সিধু কানু
সিধু ও কানু ভ্রাতৃদ্বয় (যথাক্রমে সিধু মুর্মু ও কানু মুর্মু), অন্য বানানে সিধু মাঝি(? - ১৮৫৬) ও কানু মাঝি (১৮২০ - ২৩ জানুয়ারি, ১৮৫৬)ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম দিকের সাঁওতাল বিদ্রোহের দুজন সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা। কিছু লোকের বিশ্বাসঘাতকতার ফলে সিধু গ্রেপ্তার হন। পরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।[1] কানু মাঝি ছিলেন তার অনুজ এবং অপর বীরদ্বয় চাঁদ ও ভৈরব তার অপর দুজন অনুজ ভ্রাতা। বীরভূম জেলার ওপারে সশস্ত্র পুলিসবাহিনীর গুলিতে কানু মাঝির মৃত্যু হয়। ভৈরব ও চাঁদ ভাগলপুরের কাছে এক ভয়ংকর যুদ্ধে প্রাণ বিসর্জন করেন।[1]
এছাড়াও কলিয়ান হরাম ছিলেন সাঁওতাল বিদ্রোহের ইতিহাসের লিপিকার এবং সাঁওতালদের গুরু। তিনি তার "হরকোরেন মারে হাপরাম্বো রিয়াক কথা" শীর্ষক একটি রচনায় সাঁওতাল বিদ্রোহের ইতিবৃত্ত রেখে গেছেন। এই ইতিবৃত্তে সাঁওতাল বিদ্রোহের নায়ক সিধু ও কানুর সংগ্রাম-ধ্বনি, যথাঃ "রাজা-মহারাজাদের খতম করো", "দিকুদের (বাঙালি মহাজনদের) গঙ্গা পার করে দাও", "আমাদের নিজেদের হাতে শাসন চাই" প্রভৃতি লিপিবদ্ধ আছে।[1]
তথ্যসূত্র
- সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৭৭৯, ১১৪, ১১৮, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬