বাংলাদেশে প্রবাসী-প্রেরিত অর্থ
প্রবাসী-প্রেরিত অর্থ বা রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি প্রধান চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশী অভিবাসীদের সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফলে দেশের বার্ষিক রেমিটেন্সের পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে চলেছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, জুন ২০১৫ সাল মোতাবেক বাংলাদেশ রেমিট্যান্সের দিক দিয়ে বৃহত্তম প্রাপক দেশসমূহের একটি যেখানে প্রায় ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স প্রেরণ করা হয়।[1][2][3]
ইতিহাস
১৯৭৪ সালে, অনাবাসী বাংলাদেশীদের প্রেরিত অর্থ বৈধ মাধ্যমে দেশে নিয়ে আসার জন্য মজুরী উপার্জনকারীর প্রকল্প শুরু করা হয়েছিল। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের মধ্যে শীঘ্রই এই প্রকল্পটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ১৯৭৪-৭৫ অর্থবছরে বাংলাদেশে প্রায় ১১.৮ মিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স প্রদান করা হয়েছিল। ১৯৮০-৮১ অর্থবছরে যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫০ মিলিয়ন ডলার এবং ১৯৯০-৯১ অর্থবছরে যা ৭৫০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। সৌদি আরব থেকে আগত অর্থ বাংলাদেশে বিদেশী অর্থ প্রেরণের সবচেয়ে বড় উৎস। সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, বাহরাইন, কুয়েত, লিবিয়া, ইরাক, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের বিদেশি রেমিট্যান্স বৈদেশিক অর্থ প্রেরণের অন্যতম প্রধান উত্স।[4] বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি বছর সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রেরণকারী এবং অর্থ প্রেরণের মাধ্যমে অর্থনীতিতে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ শীর্ষ ১০ প্রবাসী বাংলাদেশীর নাম ঘোষণা করে। যাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন আল হারামাইন হাসপাতালের সভাপতি এবং আল হারামাইন আতরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহতাবুর রহমান যিনি ২০১৩, ২০১৪[5] এবং ২০১৫ সালে তালিকাভুক্ত ছিলেন।
তথ্যসূত্র
- http://www.thedailystar.net/beta2/news/bangladesh-among-top-10-earners/
- http://www.bb.org.bd/econdata/wageremitance.php#
- http://bdnews24.com/bangladesh/2013/10/04/bangladesh-may-get-15-billion-in-remittance-in-2013
- Bangladesh Economic Update: Remittance, 8 September 2011, Unnayan Onneshan, Dhaka, p. 9.
- Reporter, Staff। "From transit passenger to business tycoon - Khaleej Times"। www.khaleejtimes.com। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৭।