থিরুশ কামিনি

মুরুগেসান ডিকেশশাঙ্কর থিরুশ কামিনি (তামিল: திருஸ் காமினி; জন্ম: ৩০ জুন, ১৯৯০) তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ভারতীয় প্রমিলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলে থাকেন। এছাড়াও, ডানহাতে লেগ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে তামিলনাড়ু মহিলা দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এছাড়াও, রেলওয়েজের পক্ষে লিস্ট এ ক্রিকেটে অংশ নিচ্ছেন থিরুশ কামিনি। ভারত দলের পক্ষে এ পর্যন্ত ২টি টেস্ট ও ৩৮টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন।[1]

থিরুশ কামিনি
২০১৩ সালের আইসিসি মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপের ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলছেন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামথিরুশ কামিনি
জন্ম (1990-07-30) ৩০ জুলাই ১৯৯০
চেন্নাই, তামিলনাড়ু, ভারত
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি লেগ ব্রেক
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় পার্শ্ব
টেস্ট অভিষেক১৩ আগস্ট ২০১৪ বনাম ইংল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৬)
৭ মার্চ ২০০৯ বনাম পাকিস্তান
ওডিআই শার্ট নং১৬
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০০/০১-২০১৪/১৫তামিলনাড়ু মহিলা
২০১৫/১৬-বর্তমানরেলওয়েজ মহিলা
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই টি২০আই
ম্যাচ সংখ্যা ৩৮
রানের সংখ্যা ২৩৭ ৮১৫ ৬৭
ব্যাটিং গড় ৭৯.০০ ২৬.২৯ ৩৩.৫০
১০০/৫০ ১/০ ২/৩ ০/১
সর্বোচ্চ রান ১৯২ ১১৩* ৫৬
বল করেছে ৩৮৪
উইকেট
বোলিং গড় ৮.০০ ৪৫.৫৩
ইনিংসে ৫ উইকেট ৩০.১১
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৩/১৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৫/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো, ১৮ মে ২০১৭

প্রারম্ভিক জীবন

ছয় বছর বয়স থেকেই ক্রিকেটের প্রতি তার সুগভীর ভালোবাসা লক্ষ্য করে বাবা তাকে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন। আট বছর বয়সে তামিলনাড়ু অনূর্ধ্ব-১৬ রাজ্য দলে অংশ নেন। এরপর ১০ বছর বয়সে রাজ্য দলে বড়দের সাথে খেলতে থাকেন। ১৫ বছর বয়সে ভারতের অনূর্ধ্ব-২১ দলের সদস্যরূপে পাকিস্তান সফরে যান ও খেলার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান। ১৬ বছর বয়সে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন ও অংশগ্রহণকৃত প্রথম প্রতিযোগিতায় সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ের মর্যাদা পান। ২০০৭ সালে অ্যালান বর্ডার-গাভাস্কার বৃত্তিপ্রাপক হন ও অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে সেন্টার অব এক্সিলেন্সে প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে গমন করেন।

খেলোয়াড়ী জীবন

৭ মার্চ, ২০০৯ তারিখে পাকিস্তানের বিপক্ষে তার ওডিআই অভিষেক হয়। ২০১৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দূর্দান্ত সেঞ্চুরি করেন। স্বাগতিক ভারতে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী খেলায় তিনি ১৪৬ বল মোকাবেলা করে এ সেঞ্চুরিটি করেন ও ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান।[2] এরফলে বিশ্বকাপে মিতালী রাজের গড়া সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের রেকর্ড ভঙ্গ হয়ে যায়। ঐ খেলায় তার দল ১০৫ রানের বিরাট ব্যবধানে জয় পায়।

১৩ আগস্ট, ২০১৪ তারিখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। ২০১৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্টে ৪৩০ বলে ১৯২ রান তুলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়াসহ[3] যে-কোন ভারতীয় মহিলা হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রান তুলেন।[4]

২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় অনুষ্ঠিত আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রতিযোগিতায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নিজস্ব সেরা ১১৩ রান তুলেন ১৯৪ বল মোকাবেলা করে। এরফলে যে-কোন ভারতীয় মহিলা হিসেবে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন।[5]

অর্জনসমূহ

একমাত্র মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে তিনবার বর্ষসেরা বিসিসিআই পুরস্কারের অধিকারীনি হন। ২০০৭-০৮ মৌসুমে বর্ষসেরা কনিষ্ঠ খেলোয়াড়, ২০০৯-১০ ও ২০১২-১৩ মৌসুমের বর্ষসেরা জ্যেষ্ঠ খেলোয়াড় হন তিনি। বর্তমানে তিনি বিসিসিআইয়ের প্রথম স্তরের খেলোয়াড় হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.