ্ধ, সাধারণত বৌদ্ধ ভিক্ষুকরা এসব মানেন না।

চাকমাদের সাথে মুসলমানদের ঐতিহাসিক বৈবাহিক সম্পর্ক রয়েছে ![16]

তাই চাকমারা খৃস্টানদের চেয়ে মুসলমানদের বেশী ভালবাসে । বর্তমানেও মুসলমানদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্কে জড়িত হচ্ছে !

ভাষা

মুল নিবন্ধ চাকমা ভাষা.

চাকমা মূল কথ্য ভাষা আর্য ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। কিছু চাকমার কথার মধ্যে প্রতিবেশী চাঁটগাঁইয়া ভাষার সাথে সামঞ্জস্য লক্ষ্য করা যায়, যেটি মূলত পূর্ব ইন্দো আরিয়ান ভাষা বংশের একটি ভাষা এবং এটি আসামী ভাষার সাথে সম্পর্কযুক্ত। অনেক ভাষাবিদ মনে করেন, আধুনিক চাকমা ভাষা (চাংমা ভাজ অথবা চাংমা হধা নামে পরিচিত) পূর্ব ইন্দো-আরিয়ান ভাষার অংশ। চাকমা ভাষার লিখিত হয় এর নিজস্ব লিপি চাকমা লিপিতে। চাকমা লিপি আগরতারা নামেও পরিচিত।

সংস্কৃতি

চাকমাদের হস্তশিল্প ও বুননশিল্প হলো চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চল ভ্রমণকারীদের প্রধান আকর্ষন

চাকমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি, লোক সাহিত্য, সাহিত্য ও ঐতিহ্য আছে। চাকমারা কোমর জড়ানো গোড়ালি পর্যন্ত পোশাক পরে যাকে পিনোন বলা হয়। কোমরের উপর অংশকে বলা হয় হাদি। হাদি আর পিনোন সাধারণত রঙবেরঙের বিভিন্ন নকশার হয়।পুরুষরা "সিলুম" নামক গায়ের জামা এবং "টেন্নে হানি" নামক জামা পরিধান করে। এই নকশা প্রথমে আলাম নামে পরিচিত এক টুকরা কাপড়ের উপর সেলাই করা হয়।


উৎসব

চাকমাদের সবচেয়ে বড় জাতিগত উৎসব বিজু। বাংলা বছরের শেষ দুদিন ও নতুন বছরের প্রথম দিন এ উৎসব পালন করা হয়। বাংলা বছরের শেষ দিনের আগের দিনকে বলা হয় ফুল বিজু এবং শেষ দিনকে বলা হয় চৈত্র সংক্রান্তি বা মূল বিজু। ফুল বিজুর দিন সকাল বেলা চাকমারা ঘর-বাড়ি পরিষ্কার করে ফুল দিয়ে সাজায়, বুড়ো-বুড়িদের গোসল করায়, নতুন কাপড় দেয়। রাতে বসে পরের দিনের পাচন তরকারি রান্নার জন্য সব্জি কাটতে বসে যা কমপক্ষে ৫টি এবং বেশি হলে ৩২ রকম সব্জির মিশেলে রান্না করা হয়। পরের দিন মূল বিজু, এদিন চাকমা তরুণ-তরুণীরা খুব ভোরে উঠে কলা পাতায় করে কিছু ফুল পানিতে ভাসিয়ে দেন। তারপর সবাই বিশেষ করে ছোটোরা নতুন জামা-কাপড় পরে বাড়ি বাড়ি ঘুরতে থাকে। তবে গ্রাম গুলোতে প্রাচীনকালের মতোন করে"ঘিলে হারা"(খেলা) হয়। পরের দিন নতুন বছর বা গয্যে পয্যে,নতুন বছরের দিন সবাই বৌদ্ধ মন্দিরে যায়,খাবার দান করে,ভালো কাজ করে,বৃদ্ধদের কাছ থেকে আশীর্বাদ নেয়।বুদ্ধ পূর্ণিমা উল্লেখ্য চাকমা লোকসাহিত্য বেশ সমৃদ্ধশালী। তাদের লোক কাহিনীকে বলা হয়উবগীদ। চাকমাদের তাল্লিক শাস্ত্র বা চিকিৎসা শাস্ত্র অনেক সমৃদ্ধ। আর বয়ন শিল্পে চাকমা রমণীদের সুখ্যাতি জগৎ জুড়ে।

ইদানিং বিজুতে রেলি করা হয় । দেশ-বিদেশের অনেক লোক বিজু রেলি যোগ দেওয়ার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামে আসে ।

বিখ্যাত ব্যক্তি

খাদ্য

বাঁশের অঙ্কুর হল চাকমাদের ঐতিহ্যগত খাদ্য।তারা এটাকে “বাচ্ছুরি” নামে ডাকে এবং শ্রিম্প পাস্তে তাদের রান্নার ঐতিহ্যবাহী উপাদান।তারা এটাকে “সিদোল” বলে ডাকে।চাকমাদের প্রধান খাদ্য ভাত,ভুট্টা দ্বারা তৈরী খাদ্য,শাক-সবজি ও সরিষা।সবজির মধ্য রয়েছে রাঙা আলু,কুমড়া,তরমুজ,মাম্মারা(শশা)। চাকমারা শুকরের মাংস খেতে পছন্দ করে।

তথ্যসূত্র

  1. Gutman, Pamela-Ancient Arakan, 1976, Australian National University Press. P. 14
  2. Buchanan, Francis (১৯৯২)। Francis Buchanan in Southeast Bengal। Dhaka University Press। পৃষ্ঠা 104। আইএসবিএন 984-05-1192-0।
  3. Sir Arthur P. Phayre, Chief Comissioner of Burma, History of Burma, P. 79
  4. সুগত চাকমা - পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি ও সংস্কৃতি, পৃ - ১৯-২০
  5. Saradindu Shekhar Chakam, Ethnic Cleansing in Chittagong Hill Tracts, P. 23
  6. Minahan, James (২০০২-০৫-৩০)। Encyclopedia of the Stateless Nations: Ethnic and National Groups Around the World A-Z [4 Volumes] (ইংরেজি ভাষায়)। ABC-CLIO। আইএসবিএন 9780313076961।
  7. Government of Bangladesh - District Gazetteer of Chittagong Hill Tracts P. 35
  8. Suniti Bhushan Qanungo (১৯৯৮)। Chakma Resistance to British Domination 1772–1798। Chittagong: Suniti Bhushan Qanungo। পৃষ্ঠা 52। ওসিএলসি 54822598
  9. Dr. Suniti Vushan Kanongo, Professor of History, University of Chittagong, Chakma Resistence to British Domination :1972-1978. P. 52
  10. S. P. Talukder (১৯৮৮)। The Chakmas, Life and Struggle। Gian Publishing House। পৃষ্ঠা 36। আইএসবিএন 978-81-212-0212-1।
  11. বিরাজ মোহন দেওয়ান, চাকমা জাতির ইতিবৃত্ত, প. ১৯৫
  12. S. P. Talukdar, Chakmas : Life & Struggle, P. 35
  13. Supreme Court of India orders to grant indian citizenship rights to Chakmas & Hajongs in 3 months, 1, Law Street, 17 September2015
  14. Gutman, Pamela (১৯৭৬)। Ancient Arakan। Australian National University Press। পৃষ্ঠা 14।
  15. Talukdar, S.P. (২০১০)। Genesis of Indigenous Chakma Buddhists and Their Pulverization Worldwide। Kalpaz Publications। আইএসবিএন 9788178357584।
  16. বিরাজ মোহন দেওয়ান (২০০৫)। চাকমা জাতির ইতিবৃত্ত। ঊদয় শংকর দেওয়ান। পৃষ্ঠা ১০৬ । কম্পিউটার কম্পোজ সীবলী অফসেট।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.