শামসুদ্দিন হীরা
শামসুদ্দীন হিরা একজন বাংলাদেশী গীতিকার ও সুরকার। প্রথমদিকে হীরা সংগীতশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও পরবর্তীতে গীতিকার হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন।
প্রাথমিক জীবন
শামসুদ্দিন হীরা ১৯৫৩ সালে জয়পুরহাট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। সংগীতানুরাগী বাবার তত্বাবধানে জয়পুরহাটের বাড়িতে তার সংগীত চর্চা শুরু হয়। হীরা জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গেয়ে নানা পুরষ্কার অর্জন করেন। তার স্ত্রীর নাম সামিনা বেগম। তাদের চার সন্তান। বড় ছেলে শফিউল বারী এবং শরিফুল হক।
কর্মজীবন
হীরা ১৯৭৩ সালে নিজের লেখা গানে নিজে কন্ঠ দেন। পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালে তার লেখা গানে কন্ঠ দেন একুশে পদক প্রাপ্ত নীনা হামিদ। গানগুলো এলবাম আকারে প্রকাশিত হওয়ার পরে হীরা বাংলা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে গীতিকার হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন।[1]
উল্লেখযোগ্য কাজ
শামসুদ্দিন হীরা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের সংগে কাজ করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য কিছু কাজ হচ্ছেঃ
- তোর পিরিতে ঘুণ ধরাইলো - নীনা হামিদ,
- আমি চাই না কারো মনে আঘাত দিতে - এন্ড্রু কিশোর,
- জীবনপুরের জীবন গাঙ্গে জীবন তরী বাইয়া - খালিদ হাসান মিলু,
- দুই দিনের এক ভিসা দিয়া - মনির খান,
- কত সুখে আছি আমি - মনির খান,
- দরদী সবার সবইতো আছে - মনির খান,
- মন মন মন চায় নীল নীল জ্যোৎস্নায় - এন্ড্রু কিশোর,
- নাই নাই নাইরে মরণ ছাড়া গতি নাই - আসিফ আকবর।
এছাড়াও তার লেখা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সৈয়দ আব্দুল হাদী, আশরাফ উদাস, দিল আফরোজা রেবা, রবি চৌধুরী, ডলি সায়ন্তনী, কাঙ্গালীনি সুফিয়া, বেবি নাজনীন।
তথ্যসূত্র
- "শামসুদ্দীন হীরা"। দেশেবিদেশে। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯।