স্মৃতি মন্ধনা
স্মৃতি শ্রীনিবাস মন্ধনা (মারাঠি: स्म्रिती मन्धाना; জন্ম: ১৮ জুলাই, ১৯৯৬) মহারাষ্ট্রের সাংলি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ভারতীয় প্রমিলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[1][2] ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে পারদর্শী স্মৃতি মন্ধনা।
![]() | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | স্মৃতি শ্রীনিবাস মন্ধনা | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | মুম্বই, মহারাষ্ট্র, ভারত | ১৮ জুলাই ১৯৯৬||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম পেস | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় পার্শ্ব | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৭৫) | ১৩ আগস্ট ২০১৪ বনাম ইংল্যান্ড | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৬ নভেম্বর ২০১৪ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক | ১০ এপ্রিল ২০১৩ বনাম বাংলাদেশ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২ জুলাই ২০১৭ বনাম পাকিস্তান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ১৮ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক | ৫ এপ্রিল ২০১৩ বনাম বাংলাদেশ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ৪ ডিসেম্বর ২০১৬ বনাম পাকিস্তান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো, ৪ জুলাই, ২০১৭ |
শৈশবকাল
১৮ জুলাই, ১৯৯৬ তারিখে মন্ধনা’র জন্ম।[3][4] স্মিতা ও শ্রীনিবাস মন্ধনা দম্পতির সন্তান তিনি। দুই বছর বয়সে সাংলি থেকে মহারাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হয় তার পরিবার। মহারাষ্ট্রে তার শিক্ষাজীবন অতিবাহিত হয়। তার পিতা ও ভাই শ্রাবণ - উভয়েই জেলা পর্যায়ে সাংলি জেলার পক্ষে ক্রিকেট খেলেছেন। মহারাষ্ট্রের অনূর্ধ্ব-১৬ প্রতিযোগিতায় ভাইয়ের খেলা দেখে ক্রিকেটের দিকে ধাবিত হন। নয় বছর বয়সে মহারাষ্ট্রের অনূর্ধ্ব-১৫ পর্যায়ের দলে খেলার জন্য মনোনীত হন। এগারো বছর বয়সে মহারাষ্ট্রের অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের দলে খেলার জন্য মনোনীত হন।[5]
মন্ধনা’র পরিবার নিবিড়ভাবে তার ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। তার বাবা মন্ধনা রাসায়নিক দ্রব্য পরিবেশক ও তার ক্রিকেট কার্যকলাপে তত্ত্বাবধান করেন। অন্যদিকে তার মা স্মিতা সুষম খাদ্য পরিবেশনা, পোষাক-পরিচ্ছদ সরবরাহ ও অন্যান্য সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত রয়েছেন। তার ভাই শ্রাবণ অদ্যাবধি অনুশীলনীতে তাকে বোলিং করে যাচ্ছেন।[3][4]
খেলোয়াড়ী জীবন
২০ এপ্রিল, ২০১৩ তারিখে বাংলাদেশের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে সিরিজের দ্বিতীয় ওডিআইয়ে ১০৯ বল মোকাবেলা করে ১০২ রান তুলেন। হোবার্টের বেলেরিভ ওভালের ঐ খেলায় নিজস্ব প্রথম শতরানটি অবশ্য বিফলে যায় ও তার দল পরাজিত হয়েছিল।[6] ওডিআই অভিষেকের পূর্বেই একই দলের বিপক্ষে ৫ এপ্রিল, ২০১৩ তারিখে টি২০আইয়ে অভিষিক্ত হন।
১৩ আগস্ট, ২০১৪ তারিখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক হয়। ওর্মস্লি পার্কে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে ২২ ও ৫১ রান তুলে দলকে জয়ের সন্ধান দেন। ১৮২ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে থিরুশ কামিনি’র সাথে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৬ রান তুলেছিলেন।[7][8] ২০১৬ সালের আইসিসি মহিলা বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।
ক্রিকেট বিশ্বকাপ
আইসিসি মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপকে ঘিরে ১৫ মে, ২০১৭ তারিখে মিতালী রাজের অধিনায়কত্বে ১৫-সদস্যের ভারতীয় দলের তালিকা প্রকাশ করা হয়।[9] এতে তিনিও অন্তর্ভূক্ত হন। ২৪ জুন, ২০১৭ তারিখে ডার্বির কাউন্টি গ্রাউন্ডে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত খেলায় স্মরণীয় ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শন করেন তিনি। মাত্র ৭২ বলে ৯০ রান তুলে দলকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৮১/৩-এ নিয়ে যান। এরপর দীপ্তি শর্মা’র ৩/৪৭ বোলিং পরিসংখ্যানে ইংল্যান্ড ২৪৬ রানে গুটিয়ে যায়। এরফলে ভারতীয় দল ৩৫ রানে জয়লাভ করে। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
একমাত্র ভারতীয় প্রমিলা খেলোয়াড় হিসেবে ২০১৬ সালে আইসিসি বর্ষসেরা মহিলা দলের সদস্যরূপে মনোনীত হন।[10]
তথ্যসূত্র
- "Smriti Mandhana"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০১৪।
- "Smriti Mandhana's journey from following her brother to practice to becoming a pivotal India batsman"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১৬।
- Patnaik, Sidhanta (৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪)। "Mandhana's journey from Sangli to England"। Wisden India। ১৭ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০১৬।
- Swamy, Kumar (১৭ আগস্ট ২০১৪)। "Smriti Mandhana logs Test win on debut in UK"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০১৬।
- Kishore, Shashank (১৮ মার্চ ২০১৬)। "The prodigious journey of Smriti Mandhana"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০১৬।
- "Australia Women ace 253 chase to seal series"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১৬।
- "Raj key in India's test of nerve"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১৬।
- "Nagraj Gollapudi speaks to members of India's winning women's team"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১৬।
- "Mandhana returns to India squad for Women's World Cup"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৭।
- "Smriti lone Indian in ICC women's team"। The Hindu। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৭।