লনয়াবো সতসবে

লোনওয়াবো লেনক্স তোতসোবে (ইংরেজি: Lonwabo Lennox Tsotsobe; জন্ম: ৭ মার্চ, ১৯৮৪) কেপ প্রদেশের পোর্ট এলিজাবেথে জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার। বামহাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলার হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে খেলে থাকেন। পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিংও করে থাকেন। এছাড়াও, ঘরোয়া ক্রিকেটে ডলফিন্স ক্রিকেট দলের হয়ে খেলছেন। জুন, ২০১৩ সালে প্রকাশিত সর্বশেষ ওডিআই র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের ৭ম বোলাররূপে মনোনীত হন।

লনওয়াবো ততসোবে
২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা’র হয়ে সমারসেটের বিপক্ষে খেলেন।
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামলোনওয়াবো লেনক্স তোতসোবে
জন্ম (1984-03-07) ৭ মার্চ ১৯৮৪
পোর্ট এলিজাবেথ, কেপ প্রভিন্স, দক্ষিণ আফ্রিকা
ডাকনামলপ্সি
উচ্চতা ফুট ৫ ইঞ্চি (১.৯৬ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনবামহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় পার্শ্ব
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩০৯)
১০ জুন ২০১০ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ টেস্ট৬ জানুয়ারি ২০১১ বনাম ভারত
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৯৫)
৩০ জানুয়ারি ২০০৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ ওডিআই২ সেপ্টেম্বর ২০১২ বনাম ইংল্যান্ড
ওডিআই শার্ট নং৬৮
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০৬-২০১২ওয়ারিয়র্স
২০০৪-২০০৬ইস্টার্ন প্রভিন্স
২০১১এসেক্স
২০১২-বর্তমানডলফিন্স
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৩৯ ৫৬ ১০৩
রানের সংখ্যা ১৯ ২৩ ২৬৮ ৭৪
ব্যাটিং গড় ৬.৩৩ ৫.৭৫ ৬.০৯ ৫.৬৯
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ৮* ২৭* ১১*
বল করেছে ৮৭০ ১,৮৯১ ৯,৪২৩ ৪,৭১৭
উইকেট ৬৮ ১৮৫ ১৫২
বোলিং গড় ৪৯.৭৭ ২১.৭৫ ২৭.২৪ ২৫.৯৮
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট n/a n/a n/a
সেরা বোলিং ৩/৪৩ ৪/২২ ৭/৩৯ ৫/২৮
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/– ৬/– ১৩/– ১৫/–
উৎস: ESPNcricinfo, ৩ মার্চ ২০১৩

খেলোয়াড়ী জীবন

নভেম্বর, ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দলে খেলার জন্য নির্বাচিত হন।[1] জুন, ২০১০ সালে ত্রিনিদাদে অনুষ্ঠিত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে তার।[2]

এরপর তিনি ওডিআই দলে খেলার জন্য নির্বাচিত হন।[3] ৩০ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষিক্ত হয়ে ৯ ওভারে ৫০ রান দিয়ে ৪ উইকেট দখল করেন। খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৯ রানে জয়লাভের পাশাপাশি ওডিআই সিরিজ জয় করেছিল ৪-১ ব্যবধানে। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। খেলায় তার দল কোয়ার্টার-ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছিল।

১১ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে ততসোবের। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত এ খেলায় প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। জুন, ২০১০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২য় টি২০-তে মরনে মরকেলের আঘাতপ্রাপ্তিজনিত কারণে অংশ নেন। উদ্বোধনী ওভারে পরপর দু’টি চার দিলেও হ্যামিল্টন মাসাকাদজা’র গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি নেন।

ঘরোয়া প্রতিযোগিতা

এপ্রিল, ২০১১ তারিখে ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার উদ্দেশ্যে বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে এসেক্সের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন।[4] দ্বিতীয় বিভাগের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের তিনটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় মাত্র পাঁচ উইকেট দখল করায় দল থেকে বাদ পড়েন। পাঁচটি একদিনের ক্রিকেটে মাত্র আট উইকেট লাভ করেন। এ অবস্থায় তিনি হতাশায় ভোগেন যাকে তিনি আখ্যায়িত করেন জীবনের সবচেয়ে মন্দ দু’মাসরূপে।[5]

তথ্যসূত্র

  1. Uncapped Tsotsobe in Test squad for Australia
  2. West Indies v South Africa in 2010, CricketArchive, 06-13-2010, accessed 06-18-2010
  3. http://content-rsa.cricinfo.com/ausvrsa2008_09/content/squad/383792.html
  4. Essex sign Tsotsobe as overseas player, ESPNcricinfo, ৮ এপ্রিল ২০১১, সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০১১
  5. Lonwabo Tsotsobe tweets about Essex pain, BBC Sport, ২৪ মে ২০১১, সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০১১

আরও দেখুন

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.