আশ্চর্য প্রদীপ
আশ্চর্য পুতুল পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের কুনুরের মৃৎশিল্পীদের এক অভূতপূর্ব অবদান। বাংলার পোড়ামাটির মৃৎশিল্পের অন্যতম নিদর্শন। পাশ্চাত্যের টেবিল ল্যাম্প এর মতনই গ্রাম বাংলার তথা বাংলার জনজীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ আশ্চর্য প্রদীপ। এই প্রদীপ বা বাতিদানের কারুকার্য প্রদীপের সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।[1]
আশ্চর্য পুতুল | |
---|---|
উৎপত্তিস্থল | কুনুর, উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিমবঙ্গ |
উপাদান | মাটি, পোড়ামাটি |
আকৃতি | বিভিন্ন আকৃতির মাটির বাতিদান |
ব্যবহার | গৃহস্থলীর কাজে ব্যবহার হয় |
প্রস্তুতকারী | শম্ভু রায় |
বর্তমানে শম্ভু রায় এই প্রদীপ তৈরি করেন। সাম্প্রতিক কালে নিত্য ব্যবহারের জন্য গনেশাকৃতির পেনদানি তৈরি করা হচ্ছে।[1][2]
বর্ণনা
মাছ, হাতি, ময়ূর, কচ্ছপ ইত্যাদি নানা আকারের এই বাতিদান গুলি তৈরি করা হয়। আগের রেডি বা সর্ষের তেল ব্যবহার করা হতো। তবে বর্তমানে কেরোসিনের তেল ব্যবহার করা হয়। পুতুলের অলংকরণ খুবই শিল্প সুষম মন্ডিত।[1]
গঠন
এই বাতিদানের উল্টো দিক দিয়ে তেল ঢালা হয়। তবে অদ্ভুতভাবে তেল পরে যায় না। বাতিদানের মুখের দিক দিয়ে শলতে ঢুকানোর ব্যবস্থা থাকে।[2]
তথ্যসূত্র
- বিশ্ব বাংলা। বাংলার পুতুল (PDF)। বিশ্ব বাংলা।
- তারাপদ সাঁতারা (ডিসেম্বর ২০০০)। পশ্চিমবঙ্গের লোকশিল্প ও শিল্পী সমাজ। কলকাতা: লোকসংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্র।