তালাল বিন আবদুল্লাহ

তালাল বিন আবদুল্লাহ (আরবি: طلال بن عبد الله Ṭalāl ibn `Abd Allāh) ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯০৯ – ৭ জুলাই ১৯৭২) ছিলেন জর্ডানের বাদশাহ। ১৯৫১ সালের ২০ জুলাই তিনি ক্ষমতা লাভ করেন। ১৯৫২ সালের ১৮ আগস্ট অসুস্থতার কারণে ক্ষমতা ত্যাগের আগপর্যন্ত তিনি বাদশাহ ছিলেন।[1] তার পরিবার মুহাম্মদ (সা) এর সরাসরি বংশধর বলে দাবি করা হয়।

তালাল বিন আবদুল্লাহ
তালাল
জর্ডানের বাদশাহ
রাজত্ব২০ জুলাই ১৯৫১ – ১১ আগস্ট ১৯৫২
পূর্বসূরিআবদুল্লাহ বিন হুসাইন
উত্তরসূরিহুসাইন বিন তালাল
জন্ম(১৯০৯-০২-২৬)২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯০৯
মক্কা, হেজাজ ভিলায়েত
মৃত্যু৭ জুলাই ১৯৭২(1972-07-07) (বয়স ৬৩)
ইস্তানবুল, তুরস্ক
সমাধিরাগাদান প্রাসাদ
দাম্পত্য সঙ্গীজাইন আল-শারাফ তালাল
বংশধরহুসাইন বিন তালাল
প্রিন্স মুহাম্মদ
প্রিন্স আল হাসান
প্রিন্সেস বাসমা
রাজবংশআল-হাশিম
পিতাআবদুল্লাহ বিন হুসাইন
মাতামুসবাহ বিনতে নাসের
ধর্মইসলাম (সুন্নি)

জীবন

তালাল বিন আবদুল্লাহ ১৯০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন উসমানীয় সাম্রাজ্যের অন্তর্গত হেজাজের মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন আবদুল্লাহ বিন হুসাইন ও আবদুল্লাহর প্রথম স্ত্রী মুসবাহ বিনতে নাসেরের সন্তান।

ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর রয়েল মিলিটারি কলেজে ভর্তি হওয়ার পূর্বে তিনি গৃহশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে লেখাপড়া করেছেন। ১৯২৯ সালে তিনি মিলিটারি কলেজ থেকে স্নাতক হন এবং আরব লিজিওনের ক্যাভালরি রেজিমেন্টের সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশন পান। তার রেজিমেন্ট জেরুজালেমের ব্রিটিশ রেজিমেন্ট এবং বাগদাদের রয়েল আর্টিলারির সাথে যুক্ত ছিল।[2]

তার পিতা বাদশাহ আবদুল্লাহ নিহত হওয়ার পর তিনি সিংহাসন লাভ করেন। এসময় তালালের পুত্র হুসাইন আবদুল্লাহর সাথে ছিলেন। ১৯৫১ সালের ২০ জুলাই আল-আকসা মসজিদে জুমার নামাজের জন্য তারা জেরুজালেমে গিয়েছিলেন। এসময় আবদুল্লাহ নিহত হন। তবে হুসাইন বেঁচে যান।[3]

তার স্বল্পস্থায়ী শাসনামলে জর্ডানের সংবিধান প্রণীত হয়েছে। এতে সরকারকে সামগ্রিকভাবে এবং মন্ত্রীদের পৃথকভাবে সংসদের কাছে দায়ী থাকতে হয়। ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি এই সংবিধান কার্যকর হয়। এছাড়া এসময় প্রতিবেশী আরব রাষ্ট্র মিশরসৌদি আরবের সাথে জর্ডানের সম্পর্ক পূর্বের চেয়ে উন্নত হয়।

১৯৭২ সালের ৭ জুলাই ইস্তানবুলে তিনি মারা যান। আম্মানের রাগাদান প্রাসাদের রাজকীয় সমাধিতে তাকে দাফন করা হয়।

বিয়ে ও সন্তান

তালালের সন্তানগণ। বাম থেকে ডানে: প্রিন্স হাসান, বাদশাহ হুসাইন, প্রিন্সেস বাসমা ও প্রিন্স মুহাম্মদ

তালাল ১৯৩৪ সালে জাইন আল-শারাফ তালালকে বিয়ে করেন। তাদের চার পুত্র ও দুই কন্যা ছিল:

  • বাদশাহ হুসাইন (১৪ নভেম্বর ১৯৩৫ – ৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯)
  • প্রিন্সেস আসমা, ১৯৩৭ সালে জন্মের সময় মারা যান
  • প্রিন্স মুহাম্মদ (জন্ম ২ অক্টোবর ১৯৪০)
  • প্রিন্স আল হাসান (জন্ম ২০ মার্চ ১৯৪৭)
  • প্রিন্স মুহসিন (মৃত)
  • প্রিন্সেস বাসমা (জন্ম ১১ মে ১৯৫১)

সম্মাননা

তালাল নিম্নোক্ত সম্মাননা লাভ করেছেন:[2]

সামরিক

  • অনারারি লেফটেন্যান্ট, ট্রান্স-জর্ডান ফ্রন্টিয়ার ফোর্স‌, ১৯৩২
  • অনারারি মেজর-জেনারেল, জর্ডান আরব আর্মি, ১৯৪৯
  • ফিল্ড মার্শাল, জর্ডান আরব আর্মি, ১৯৫১
  • স্পেনের অর্ডার অফ মিলিটারি মেরিটের গ্র্যান্ড ক্রস, ১ এপ্রিল ১৯৫২[4]

বেসামরিক

  • গ্র্যান্ড ক্রস অফ দ্য হাশেমাইটস, ১৯৫১
  • ইরাক রাজতন্ত্রের অর্ডার অফ আল রাফিদাইন, প্রথম শ্রেণী, ১৯৫১
  • গ্র্যান্ড মাস্টার অফ দ্য অর্ডার অফ আল-হুসাইন বিন আলি, ১৯৫১
  • গ্র্যান্ড মাস্টার অফ দ্য সুপ্রিম অর্ডার অফ দ্য রেনেসা, 1951
  • গ্র্যান্ড মাস্টার অফ দ্য অর্ডার অফ ইন্ডিপেন্ডেন্স, ১৯৫১

তথ্যসূত্র

  1. "Schizophrenia," Time Magazine, 18 August 1952
  2. Jordan Royal Ark
  3. Elliot House, Karen (৬ সেপ্টেম্বর ২০০৮)। "The Art of Middle East Survival"The Wall Street Journal। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০১৩
  4. Boletín Oficial del Estado
রাজত্বকাল শিরোনাম
পূর্বসূরী
প্রথম আবদুল্লাহ
জর্ডানের বাদশাহ
১৯৫১–১৯৫২
উত্তরসূরী
হুসাইন
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.