পার্ক জি-সুং
পার্ক জি-সুং (জন্ম ফেব্রুয়ারি ২৫, ১৯৮১) একজন দক্ষিণ কোরীয় ফুটবল খেলোয়াড় যিনি বর্তমানে প্রিমিয়ার লীগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলে থাকেন।

ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | পার্ক জি-সুং | ||
জন্ম | ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮১ | ||
জন্ম স্থান |
সুওন, প্রজাতন্ত্রী কোরিয়া ![]() | ||
উচ্চতা | ১.৭৫ মিটার (৫ ফুট ৯ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান |
আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার উইঙ্গার | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান ক্লাব | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | ||
জার্সি নম্বর | ১৩ | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ী জীবন* | |||
বছর | দল |
উপস্থিতি (গোল)† | |
২০০০-২০০৩ ২০০৩-২০০৫ ২০০৫- |
কিয়োট পার্পল স্যাঙ্গা পিএসভি আইন্দোভেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড |
৭৬ (১১) ৬৪ (১৩) ৪৭ (৭) | |
জাতীয় দল‡ | |||
২০০১- | কোরিয়া প্রজাতন্ত্র | ৬৭ (৬) | |
† উপস্থিতি(গোল সংখ্যা)। |
ইউরোপে খেলা শ্রেষ্ঠ এশীয় খেলোয়াড় হিসেবে পার্ক সুপরিচিত। পার্কের সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে তার গতি এবং ফিটনেস, যা তাকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের একজন সফল মিডফিল্ডারে পরিনত করেছে।
দক্ষিণ কোরীয় ও পিএসভি আইন্দোভেনের সমর্থকদের কাছেও পার্ক সমভাবে আদৃত। ২০০২ ফিফা বিশ্বকাপে পার্ক দক্ষিণ কোরিয়াকে সেমি-ফাইনালে উন্নীত করতে বিশাল ভূমিকা রেখেছেন। ২০০৪-০৫ মৌসুমে তিনি পিএসভি আইন্দোভেনকে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের সেমিফাইনালে ওঠাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করেন। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম ফুটবলার হিসেবে প্রিমিয়ার লীগে অংশ নেয়ার সুযোগ পান।
প্রাণবন্ত দম ও শারীরিক ক্ষমতার কারণে তার পিএসভির সতীর্থরা কৌতুক করে বলতেন পার্ক পিঠে একটা অক্সিজেন ট্যাংক নিয়ে খেলে থাকে, একই কারণে ইউনাইটেডে তাকে ডাকা হত ত্রি লাং-পার্ক বা তিনটি ফুসফুসওয়ালা পার্ক নামে। এই সকল নামেই তার শক্তি সামর্থ্য ও গতির প্রমাণ পাওয়া যায়। পার্ক ৯০ মিনিট সময়ের পুরোটাই সমান শক্তিতে খেলতে অভ্যস্ত।
ম্যানেজারদের কাছে বিনয়ী পার্ক সর্বদাই সমাদৃত। তার একটাই সমস্যা আর সেটি হচ্ছে গোলদানের ব্যাপারে। তিনি গোলদানের ক্ষেত্রে তেমন পারদর্শিতা দেখাতে পারেননি।