আইসিসি ওডিআই চ্যাম্পিয়নশীপ
আইসিসি ওডিআই চ্যাম্পিয়নশীপ (ইংরেজি: ICC ODI Championship) একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতা, যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) কর্তৃক পরিচালিত হয়। মূলতঃ র্যাঙ্কিং পদ্ধতির মাধ্যমে দলগত পর্যায়ে নিয়মিতভাবে একদিনের আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যেমে আইসিসি ওডিআই চ্যাম্পিয়নশীপ নির্ধারিত হয়। ১২টি টেস্ট ক্রিকেট খেলুড়ে দেশসহ (বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান এবং আয়ারল্যান্ড) আইসিসির অন্যান্য সহযোগী সদস্য দেশ এতে অংশ নেয়। প্রতিযোগিতাটির মাধ্যমে সাধারণ র্যাঙ্কিং পদ্ধতির ধারণা জন্মানো হয় যাতে নিয়মিত ওডিআই ক্রিকেটের সময় নির্দেশিকা অনুসারে দলগুলো একে-অপরের সাথে আন্তর্জাতিক খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রদর্শন করতে পারে। তবে নিজ মাঠ বা প্রতিপক্ষের মাঠে খেলার ফলে ওডিআই র্যাঙ্কিংয়ে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায় না।
আইসিসি ওডিআই চ্যাম্পিয়নশীপ | |
---|---|
ব্যবস্থাপক | ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল |
খেলার ধরন | একদিনের আন্তর্জাতিক |
প্রথম টুর্নামেন্ট | ২০০২ |
শেষ টুর্নামেন্ট | চলমান |
প্রতিযোগিতার ধরন | national (ongoing points accumulation through all matches played) |
দলের সংখ্যা | ১২ ৩৩ সহযোগী সদস্য |
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন | ![]() |
সর্বাধিক সফল | ![]() |
প্রতিটি ওডিআই খেলা শেষে দু’দলই গাণিতিক সূত্রের মাধ্যমে পয়েন্ট অর্জন করে থাকে। প্রতিটি দলের সর্বমোট পয়েন্টকে সর্বমোট খেলা দিয়ে বিভাজন করা হয়, যা ওডিআই ক্রিকেট রেটিং নামে পরিচিত। সকল দলের নাম রেটিং অনুযায়ী সাজানো থাকে যা ছকে তুলে ধরা হয়।
৩০ জুলাই, ২০১৮ তারিখ পর্যন্ত ইংল্যান্ড দল ১২৭ রেটিং নিয়ে আইসিসি ওডিআই চ্যাম্পিয়নশীপের শীর্ষস্থানে রয়েছে। পক্ষান্তরে সংযুক্ত আরব আমিরাত ক্রিকেট দল ১৮ রেটিং নিয়ে তালিকার সর্বনিম্ন স্থান দখল করেছে।[1]
যোগ্যতা নির্ধারণ
চ্যাম্পিয়নশীপ প্রথায় দুই ধরনের র্যাঙ্কিং টেবিল প্রচলিত রয়েছে। আইসিসির ১২ পূর্ণাঙ্গ সদস্যভূক্ত টেস্ট খেলুড়ে দেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রধান তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকে। একদিনের আন্তর্জাতিকে মর্যাদাপ্রাপ্ত সহযোগী ছয় সদস্য দ্বিতীয় তালিকায় অন্তর্ভুক্তি ঘটে। কিন্তু দলগুলো নিম্নলিখিত শর্তাবলী পূরণ করে প্রধান তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।[2] যদি -
- পূর্ণাঙ্গ সদস্য দেশের বিপক্ষে কমপক্ষে দুইটি একদিনের আন্তর্জাতিকে জয় পায়।
- পূর্ণাঙ্গ সদস্য দেশের বিপক্ষে কমপক্ষে একটি একদিনের আন্তর্জাতিকে ও অন্যান্য সহযোগী দেশের বিপক্ষে ৬০% যোগ্যতা নির্ধারণী খেলায় বিজয়ী হয়।
নেদারল্যান্ডস দল ২০১০ সালে বাংলাদেশ দলকে পরাজিত করে এ যোগ্যতা অর্জন করে।স্কটল্যান্ড জিম্বাবুয়ে ও পাকিস্তানকে হারিয়ে যোগ্যতা অর্জন করে।সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০১৮ আইসিসি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে মূল তালিকায় প্রবেশ করে।
ওডিআই র্যাঙ্কিং
আইসিসি ওডিআই চ্যাম্পিয়নশীপ র্যাঙ্কিং | ||||
---|---|---|---|---|
অবস্থান | দলের নাম | খেলার সংখ্যা | পয়েন্ট | রেটিং |
১ | ![]() | ৫৫ | ৬৯১৬ | ১২৬ |
২ | ![]() | ৫৮ | ৭০০০ | ১২১ |
৩ | ![]() | ৪৩ | ৪৮০৩ | ১১২ |
৪ | ![]() | ৪৫ | ৪৯৮৫ | ১১১ |
৫ | ![]() | ৪৩ | ৪৩৭০ | ১০২ |
৬ | ![]() | ৪০ | ৩৯৮০ | ১০০ |
৭ | ![]() | ৩৭ | ৩৪৬৪ | ৯৪ |
৮ | ![]() | ৫৪ | ৪২৪০ | ৭৯ |
৯ | ![]() | ৩৮ | ২৭১৩ | ৭১ |
১০ | ![]() | ৩৬ | ২৩৯৪ | ৬৭ |
১১ | ![]() | ৪৮ | ২৫৪৫ | ৫২ |
১২ | ![]() | ২৩ | ৯০৪ | ৩৯ |
১৩ | ![]() | ১৬ | ৫৩৫ | ৩৩ |
১৪ | ![]() | ১৪ | ২৯৮ | ২১ |
– | ![]() | ৬ | – | – |
– | ![]() | ৭ | – | – |
*নেদারল্যান্ডস ও নেপাল পর্যাপ্ত খেলায় অংশগ্রহণ না করায় আনুষ্ঠানিক ওডিআই র্যাঙ্কিংয়ে জায়গা পায়নি। এ যোগ্যতা লাভে কমপক্ষে আটটি খেলায় অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন। | ||||
"খেলা" বলতে মে মাসের পর থেকে ১২-১৪ মাসে অংশগ্রহণকৃত খেলার সংখ্যা + সিরিজের সংখ্যা। এছাড়াও, এর পূর্বেকার ২৪ মাসের অর্ধেক খেলার সংখ্যা। | ||||
তথ্যসূত্র: আইসিসি ওডিআই র্যাঙ্কিং, ইএসপিএনক্রিকইনফো র্যাঙ্কিং ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮ |
== বর্তমান শীর্ষস্থানীয় ওডিআই ক্রিকেটার ==া আবছার
তথ্যসূত্র
- "ICC – Associate and Affiliate Rankings"। ২ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৮।