জো পুতুল
জো পুতুল মেদিনীপুরের লৌকিক শিল্পের মধ্যে অন্যতম।[1] হাতে তৈরি এই পুতুল গুলো মূলত পটুয়ারা তৈরি করেন। এই ধরনের পুতুলের মূল উপজীব্য হলো মা ও ছেলে। পটুয়া মহিলারা এই ধরনের পুতুল তৈরি করেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের গোলগ্রামের ফুলজান চিত্রকর এই ধরনের পুতুল তৈরি করেন।[2]
জো পুতুল | |
---|---|
উৎপত্তিস্থল | পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত |
উপাদান | পোড়ামাটি |
আকৃতি | মা ও ছেলে |
রং | পোড়ামাটির রং |
ব্যবহার | ঘর সাজানো |
প্রস্তুতকারী | গোলগ্রামের ফুলজান চিত্রকর |
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে জো পুতুল সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
উপজীব্য
ষষ্ঠী পুতুলের মতো এই পুতুল গুলো তেও মা ও ছেলে মূল উপজীব্য।
বর্ননা ও প্রস্তুতি
মা ও ছেলের এই পুতুল গুলো তরল কাদা মাটি দিয়ে তৈরি করে পরে রোদে শুকিয়ে নিতে হয়। ভালো ভাবে শুকিয়ে গেলে আগুনে পুড়িয়ে নেওয়া হয়। জো পুতুলের মায়ের মুখ অনেকটা গড়ুর পাখীর মতো। যা আজও আদিমতাকে ধরে রেখেছে।
এরপর ভেষজ রং দিয়ে বহুবর্ণশোভিত করে তোলা হয়। বর্তমানে ভেষজ রঙের অত্যাধিক দাম হওয়ার জন্য বাজারের কৃত্রিম রং ব্যবহার হয়।
তথ্যসূত্র
- Bhowmik, Arindam। Medinikatha - Purba Medinipur (Midnapore), Tourism & Archaeology (মেদিনীকথা - পূর্ব মেদিনীপুর, পর্যটন ও পুরাকীর্তি): Combination of History, Heritage, Tourism, Culture of East Midnapore.। Arindam Bhowmik। আইএসবিএন 9788193189238।
- তারাপদ সাঁতারা (ডিসেম্বর, ২০০০)। পশ্চিমবঙ্গের লোকশিল্প ও শিল্পী সমাজ। কলকাতা: লোকসংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্র। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য)
This article is issued from
Wikipedia.
The text is licensed under Creative
Commons - Attribution - Sharealike.
Additional terms may apply for the media files.