আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাথলেটিকস ফেডারশেনস (আইএএএফ) (ইংরেজি: International Association of Athletics Federations) বা আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিকস ক্রীড়াঙ্গণের সর্বোচ্চ ক্রীড়া পরিচালনাকারী সংস্থা। এ সংস্থাটি দৌঁড়, লাফ ও নিক্ষেপজাতীয় ক্রীড়া বৈশ্বিকভাবে পরিচালনা করে থাকে। ১৭ জুলাই, ১৯১২ তারিখে সুইডেনের স্টকহোমে ১৭টি দেশের জাতীয় অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সম্মতিক্রমে আন্তর্জাতিক শৌখিন অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন নামে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত করেছিল। পরবর্তীতে অক্টোবর, ১৯৯৩ সালে মোনাকোয় এর সদর দফতর স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে আইএএএফের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন যুক্তরাজ্যের সেবাস্টিয়ান কো।[1] চীনের বেইজিংয়ে অণুষ্ঠিত ২০১৫ সালের বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতা শুরুর পূর্বে আইএএএফ কংগ্রেসের মাধ্যমে নির্বাচিত সদস্যরূপে সাবেক সভাপতি সেনেগালের লেমাইন ডায়াতের স্থলাভিষিক্ত হন।
গঠিত | ১৭ জুলাই, ১৯১২ |
---|---|
ধরণ | ক্রীড়া সংস্থা |
সদরদপ্তর | ![]() |
সদস্যপদ | ২১৪ সদস্য সংগঠন |
সভাপতি | ![]() |
ওয়েবসাইট | www.IAAF.org |
১৯৮২ সালের শুরুতে আইএএএফ অনেকগুলো অধ্যাদেশ জারীর মাধ্যমে বেশকিছু নিয়ম-কানুন পরিবর্তন করে। এরফলে আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় ক্রীড়াবিদদের অংশগ্রহণ সহজতর হয়। এছাড়াও, ২০০১ সালের আইএএএফ কংগ্রেসে অ্যামেচার শব্দটির বিলোপন ঘটিয়ে বর্তমান নামে পরিচিতি পায়।
সভাপতিদের তালিকা
আইএএফ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ছয়জন ব্যক্তিত্ব সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তারা হলেন -
নাম | দেশ | মেয়াদকাল |
---|---|---|
সিগফ্রিদ এডস্ট্রোম | ![]() |
১৯১২-১৯৪৬ |
লর্ড বার্গলি | ![]() |
১৯৪৬-১৯৭৬ |
আর্দ্রিয়ান পলেন | ![]() |
১৯৭৬-১৯৮১ |
প্রাইমো নেবায়োলো | ![]() |
১৯৮১-১৯৯৯ |
লেমাইন ডায়াত | ![]() |
১৯৯৯-২০১৫ |
লর্ড কো | ![]() |
২০১৫– |
আঞ্চলিক সংস্থা

বর্তমানে আইএএএফের ২১৪টি সদস্য সংগঠন রয়েছে। ২০১০ সালের নভেম্বরে আইএএএফ কাউন্সিলের সভায় জানানো হয় যে, নেদারল্যান্ডস অ্যান্টিলোপ স্বেচ্ছায় সদস্য পদ ত্যাগ করেছে। সদস্য সংগঠনকে ৬টি অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে।[2][3]
- এএএ - এশিয়ায় এশিয়ান অ্যাথলেটিকস অ্যাসোসিয়েশন
- সিএএ - আফ্রিকায় আফ্রিকান অ্যাথলেটিকস কনফেডারেশন
- কনসুডাটল – দক্ষিণ আমেরিকায় কনফেডারেশিও সুডামেরিকানা ডি এটলেটিসমো
- ইএএ – ইউরোপে ইউরোপীয় অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশন
- নাকাকা – উত্তর আমেরিকায় উত্তর আমেরিকা, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবিয় অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশন
- ওএএ – অস্ট্রেলিয়া এবং ওশেনিয়ায় (অস্ট্রেলেশিয়া) ওশেনিয়া অ্যাথলেটিকস অ্যাসোসিয়েশন
বয়স-শ্রেণী নির্ধারণ
প্রতিযোগিতাসমূহ
প্রতিযোগিতার মান বজায় রাখার স্বার্থে সময়সংরক্ষণ পদ্ধতি ও বিশ্বরেকর্ড সংরক্ষণ করে থাকে। এছাড়াও আইএএএফ বৈশ্বিকভাবে অনেক বড় ধরনের প্রতিযোগিতা পরিচালনা করে।
বিশ্ব অ্যাথলেটিকস সিরিজ
প্রতিযোগিতা | সংঘটন কাল | প্রবর্তন |
---|---|---|
বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ | প্রতি দুই বছর অন্তর | ১৯৮৩ |
আইএএএফ বিশ্ব অভ্যন্তরীণ অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ | প্রতি দুই বছর অন্তর | ১৯৮৫ |
আইএএএফ বিশ্ব ক্রস কান্ট্রি চ্যাম্পিয়নশিপ | প্রতি দুই বছর অন্তর | ১৯৭৩ |
আইএএএফ বিশ্ব অর্ধ-ম্যারাথন চ্যাম্পিয়নশিপ | প্রতি দুই বছর অন্তর | ১৯৯২ |
আইএএএফ বিশ্ব জুনিয়র অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ | প্রতি দুই বছর অন্তর | ১৯৮৬ |
আইএএএফ বিশ্ব যুব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ | প্রতি দুই বছর অন্তর | ১৯৯৯ |
আইএএএফ ওয়ার্ল্ড রেস ওয়াকিং কাপ | প্রতি দুই বছর অন্তর | ১৯৬১ |
আইএএএফ বিশ্ব ম্যারাথন কাপ | প্রতি দুই বছর অন্তর | ১৯৮৫ |
আইএএএফ মহাদেশীয় কাপ† | প্রতি চার বছর অন্তর | ১৯৭৭ |
আইএএএফ বিশ্ব রিলে | প্রতি বছর | ২০১৪ |
- † = সাবেক আইএএএফ বিশ্বকাপ
একদিনের বিষয়
প্রতিযোগিতা | প্রবর্তন |
---|---|
আইএএএফ ডায়মন্ড লীগ | ২০১০ |
আইএএএফ ওয়ার্ল্ড চ্যালেঞ্জ মিটিংস | ২০১০ |
আইএএএফ ইনডোর পারমিট মিটিংস | ২০১০ |
আইএএএফ লেবেল রোড রেসেস | |
আইএএএফ ক্রস কান্ট্রি পারমিট মিটিংস | |
আইএএএফ ওয়ার্ল্ড কম্বাইন্ড ইভেন্টস চ্যালেঞ্জ | ১৯৯৮ |
আইএএএফ ওয়ার্ল্ড রেস ওয়াকিং চ্যালেঞ্জ | ২০০৩ |
বিলুপ্ত
প্রতিযোগিতা | সংঘটন কাল |
---|---|
আইএএএফ ওয়ার্ল্ড রোড রানিং চ্যাম্পিয়নশিপ | বিলোপন |
আইএএএফ ওয়ার্ল্ড রোড রিলে চ্যাম্পিয়নশিপ | বিলোপন |
আইএএএফ ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকস ট্যুর | বিলোপন |
আইএএএফ গোল্ডেন লীগ | বিলোপন |
আইএএএফ সুপার গ্রাঁ প্রি | বিলোপন |
আইএএএফ গ্রাঁ প্রি | বিলোপন |
আইএএএফ গ্রাঁ প্রি ফাইনাল | বিলোপন |
আইএএএফ ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকস ফাইনাল | বিলোপন |
আইএএএফ ওয়ার্ল্ড ক্রস চ্যালেঞ্জ | বিলোপন |
তথ্যসূত্র
- "Athletics: Sebastian Coe elected IAAF president"। BBC Sport। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০১৫।
- "IAAF National Member Federations"। IAAF.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৭-১৪।
- http://www.iaaf.org/mm/Document/imported/9589.pdf
- "BASIC INFORMATION GUIDE – 2011"। iaaf.org। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৩।