টিউলিপ সিদ্দিক
টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক (জন্ম: ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮২) একজন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেবার পার্টি এবং কো-অপারেটিপ পার্টির রাজনীতিবিদ। তিনি ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে লন্ডনের হ্যামস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।[1] এর পূর্বে তিনি রিজেন্ট পার্কের কাউন্সিলর এবং ২০১০ সালে ক্যামডেন কাউন্সিলের কালচার অ্যান্ড কমিউনিটির সদস্য ছিলেন।
টিউলিপ সিদ্দিক এমপি | |
---|---|
![]() | |
Member of Parliament for হ্যামস্টিড ও কিলবার্ন | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ৭ মে ২০১৫ | |
পূর্বসূরী | গ্লেন্ডা জ্যাকসন |
সংখ্যাগরিষ্ঠ | 1,138 (2.1%) |
Member of the Camden London Borough Council for রিজেন্টস পার্ক | |
কাজের মেয়াদ ৬ মে ২০১০ – ২২ মে ২০১৪ | |
পূর্বসূরী | থিওডর ব্ল্যাকওয়েল |
উত্তরসূরী | নাদিয়া শাহ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮২ মিশাম, লন্ডন, ইংল্যান্ড |
রাজনৈতিক দল | Labour Co-operative |
দাম্পত্য সঙ্গী | ক্রিশ্চিয়ান পার্সি (২০১৩–বর্তমান) |
সম্পর্ক | শেখ মুজিবুর রহমান (নানা) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | University College London King's College London |
ধর্ম | ইসলাম |
ওয়েবসাইট | Official website |
প্রাথমিক জীবন
শেখ রেহানা ও শফিক সিদ্দিকীর মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ১৯৮২ সালে লন্ডনের মিচামে সেন্ট হেলিয়ার হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন।[2]
তার শৈশব কেটেছে বাংলাদেশ, ভারত এবং সিঙ্গাপুরে। ১৫ বছর বয়স থেকে তিনি হ্যাম্পস্টিড ও কিলবার্নে বসবাস করছেন। এই এলাকায় স্কুলে পড়েছেন ও কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে পলিটিক্স, পলিসি ও গভর্নমেন্ট বিষয়ে তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হওয়া টিউলিপ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গ্রেটার লন্ডন অথরিটি এবং সেইভ দ্য চিলড্রেনের সঙ্গেও কাজ করেছেন। ২০১০ সালে ক্যামডেন কাউন্সিলে প্রথম বাঙালি নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হন তিনি।[3]
রাজনৈতিক জীবন
ব্রিটেনের ৫৬ তম সাধারণ নির্বাচনে হ্যাম্পস্টিড ও কিলবার্ন আসন থেকে এমপি পদে বিজয়ী হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি, শেখ রেহানা ও শফিক সিদ্দিকীর বড় মেয়ে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ। ২০১৫ সালের নির্বাচনে টিউলিপের জয়ের ব্যবধান ছিল এক হাজার ১৩৮ ভোট। ৭ মে ১ হাজার ১৩৮ ভোটের ব্যবধানে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থীকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছিলেন টিউলিপ। টিউলিপ সিদ্দিকী পেয়েছিলেন ২৩ হাজার ৯৭৭ ভোট। আর কনজারভেটিভ পার্টির সায়মন মার্কাস পেয়েছেন ২২ হাজার ৮৩৯ ভোট। [3] দুইবছর পর ২০১৭ সালে টিউলিপ সিদ্দিক আবারও জিতলেন যুক্তরাজ্যে। এবার ভোটের ব্যবধান বেড়েছে দশগুণেরও বেশি। লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে লেবার পার্র্টির প্রার্থী টিউলিপ পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৪৬৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী ক্লেয়ার লুইচ লিল্যান্ড পেয়েছেন টিউলিপের অর্ধেক ভোট। তার পক্ষে রায় দিয়েছেন মাত্র ১৮ হাজার ৯০৪ জন।[4]
২০১৫ সালে টিউলিপ ব্রিটিশ লেবার পার্টির ছায়া মন্ত্রিপরিষদে সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও ক্রীড়া বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হন। ২০১৭ সালে ব্রিটেনের লেবার পার্টির ছায়া শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক এমপি। [3]
ব্যক্তিগত জীবন
স্বামী ক্রিস পার্সির সঙ্গে টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনে বসবাস করেন। এই দম্পতির এক মেয়ে ও ছেলে রয়েছে। মেয়ে আজালিয়া জয় পার্সির ও রাফায়েল মুজিব সেন্ট জন পার্সি। [5]
আরও দেখুন
- ব্রিটিশ বাংলাদেশী
- ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের তালিকা
তথ্যসূত্র
- "ব্রিটিশ এমপি হলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রূপা, টিউলিপ ও রুশনারা"। রেডিও তেহরান। ৮ মে ২০১৫। ১২ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৬।
- Bennett, Owen (২০ অক্টোবর ২০১৫)। "Tulip Siddiq On Glenda Jackson, Why Obama Could Only Fall From The Pedestal, And Why Work Never Stops Even At Zumba Class"। The Huffington Post। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১৫।
- "ব্রিটেনের 'ছায়া' মন্ত্রী হলেন টিউলিপ সিদ্দিক'"। ১০ অক্টোবর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৭।
- "টিউলিপের জয়"। ০৯ জুন ২০১৭, ০৮:৫১। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৭। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - "ছেলের মা হলেন টিউলিপ সিদ্দিক"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-২১।
বহিঃসংযোগ
- প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট
- টুইটারে Tulip Siddiq
- Tulip Siddiq on Huffington Post
- Tulip Siddiq on Camden Council
- Siddiq, Tulip. How to engage ethnic minorities with democracy. Compass. 18 May 2009
যুক্তরাজ্যের সংসদ (১৮০১–বর্তমান) | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী গ্লেন্ডা জ্যাকসন |
সংসদ সদস্য হ্যামস্টিড ও কিলবার্ন এর সংসদ সদস্য ২০১৫–বর্তমান |
নির্ধারিত হয়নি |