ভাষা আন্দোলনে একুশে পদক
ভাষা আন্দোলনে একুশে পদক হলো একুশে পদক প্রদানের একটি অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র। এটি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সাথে জড়িতদের অনন্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত একটি জাতীয় এবং এদেশের “দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার”।[1] ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ১৯৭৬ সাল থেকে শিক্ষা, সাহিত্য ও সাংবাদিকতা - এই তিনটি ক্ষেত্রে “একুশে পদক” প্রদান প্রচলন করা হয়।[2] পরবর্তিতে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, গবেষণা, শিল্পকলা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং সমাজসেবা - এই আরও ছয়টি ক্ষেত্রেও “একুশে পদক” প্রদানের প্রচলন করা হয়। এই পুরস্কার প্রদানের ব্যাপারটি দেখাশোনা করে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।[3] বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত কমিটির পরামর্শে মনোনীত ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠানকে এই পদক দেয়া হয়।[4] প্রতিবছর ২০ ফেব্রুয়ারি তারিখে ঢাকায় একটি আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদক প্রদান প্রদান করা হয়।[5] ২০০০ সালে ভাষা শহীদ বরকত, ভাষা শহীদ জব্বার, ভাষা শহীদ সালাম, ভাষা শহীদ রফিক, ভাষা শহীদ শফিউর এবং ভাষা সৈনিক গাজীউল হককে প্রথমবারের মতো “ভাষা আন্দোলনে একুশে পদক” প্রদান করা হয়।
ভাষা আন্দোলনে একুশে পদক | |
---|---|
![]() একুশে পদকের একটি মেডেল | |
পুরষ্কারের কারণ | ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের উদ্দেশ্যে এ পুরস্কার দেয়া হয়। |
অবস্থান | ঢাকা, বাংলাদেশ |
দেশ | ![]() |
পুরস্কারদাতা | বাংলাদেশ |
স্বাগতিক | বাংলাদেশ সরকার |
প্রথম পুরস্কৃত | ১৯৭৬ |
সর্বশেষ পুরস্কৃত | ২০১৬ |
ওয়েবসাইট | www |
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- "একুশে পদক পাচ্ছেন তোয়াব খান, মফিদুল হকসহ ১৬ জন"। দৈনিক জনকন্ঠ। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- "১৬ কৃতী ব্যক্তি পাচ্ছেন একুশে পদক"। দৈনিক ইত্তেফাক। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- "একুশে পদকের মনোনয়ন আহ্বান"। দৈনিক ইত্তেফাক। ১৩ জুলাই ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- "একুশে পদক প্রদানের সার্বিক প্রক্রিয়া"। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৪ জুন ২০১৭। ১ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- "একুশে পদক ঘোষণা"। দৈনিক প্রথম আলো। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭।