কুকি (জাতিগোষ্ঠী)
কুকি, মায়ানমারে চিন নামে [1] এবং ভারতের মিজোরাম রাজ্যে মিজো নামে পরিচিতরা হচ্ছে তিব্বতী-বর্মী জাতিগোষ্ঠীর একটি ধারা যারা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল জুড়ে, মায়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাংশে এবং বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় বিস্তৃত। উত্তর-পূর্ব ভারতের কেবলমাত্র অরুণাচল প্রদেশ ব্যতীত সকল রাজ্যের তারা ছড়িয়ে রয়েছে। এই জনগোষ্ঠীর এভাবে আন্তর্জাতিক সীমানা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ার মূল কারণ হচ্ছে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক নীতি।[2] ভারতে কুকি জনগোষ্ঠীর প্রায় ৫০টি শাখা রয়েছে এবং এরা সেখান তফশিলি সম্প্রদায় হিসাবে চিহ্নিত।[3] কুকিদের এই স্বীকৃতি তাদেরে উচ্চারিত উপভাষা এবং অঞ্চলের উপর ভিত্তি করে নির্ণয় করা হয়েছে।
মোট জনসংখ্যা | |
---|---|
৫ মিলিয়ন (আনু.) | |
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চলসমূহ | |
ভাষা | |
বিভিন্ন কুকি ভাষা | |
ধর্ম | |
খ্রিষ্টান, সর্বপ্রাণবাদী, বৌদ্ধ, ইহুদি | |
সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী | |
নাগা, মণিপুরী |

মিজো শব্দটি 'মি' এবং 'জো' দুইটি শব্দ থেকে উৎপত্তি পায়। মিজো ভাষায় 'মি' অর্থ মানুষ এবং 'জো' অর্থ উচ্চভুমি এবং মিজো অর্থ হচ্ছে উচ্চভূমির মানুষ।
প্রখ্যাত কুকি/চিন
- পু জোরামথাঙ্গা - ১৯৯০ সালে মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ মুষ্টিযুদ্ধ প্রতিযোগীতায় ব্রোঞ্জ পদক বিজয়ী বর্মীজ ইন্ডিয়ান সৌখিন মুষ্টিযোদ্ধা।
আরও দেখুন
- মিজো জাতি
- জালি'ন-গাম
- কুকি উপগোষ্ঠী
তথ্যসূত্র
- বর্মী: ချင်းလူမျိုး; এমএলসিটিএস: hkyang lu. myui:, উচ্চারিত: [tɕɪ́ɴ lù mjó]
- T. Haokip, 'The Kuki Tribes of Meghalaya: A Study of their Socio-Political Problems', in S.R. Padhi (Ed.). Current Tribal Situation: Strategies for Planning, Welfare and Sustainable Development. Delhi: Mangalam Publications, 2013, p. 85.
- "Alphabetical List of India's Scheduled Tribes" (PDF)। ১৭ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১২।
বহি:সংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে কুকি (জাতিগোষ্ঠী) সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
টেমপ্লেট:মায়ানমারের জাতিগোষ্ঠী টেমপ্লেট:ভারতের জাতিগোষ্ঠী টেমপ্লেট:ভারতের তফশিলী সম্প্রদায়