পোড়ামা কালীমন্দির, নবদ্বীপ
পোড়ামা কালীমন্দির পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার নবদ্বীপ শহরে অবস্থিত একটি প্রাচীন কালী মন্দির।

ইতিহাস
পঞ্চদশ শতাব্দীতে বাসুদেব সার্বভৌম নামক এক পণ্ডিত নবদ্বীপ শহরের এক বটবৃক্ষতলে দক্ষিণাকালীর ঘট স্থাপন করেন। কোন এক সময়ে বটগাছটি অগ্নিদগ্ধ হলে এই কালী পোড়ামা নামে জনপ্রিয় হন।
অন্য মতে, বাসুদেব সার্বভৌম এর বহু পূর্বে জনৈক রামভদ্র সিদ্ধান্তবাগীশ (কুসুমাঞ্জলি গ্রন্থের 'রামভদ্রি' টীকাকার) দক্ষিণাকালীর সাধক ছিলেন। গোপাল মন্ত্রে সিদ্ধ অন্য এক পণ্ডিতের সঙ্গে তার শাস্ত্রীয় বিচার হয়। পরাজিত ব্যক্তি বিজয়ীর মন্ত্রশিষ্য হবেন, উভয়ে এই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন। সিদ্ধান্তবাগীশ, পরাজিত হয়ে প্রতিজ্ঞামতো তার ইষ্টমন্ত্র ত্যাগ করতে উদ্যত হলে, ভয়ানক অগ্নিকাণ্ডে তার ইটের বাড়ি ভস্মীভূত হতে থাকে এবং মন্দিরের মধ্যে দেবীর করালমূর্তি তার দর্শনগোচর হয়, দেবীর কোলে গোপাল উপবিষ্ট। মন্ত্রশোধিত জল ছড়িয়ে আগুন নিভলে সাধক নিজে বেঁচে যান এবং তার মন্দিরে দু'খানি মাত্র ইট অবশিষ্ট থাকে। এই ইট দুখানা আজও পোড়া-মার আধার হয়ে রয়েছে এবং তার উপরেই ঘটস্থাপন করে পূজা হয়।[1]
প্রতিষ্ঠা
১৮০৪ খ্রিষ্টাব্দে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পুত্র গিরীশচন্দ্র দেবীবিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন। কষ্টিপাথরে নির্মিত কালীবিগ্রহ আসন করে শায়িত শিবের ওপর উপবিষ্টা।[2]:৯৯,১০০ এই মন্দিরের কাছেই ভবতারণ শিব এবং ভবতারিনী কালী মন্দির আছে।
তথ্যসূত্র
- ঘোষ, বিনয়, "পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি", তৃতীয় খন্ড, প্রথম সংস্করণ, প্রকাশ ভবন, পৃষ্ঠা: ৭৮
- তিন তীর্থে, শিবশঙ্কর ভারতী, সাহিত্যম্, ১৮বি, শ্যামাচরণ দে স্ট্রিট, কলকাতা-৭৩, প্রথম প্রকাশ- ১৮ই জানুয়ারী, ২০০১