আফগানিস্তান ইসলামী আমিরাত
আফগানিস্তান ইসলামী আমিরাত[12] (পশতু: د افغانستان اسلامي امارات; দ্য আফগানিস্তান ইসলামী আমারাত) ছিলো একটি ইসলামী রাষ্ট্র যেটি ১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বরে কাবুুলের পতন হলে আফগানিস্তানে প্রতিষ্ঠিত হয়। তাদের সেরা সময়ে তালেবানের দখলে দেশের ৯০ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ ছিলো; যেখানে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ছিল নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের নিকট যাদেরকে আফগানিস্তানের বৈধ সরকার হিসাবে অধিক গ্রহণযোগ্য স্বীকৃতি ছিলো বিশ্বব্যাপী।[13] তালেবানেরা ওসামা বিন লাদেন ও আল-কায়েদার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসাবে কাজ করে, তাদেরকে বিশ্বজুড়ে বড় বড় সন্ত্রাসী হামলা চালানো, যেমনঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার মতো প্রধান প্রধান সন্ত্রাসী হামলার জন্য সহায়তা করে। ৯/১১-এর পর এদের শাসনব্যবস্থা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বিরোধিতার মুখে পড়ে, এমনকি কূটনৈতিক তৎপরতার দ্বারা সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তান থেকে প্রাপ্ত স্বীকৃতি পর্যন্ত প্রত্যাহার করানো হয়। ২০০১ সালের ১৭ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের সহায়তায় নর্দার্ন অ্যালায়েন্স কর্তৃক জঙ্গীরা বিতাড়িত হওয়ার মাধ্যমে আমিরাতের সমাপ্তি ঘটে।
আফগানিস্তান ইসলামী আমিরাত | ||||||
د افغانستان اسلامي امارات দ্য আফগানিস্তান ইসলামী আমারাত | ||||||
আংশিকভাবে স্বীকৃত রাষ্ট্র | ||||||
| ||||||
| ||||||
নীতিবাক্য লা ইলাহা ইল্লা-'ল্লাহু মুহাম্মাদুর-রাসূলু-'ল্লাহ্ لا إله إلا الله محمد رسول الله "আল্লাহ্ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, মোহাম্মদ (সঃ) আল্লাহ্র রসূল." | ||||||
সঙ্গীত নেই (সঙ্গীত নিষিদ্ধ ছিল) | ||||||
![]() তালেবান আফগানিস্তানের অবস্থান | ||||||
রাজধানী | ||||||
ভাষাসমূহ |
| |||||
ধর্ম | সুন্নি ইসলাম | |||||
সরকার | সর্বাত্মকবাদী একনায়কতন্ত্রী এককেন্দ্রিক ইসলামী দিব্যতন্ত্র | |||||
আমিরুল মুমিনিন (বিশ্বাসীদের নেতা)[5][6][7] সর্বোচ্চ পরিষদ প্রধান[8][9][10] | ||||||
- | ১৯৯৬-২০০১ | মোহাম্মদ ওমর | ||||
প্রধানমন্ত্রী | ||||||
- | ১৯৯৬-২০০১ | মোহাম্মদ রব্বানী | ||||
- | ২০০১ | আব্দুল কবির (ভারপ্রাপ্ত) | ||||
আইন-সভা | জেরগা | |||||
ঐতিহাসিক যুগ | আফগান গৃহযুদ্ধ / "ওয়ার অন টেরর" | |||||
- | তালেবানের ক্ষমতায় উত্থান | ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬[11] | ||||
- | তোরাবোরার যুদ্ধ | ১৭ ডিসেম্বর ২০০১ | ||||
আয়তন | ||||||
- | ২০০০ | বর্গ কি.মি. ( বর্গ মাইল) | ||||
জনসংখ্যা | ||||||
• | ২০০১ আনুমানিক | |||||
মুদ্রা | আফগানি | |||||
আয়তনের উৎস: |
![]() | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আফগানিস্তানের ইতিহাস | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
Timeline | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
Ancient
|
||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
Medieval
|
||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
Modern
|
||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ইতিহাস
সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধের পর সৃষ্টি হওয়া বিশৃঙ্খলার প্রেক্ষিতে উম্মেষ ঘটে তালেবান ও তার শাসনের। এর শুরু হয়েছিলো দক্ষিণ আফগানিস্তানে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গড়া একটি ইসলামি ও পশতুন রাজনৈতিক-ধর্মীয় আন্দোলন হিসেবে। ব্যাপকভাবে জাতিগত পাশতুন সম্প্রদায়ের মধ্যে তালেবান পশতুনওয়ালি জীবনাচার ও বিধিমালাকে সুন্নী ইসলামি শিক্ষার সাথে মিশ্রিত করে উপস্থাপন করেছিল যা পশ্চিমা ও আধুনিকতা বিরোধী একটি ইসলামি মতাদর্শের প্রবর্তন করে এবং এর দ্বারা তারা শাসন কার্যটি পরিচালনা করেছিল।[14] এটি প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান থেকে যেমন সমর্থন লাভে সমর্থ হয় তেমনইভাবে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের নিকট থেকেও সমর্থন লাভ করতে সক্ষম হয়। অপরদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ দূরত্ব বজায় রেখে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছিল এবং আশা করেছিলো যে - আফগান গৃহযুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটলেই এই নতুন আন্দোলনটিরও অবসান ঘটবে।
জাতিগত সংঘাত
তালেবান আফগানিস্তানের অন্যান্য আরো অনেক জাতিগোষ্ঠীকে বিদেশী হিসাবে বিবেচনা করে। পশতুন জনগণ আফগানিস্তানে বৃহত্তম জাতিগত দল এবং তালেবান আন্দোলনেও তারা বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে যুক্ত ছিলো।
শাসন
কান্দাহার হতে যাত্রা শুরু করে তালেবানেরা অবশেষে ১৯৯৬ সালে কাবুুলের ক্ষমতা দখল করতে সমর্থ হয়। ২০০০ সালের শেষে তালেবান দেশের ৯০ শতাংশ এলাকা তাদের শাসনের আওতাভূক্ত করতে সক্ষম হয়। অপরদিকে প্রাথমিকভাবে বাদাখশন প্রদেশের উত্তর-পূর্ব কোণের নিয়ন্ত্রণ দখল করে রাখতে সক্ষম হয় প্রধান বিরোধী নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের গেরিলারা।
আরও দেখুন
- কোয়েটা শুরা
- আফগানিস্তান যুদ্ধ (২০০১–বর্তমান)
- আফগানিস্তানের ইতিহাস (১৯৯২–বর্তমান)
- তালিবান প্রাদেশিক গভর্নর
- তালেবানের উত্থান
তথ্যসূত্র
- Marcin, Gary (১৯৯৮)। "The Taliban"। King's College। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- Marcin, Gary (১৯৯৮)। "The Taliban"। King's College। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- "FACTBOX: Five Facts on Taliban Leader Mullah Mohammad Omar"। ১৭ নভেম্বর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- "Role of the Taliban's religious police"। ২৭ এপ্রিল ২০১৩। ৯ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- Carlotta Gall (৩০ জুলাই ২০১৫)। "Mullah Muhammad Omar, Enigmatic Leader of Afghan Taliban, Is Dead"। The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- "Mohammad Omar"। Encyclopædia Britannica। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
Emir of Afghanistan
- "Profile: Mullah Mohammed Omar"। BBC। ২৯ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- "Mullah Mohammed Omar"। The Independent। ৩১ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- "Where Will the New Taliban Leader Lead His People?"। Moscow Carnegie Center। ১১ আগস্ট ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- "Mullah Omar: Life chapter of Taliban's supreme leader comes to end"। CNN। ২৯ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- Marcin, Gary (১৯৯৮)। "The Taliban"। King's College। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- Directorate of Intelligence (২০০১)। "CIA – The World Factbook – Afghanistan" (mirror)। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০০৮।
note – the self-proclaimed Taliban government refers to the country as Islamic Emirate of Afghanistan
- Map of areas controlled in Afghanistan '96
- Rashid, Taliban (2000)
বহিঃসংযোগ
- ইমারাতে ইসলামি আফগানিস্তানের ওয়েবসাইট
- ইমারাতে ইসলামি আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাক্ষাতকার
পূর্বসূরী আফগানিস্তান ইসলামি রাষ্ট্র |
আফগানিস্তান ইসলামী আমিরাত ১৯৯৬ – ২০০১ |
উত্তরসূরী আফগানিস্তান অন্তর্বর্তীকালীন ইসলামী রাষ্ট্র |
টেমপ্লেট:তালেবান