আন্তর্জাতিক বাস্কেটবল সংস্থা

ফিবা বা আন্তর্জাতিক বাস্কেটবল সংস্থা (ইংরেজি: International Basketball Federation) বিভিন্ন দেশের জাতীয় বাস্কেটবল সংস্থার একটি সংগঠন যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাস্কেটবল প্রতিযোগিতার নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে পরিচিত। সংস্থাটি ১৯৩২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে আর্জেন্টিনা, চেকোস্লোভাকিয়া, গ্রীস, ইতালি, লাতভিয়া, পর্তুগাল, রোমানিয়া এবং সুইজারল্যান্ড - এই আটটি দেশ সদস্য ছিল। ঐ সময় সংস্থায় কেবলমাত্র সৌখিন খেলোয়াড়দেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হতো। এর সমার্থক শব্দগুচ্ছ ফরাসী ভাষা ফেদারেশিও ইন্টারনেশিওনালে ডি বাস্কেটবল এমেচার থেকে উদ্ভূত হয়ে পরবর্তীকালে ফিআইবিএ বা ফিবা নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৮৯ সালে এমেচার শব্দটি বাদ দেয়া হয়। কিন্তু বাস্কেটবলের বিএ শব্দটিকে অক্ষুণ্ন রাখা হয়। বর্তমানে ২১৩টি দেশের জাতীয় বাস্কেটবল সংস্থা এর সদস্য। দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে রয়েছে - ইংরেজি, ফরাসী, জার্মান, রুশ এবং স্প্যানিশ ভাষা।[1]

আন্তর্জাতিক বাস্কেটবল সংস্থা
Fédération Internationale de Basketball
সংক্ষেপেএফআইবিএ
নীতিবাক্য"We are basketball"
গঠিত১৮ জুন, ১৯৩২
ধরণক্রীড়া সংস্থা
অবস্থান
যে অঞ্চলে কাজ করে
বিশ্বব্যাপী
সদস্যপদ
২১৩টি জাতীয় সংস্থা
দাপ্তরিক ভাষা
ইংরেজি, ফরাসী, জার্মান, রুশ এবং স্প্যানিশ
মহাসচিব
প্যাট্রিক বমান
সভাপতি
ওয়াইভান মেইনিনি
মূল ব্যক্তিত্ব
বরিস্লাভ স্টানকোভিচ
জর্জ ভাসিলাকোপোলস
ম্যানফ্রেদ স্ট্রোহার
ওয়েবসাইটডব্লিউডব্লিউডব্লিউ.ফিবা.কম

কার্যাবলী

আন্তর্জাতিক বাস্কেটবল সংস্থা বাস্কেটবল খেলার আইন-কানুন আন্তর্জাতিকভাবে প্রণয়ন করে থাকে। ব্যবহৃত উপকরণের নির্দিষ্টতা, প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান, ক্রীড়াবিদদের স্থানান্তরসহ আন্তর্জাতিক বাস্কেটবল প্রতিযোগিতার জন্যে রেফারীকে মনোনয়ন দিয়ে থাকে। সদস্যভূক্ত ২১৩টি দেশের জাতীয় বাস্কেটবল সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণের জন্যে ৫টি জোন বা কমিশনে বিভাজন করা হয়েছে। সেগুলো হলো :-

  • আফ্রিকা
  • আমেরিকা
  • এশিয়া
  • ইউরোপ এবং
  • ওশেনিয়া

ফিবা বাস্কেটবল বিশ্বকাপ

প্রতি চার বছর অন্তর বৈশ্বিক প্রতিযোগিতারূপে পুরুষদের ফিবা বাস্কেটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৫০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত এটি ফিবা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপ নামে পরিচিত ছিল।[2] ২০১৪ সাল থেকে ফিবা বাস্কেটবল বিশ্বকাপ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করবে। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্যে বাস্কেটবল ক্রীড়ার উদ্ভাবক জেমস নাইস্মিথকে সম্মান জানিয়ে নাইস্মিথ ট্রফি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়। ফিবা প্রমিলা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপও চার বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয় কিন্তু তা পৃথক দেশে।

২০০৯ সালে ফিবা তিনটি নতুন প্রতিযোগিতার কথা ঘোষণা করেছিল -

  • দ্ইটি ১২ দলের সমন্বয়ে ফিবা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপ (পুরুষ ও প্রমিলা)
  • একটি ৮ দলের সমন্বয়ে ফিবা বিশ্ব ক্লাব চ্যাম্পিয়নশীপ - যা অক্টোবর, ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত হয়।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.