ঘাড় নাড়া পুতুল
ঘাড় নাড়া পুতুল আধুনিক কালের অন্যতম পুতুল। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার এই পুতুল বিভিন্ন মেলায় দেখা যায়।[1] শিশু মনের মন রঞ্জনের জন্য এই পুতুল বাচ্চাদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। বর্তমানে এই পুতুল শিল্পীর সংখ্যা কমে গেলেও আরতি পাল এই ধরনের পুতুল তৈরি করে চলেছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে এই পুতুল প্রচারের আলোয় এসেছে।[1]
ঘাড় নাড়া পুতুল | |
---|---|
![]() লাঠি হাতে ঘাড় নাড়া বুড়ো | |
উৎপত্তিস্থল | উত্তর চব্বিশ পরগনা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত |
উপাদান | কাঁচা মাটি, পোড়ামাটি |
আকৃতি | মনুষ্য মূর্তি |
উচ্চতা | ২/৩ ইঞ্চি থেকে ১ ফুট |
রং | রঙিন |
স্টাইল | বাংলার পুতুল, আধুনিক বঙ্গীয় ঘরানা |
ব্যবহার | ঘর সাজানো, শিশুদের খেলনা |
প্রকারভেদ | হুঁকো হাতে বুড়ো, সিগারেট হাতে ইংরেজ সাহেবের অবয়ব |
প্রস্তুতকারী | আরতি পাল |
বিপণনকারী | বিশ্ব বাংলা |
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে ঘাড় নাড়া পুতুল সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
গঠন বর্ণনা
পোড়ামাটি বা কাঁচামাটি দিয়ে এই পুতুল গুলি করা হয়। এই পুতুল গুলোর মাথা শরীরের বাকি অংশের সাথে স্প্রিং দিয়ে জুড়ে থাকে। যার ফলে হালকা টোকা দিলেই মাথাটি নড়তে থাকে। যেন মনে হয় পুতুলটি ঘাড় নড়াচ্ছে। পুতুলের হাত পা শরীরের সাথেই একই সাথে তৈরি করা হয়। কেবল মাথা আলাদা করে করা হয়। বেশ ছোট পুতুলের পাশাপাশি বৃহৎ আকারেরও পুতুল তৈরি করা হয়।[1]
উপজীব্য
বাচ্চাদের মনরঞ্জনের জন্য হুঁকো হাতে বুড়ো বা ইংরেজ সাহেবের সিগারেট খাওয়া অবয়ব তৈরি করা হয়।[1]
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে মাটি দিয়ে মাথা বাদে বাকি পুতুলের অংশ তৈরি করা হয়। কাঁচা অবস্থাতেই একটি স্প্রিং ঘাড়ের সাথে লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আলাদা করে মাথা তৈরি করে ঘাড়ের সাথে লাগানো স্প্রিংয়ের অন্য প্রান্তে সাথে লাগিয়ে দেওয়া হয়। অনেক সময় কাঁচা মাটি রোদে পুড়িয়ে নিয়ে রং করে নেওয়া হয়। আবার কখনো কখনো পুতুলটিকে ভাটিতে পুড়িয়েও নেওয়া হয়।[1]
তথ্যসূত্র
- "বিশ্ববাংলা ওয়েবসাইট"। http://www.biswabangla.in/ (ইংরাজি ভাষায়)। বিশ্ব বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারী ২০১৮।
|ওয়েবসাইট=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)