গতিশক্তি
গতিশক্তি বলতে কোন বস্তু এর গতির কারণে কাজ করার যে সামর্থ্য লাভ করে তা বোঝানো হয়। কোন বস্তকে স্থির অবস্থা থেকে কোন নির্দিষ্ট বেগে আনতে যে পরিমাণ কাজ করা হয় তা দিয়ে এর গতিশক্তির পরিমাপ করা হয়। গতিশীল বস্তুটি স্থির অবস্থা থেকে একটি নির্দিষ্ট বেগে আসতে যে পরিমাণ গতিশক্তি অর্জন করে, থেমে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বস্তুটি পরিমাণ কাজ করতে পারে অর্থাৎ এই পরিমাণ গতিশক্তিকে অন্য শক্তিতে রুপান্তর করতে পারে।[1]
নিউটনীয় পদার্থবিদ্যা অনুসারে সরল পথে চলমান কোন বস্তুর ভর m এবং বেগ v হলে এর গতিশক্তি,
চিরায়ত বলবিদ্যা | ||||||||||
নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র | ||||||||||
চিরায়ত বলবিদ্যার ইতিহাস
| ||||||||||
আপেক্ষিক পদার্থবিদ্যায় বস্তুর ভর m যেহেতু ধ্রুবক নয় বরং তা এর বেগের পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয় তাই এর গতিশক্তিও পরিব্ররতিত হয়। ½ mv² সূত্রটি তখনই খাটে যখন v এর মান আলোর বেগ c এর চেয়ে অনেক কম হয়।
গতিশক্তির আন্তর্জাতিক একক হল জুল। কোন বস্তুর গতিশক্তিকে অন্য শক্তিতে রূপান্তর করা সম্ভব, যেমন তড়িৎ, আলো, শব্দ, তাপ ইত্যাদি।
কোন বস্তুকে একটি নির্দিষ্ট বেগে আনতে এতে যা পরিমাণ বল প্রয়োগ করা হয় এবং এসময় বস্তুটি যে দুরত্ব অতিক্রম করে তার গুণফল দ্বারাও গতিশক্তির পরিমাপ করা যায়। m ভরের কোন বস্তুকে F বল প্রয়োগের ফলে এটি v বেগ প্রাপ্ত হলে এবং এসময় বস্তটি s দূরত্ব অতিক্রম করলে গতিশক্তি,
এছাড়া কোন বস্তুর ভরবেগ p হলে এবং ভর m হলে এর গতিশক্তি,
তথ্যসূত্র
- Jain, Mahesh C. (২০০৯)। Textbook of Engineering Physics (Part I)। PHI Learning Pvt. Ltd.। পৃষ্ঠা 9। আইএসবিএন 81-203-3862-6।, Chapter 1, p. 9