ফরিদা জালাল

ফরিদা জালাল (জন্মঃ ১৪ মার্চ ১৯৪৯) হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী। তিনি ১৯৬০ দশক থেকে শুরু করে অদ্যবধি পর্যন্ত অসংখ্য চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশনে অভিনয় করে আসছেন।

ফরিদা জালাল
জন্ম (1949-03-14) ১৪ মার্চ ১৯৪৯
নয়া দিল্লি, ভারত
জাতীয়তাভারতীয়
কার্যকাল১৯৬০বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীতাবরেজ বরমাভার
সন্তানইয়াসিন জালাল
পুরস্কারশ্রেষ্ঠ সহ-তারকা অভিনেত্রী: পরশ (১৯৭২)
শ্রেষ্ঠ সহ-তারকা অভিনেত্রী: হান্না (১৯৯২)
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (সমালোচক): মাম্মো (১৯৯৫)
শ্রেষ্ঠ সহ-তারকা অভিনেত্রী: দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে (১৯৯৬)

কর্মজীবন

ফরিদা জালাল ১৯৪৯ সালে ভারতের নয়া দিল্লি জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানে বেড়ে ওঠেন। তিনি ১৯৬০ সালের দিকে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। তিনি মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক টেলেন্ট হান্ট কর্তৃক ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। তিনি রাজেশ খান্নার সাথে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের সাথে মঞ্চে হাজির হন। তিনি চারকচাদ বরজাতোর কাছ থেকে "তাকদির" চলচ্চিত্রে প্রথম কাজ করার প্রস্তাব পান।[1]

তিনি সাধারণত বোন অথবা প্রত্যাখ্যাত বাগদত্তার চরিত্রে অভিনয় করে তাকেন। তার সবচেয়ে সমালোচিত চরিত্র হল ববি; যেখানে তিনি ঋষি কাপুর এর রাজে মানসিকভাবে মোকাবেলা করা হবু বাগদত্তার ভূমিকায় অসাধারণ অভিনয় ফুটিয়ে তোলেন। ১৯৮০ সালের দিকে তিনি বোনের ভূমিকায় অভিনয় করেন। এরপর থেকে বান্ধবী, চাচী, মা অথবা নানীর চরিত্রে অভিনয় করেন। তবে তাকে "আরাধনা" চলচ্চিত্রে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য স্মরণ করা হয়; যেখানে তিনি রাজেশ খান্নার বান্ধবীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এই ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি "বাগো মে বাহার হ্যায়, খিলো পে নিখার হ্যায়" নামক গান গেয়েছিলেন।

তিনি ৪০ বছরের উর্দ্ধে সময় ধরে চলচ্চিত্রে শিল্পে অবস্থান করছেন। যেখানে তিনি বেঙ্গালুরু নিজের বসতি স্থাপন করার কারনে শুধুমাত্র ১৯৮৩ এবং ১৯৯০ সালের সময়ে সাময়িক বিরতি নিয়েছিলেন।

ফরিদা জালাল ১৯৯০ সালের সময়ে ভারতে অনেক বড় ব্যাবসাসফল চলচ্চিত্রের অংশ ছিলেন। এদের মধ্যে রয়েছে যেমনঃ রাজা হিন্দুস্তানী, কুছ কুছ হোতা হ্যায়, দিল তো পাগল হ্যায়, কাহো না... প্যায়ার হ্যায়, কাভি খুশি কাভি গাম... এবং দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে এর মত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র। যার স্বীকৃতিস্বরুপ তিনি শ্রেষ্ঠ সহ-তারকা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। ১৯৯৫ সালে তিনি মাম্মো নামের একটি চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। হিন্দি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন চলচ্চিত্র হিসেবে এটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত) লাভ করে। এছাড়াও তিনি তার অসাধারণ অভিনয় ক্ষমতার জন্য ফিল্মফেয়ার সমালোচনা পুরস্কারও লাভ করেন। চলচ্চিত্রে কর্মব্যস্ততার পাশাপাশি তিনি অনেক টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন। যেমনঃ জনপ্রিয় ধারাবাহিক সিটকম, দেখ বহি দেখ

২০০৫ সালে মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য ৫০ তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অনুষ্ঠানে সাইফ আলী খান ও সোনালী বেন্দ্রের সাথে সহকারী উপস্থাপক হিসেবে কাজ করেন। ২০০৮ সালের তিনি পাঞ্জাবি চলচ্চিত্র "আরিয়ান" এ বিশেষ অতিথি হিসেবে হাজির হন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি "বালিকা বধু" নামের একটি ধারাবাহিকে কাজ করছেন।

ব্যক্তিগত জীবন

ফরিদা জালাল ভাটকালের অভিনেতা তাবরেজ বরমভারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর তার স্বামী মৃত্যুবরণ করেন। এই দম্পতির ইয়াসিন নামে এটি সন্তান রয়েছে। তিনি তার স্বামীর সাথে "জীবন রেখা" নামক চলচ্চিত্রের কাজের সময়ে প্রথম পরিচিত হন এবং তারা প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। এরপর ১৯৭৮ সালে নভেম্বরে তারা বিবাহ করেন। বিয়ের পরে প্রাথমিকভাবে তিনি অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করার প্রস্তাব পাননি, যার ফলে তার স্বামীর একটি সাবান কারখানা ব্যবসা সামলাতে বেঙ্গালুরুতে পাড়ি জমান।[1]

পুরস্কার

চলচ্চিত্রের তালিকা

বছরচলচ্চিত্রভূমিকাউল্লেখযোগ্য
১৯৬৩ইয়ে রিস্তা হ্যায় প্যায়ার কেগীতা
১৯৬৭তকদীরগীতা (গোপালের ছোট মেয়ে)
১৯৬৯মহল
আরাধনারেনুনায়িকা হিসেবে প্রধান চরিত্রে অভিনয়
১৯৬৮বাহারু কি মঞ্জিল
১৯৭০পুরস্কাররেশমা
নয়া রাস্তারাধা প্রতাপ সিং
গোপিনন্দিনী
দেবীশােভা

টৈলিভিশন

  • ডলি আন্টি কা ড্রিম ভিলা
  • ইয়ে জো হ্যায় জিন্দেগী
  • দেখ ভাই দেখ (১৯৯০) ... সুহাসিনী / বলরাজ এর স্ত্রী
  • জুনুন (১৯৯৫)
  • শরত (২০০৩) ... জিয়া নানি / সুষমা / রাধা মমি
  • স্টার ইয়ার কালাকার ... অনুষ্ঠানের অতিথি
  • স্টার পরিবার পুরস্কার
  • বালিকা বধু ... (২০০৯, ২০১২) বাড়ি মাসিজি
  • আম্মাজি কি গাল্লি ... আম্মাজি
  • হিরো ভক্তি হি শক্তি হ্যায় ... বেবি (ছয় পর্ব) ১৮ জুলাই ২০০৫
  • জিন্নি অর জুজু ... জিনির দাদী (২০১২–১৩)
  • দ্যা গ্রেট মারাথা ... চিম্নাবাই
  • সাতরঙ্গী সাসুরাল ... গোমতী দেবী ভাটসাল

তথ্যসূত্র

  1. Farida Jalal – Interview (2000), "Cineplot.com"

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.