আসানসোল

আসানসোল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পশ্চিম বর্ধমান জেলার একটি শহর ও পৌর নিগমাধীন এলাকা। এটি পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় বৃহওম শহরাঞ্চল এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার সদর।

আসানসোল
মহানগর
ডাকনাম: ভ্রাতৃত্বের শহর
আসানসোল
স্থানাঙ্ক: ২৩.৬৮° উত্তর ৮৬.৯৯° পূর্ব / 23.68; 86.99
দেশভারত
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গ
জেলাপশ্চিম বর্ধমান
সরকার
  ধরনপৌরসংস্থা
  শাসকআসানসোল পৌরনিগম
  মেয়রকুমার জিতেন্দ্র তেওয়ারি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস
  পুলিশ কমিশনারলক্ষী নারায়ণ মীনা
আয়তন
  মহানগর৩২৬.৪৮ কিমি (১২৬.০৫ বর্গমাইল)
উচ্চতা৯৭ মিটার (৩১৮ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১১)
  ক্রম৩৯ তম জনবহুল মহানগর (ভারত)
২ য় বৃহত্ত মহানগর (পশ্চিমবঙ্গ)
  পৌর এলাকা১১,৫৬,৩৮৭
  মহানগর১২,৪৩,৪১৪
বিশেষণআসানসোলিইয়ান / আসানসোলবাসী
ভাষা
  দাপ্তরিকবাংলা
সময় অঞ্চলIST (ইউটিসি+5:30)
পিনকোড৭১৩৩XX
দূরভাষ কোড০৩৪১
যানবাহন নিবন্ধনপঃবঃ ৩৭ / পঃবঃ 38 / পঃবঃ ৪৪
লিঙ্গ অনুপাত1.08[1] /♀
সাক্ষরতা84.82[1]%
লোকসভা কেন্দ্রআসানসোল (লোকসভা কেন্দ্র/ আসানসোল) সাংসদ - বাবুল সুপ্রিয় (ভারতীয় জনতা পার্টি)
বিধানসভা কেন্দ্রআসানসোল উত্তর (বিধান সভা কেন্দ্র)

বিধায়ক- মলয় ঘটক (সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি)

আসানসোল দক্ষিণ (বিধান সভা কেন্দ্র) আসানসোল দক্ষিণ (বিধায়ক - তাপস ব্যানার্জি (সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি)

পাণ্ডবেশ্বর (বিধান সভা কেন্দ্র) পাণ্ডবেশ্বর (বিধায়ক - কুমার জিতেন্দ্র তেওয়ারী (সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি)

রাণীগঞ্জ (বিধান সভা কেন্দ্র) রাণীগঞ্জ (বিধায়ক - রুনু দত্ত (ভারতের মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআইএম)

জামুরিয়া (বিধান সভা কেন্দ্র) জামুরিয়া বিধায়ক- জাহানারা খান (ভারতের মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআইএম)

কুলটি (বিধানসভা কেন্দ্র) কুলটি বিধায়ক - উজ্জল চ্যাটার্জি (সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি)

বারাবনি (বিধানসভা কেন্দ্র) বারাবনি

বিধায়ক- বিধান উপাধ্যায় (সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি)
ওয়েবসাইটasansolmunicipalcorporation.org

ভৌগোলিক উপাত্ত

শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২৩.৬৮° উত্তর ৮৬.৯৮° পূর্ব / 23.68; 86.98[2] সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৯৭ মিটার (৩১৮ ফুট)।

জনসংখ্যার উপাত্ত

ভারতের ২০১১ সালের আদম শুমারি অনুসারে আসানসোল শহরের জনসংখ্যা হল ১২ লাখের ওপর।[3] এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%।

এখানে সাক্ষরতার হার ৭৩%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৯% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৬%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে আসানসোল এর সাক্ষরতার হার বেশি।

এই শহরের জনসংখ্যার ১১% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

রামকৃষ্ণ মিশন উচ্চ বিদ্যালয়

মাদ্রাসা উর্দু বিদ্যালয়

বি বি কলেজ

বিধানচন্দ্র কলেজ

মনিমালা গার্লস কলেজ

যোগাযোগ ব্যবস্থা

দক্ষিণবঙ্গ রাজ্য পরিবহন নিগম কলকাতা এবং মালদা, শিলিগুড়ি, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, সিউড়ি, পুরুলিয়া, বর্ধমান, কালনা, হাবড়া, ব্যারাকপুর, দীঘা, বোলপুর, কিনাহার এবং বহরমপুর এবং অন্যান্য অনেক গন্তব্যস্থলে দৈনন্দিন বাস পরিষেবা পরিচালনা করে। এছাড়াও উত্তরবঙ্গ রাজ্য পরিবহন নিগম শহর থকে অন্য শহরে বাস পরিষেবা প্রদান করে। অনেকগুলি বেসরকারি বাস অপারেটর, ট্যাক্সি,[4] ওলা ক্যাশ ইত্যাদি রেডিও ট্যাক্সিগুলি স্থানীয়ভাবে এবং আন্তঃসীমান্ত রুটগুলিও যাত্রী পরিবহনের কাজ করে। বিভিন্ন বেসরকারি বাস সংগঠন আসানসোল থেকে বর্ধমান, কল্যাণী, হাওড়া, বারাসাত ও বাঁকুড়া শহরে বাস পরিচালনা করে। নগরীর বাস পরিষেবা আরও উন্নতির জন্য এবং দূষণমুক্ত করার জন্য রাজ্যের পরিবহন বিভাগ আসানসোলে বৈদ্যুতিক বাস চালু করতে যাচ্ছে। দুর্গাপুর-আসানসোল রুটে যেসব বৈদ্যুতিক বাস চলাচল করবে, সেগুলি দক্ষিণবঙ্গ রাজ্য পরিবহন নিগম (এসবিএসটিসি) এর বাস ডিপোতে রিচার্জ বা পুনঃনির্ধারিত হবে।[5][6]

আসানসোল স্টেশনের রেল প্লাটফর্ম

আসানসোলের প্রধান রেল স্টেশন শহর আসানসোল জংশন। এই স্টেশন থেকে বহু স্থানে রেল সংযোগ রয়েছে। উত্তর ভারতের সঙ্গে, কলকাতার সঙ্গে সংযোগের প্রায় সমস্ত ট্রেন আসানসোলের সাথে সংযুক্ত। ফলস্বরূপ, আসানসোল নতুন দিল্লি, জম্মু, অমৃতসর, লুধিয়ানা, এলাহাবাদ, কানপুর, লখনৌ, দেরাদুন, জয়পুর, কোটা, জোড়পুর, জয়সালমির, গোয়ালিয়র, ভোপাল, ইন্দোর, পাটনা, রাঁচি এবং ধানবাদের মতো শহরগুলির সাথে চমৎকার সংযোগ স্থাপন করে। মুম্বাই, আহমেদাবাদ এবং সুরাটের মত পশ্চিমী শহরগুলি এবং ভুবনেশ্বর, বিশাখাপত্তনম, বিজয়ওয়াড়া, চেন্নাই, ব্যাঙ্গালোর ও তিরুবনন্তপুরমের মত শহরগুলির সঙ্গে ভালো রেল যোগাযোগ রয়েছে আসানসোল শহরের। এটি রেলপথে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের প্রধান শহর গুয়াহাটির সাথেও সংযুক্ত। [7]

সড়কপথ

গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড বা জাতীয় সড়ক ১৯ আসানসোলকে অতিক্রম করেছে। এই সড়কটি পূর্ব দিকে কলকাতা এবং উত্তর-পশ্চিমে দিকে দিল্লিকে যুক্ত করেছে আসানসোলের সঙ্গে। জাতীয় সড়ক ১৪ আসানসোল শহরকে দক্ষিণে ওড়িশা রাজ্যের সঙ্গে এবং উত্তরে ফারাক্কা ও উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যুক্ত করেছে। এছাড়া সড়কপথে শহরটি ধানবাদ, বাঁকুড়া, পাটনা, হলদিয়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।

রেলপথ

আসানসোল জংশন রেলওয়ে স্টেশনের প্রধান প্রবেশ পথ

আসানসোল শহর রেল পরিবহনের কেন্দ্রবিন্দু। আসানসোল রেলওয়ে বিভাগ বর্তমানে পূর্ব রেল জোনের একটি অংশ। এই শহরটি আসানসোল রেল বিভাগের সদর দপ্তর হিসেবে কাজ করে এবং পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ৪৯৩ কিলোমিটার (৩০৬ মাইল) রেলপথ রয়েছে এই রেল বিভাগে। আসানসোল রেল বিভাগের স্টেশনগুলি হল অণ্ডাল, রাণীগঞ্জ এবং দুর্গাপুর[8]

কলকাতা থেকে দিল্লি পর্যন্ত প্রধান রেললাইনটি শহরের মধ্য দিয়ে হাওড়া থেকে নতুন দিল্লির দিকে যায় এবং সীতারামপুর রেল জংশনে গ্রান্ড কর্ড লাইন যুক্ত রয়েছে, আসানসোল জংশনের সামান্য কিছু পশ্চিমে। বর্ধমান-আসানসোল রেল পথ হাওড়া-দিল্লি প্রধান লাইনের একটি অংশ। অন্ডালের সঙ্গে আসানসোল এবং পরে জামশেদপুর, পুরুলিয়া ও খড়্গপুর থেকে বাঁকুড়া পর্যন্ত রেলওয়ে ট্র্যাকের আরেকটি রেলপথ রয়েছে। একটি শাখা লাইন সাহেবগঞ্জ লুপের উপর সাঁথিয়া দিয়ে অন্ডালকে সংযুক্ত করেছে।

আকাশপথ

আসানসোল মহানগরের অন্তর্গত বার্ণপুর শহরে দাদোদর নদের তীরে অবস্থিত একটি ব্যক্তিগত বিমানবন্দর রয়েছে। এই বিমানবন্দরের মালিকানা রয়েছে ইস্কো ইস্পাত (বার্নপুর ইস্পাত কারখানা) কারখানার কাছে। বর্তমানে এই বিমানবন্দর ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত হয়। বর্তমানে বিমানবন্দরের রানওয়ে ১,২২০ মিটার (৪,০০০ ফু) দীর্ঘ ও ২৩ মিটার চওড়া।বিমানবন্দরটিতে কোনো টার্মিনাল বা প্রান্তিক নেই। নেই কোনো এটিসি নিয়ন্ত্রণ ভবন।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "Cities having population 1 lakh and above" (PDF)Provisional Population Totals, Census of India 2011। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১২
  2. "Asansol"Falling Rain Genomics, Inc। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৫ অজানা প্যারামিটার |accessyear= উপেক্ষা করা হয়েছে (|access-date= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য); এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  3. "ভারতের ২০১১ সালের আদম শুমারি" অজানা প্যারামিটার |accessyear= উপেক্ষা করা হয়েছে (|access-date= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
  4. "Bengal promotes green transport in Asansol-Durgapur area"। সংগ্রহের তারিখ 21 Dcember 2017 এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  5. "WB govt negotiates with world bank to procure 130 electric buses"। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৭
  6. "State Transport department to introduce electric buses in city"। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৭
  7. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৩ মে ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১৮
  8. "Archived copy"। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-২১
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.