পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়

পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় একজন বাংলাদেশী অভিনেতা। পাশাপাশি তিনি একজন নাট্যকার, আবৃত্তিকার ও সংগঠক।[1] ১৯৮০-র দশকের শুরুতে সকাল সন্ধ্যা নামক টিভি সিরিয়ালে 'শাহেদ' চরিত্রে অভিনয় করে তিনি জনপ্রিয়তা পান। তিনি বিটিভির মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়
জাতীয়তাবাংলাদেশী
পেশাঅভিনেতা, নাট্যকার, পরিচালক, আবৃত্তিকার
কার্যকাল১৯৮০-বর্তমান
উল্লেখযোগ্য কর্ম
সকাল সন্ধ্যা
আগামী
একাত্তরের যীশু

কর্মজীবন

তার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের শুরু মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র আগামী দিয়ে। এরপর তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একাত্তরের যীশু চলচ্চিত্রে পাদ্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেন। এছাড়া ২০১১ সালের আরও দুটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র আমার বন্ধু রাশেদগেরিলায় অভিনয় করেন। মুহম্মদ জাফর ইকবাল রচিত একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে আমার বন্ধু রাশেদ নির্মাণ করেছেন মোরশেদুল ইসলাম এবং গেরিলা নির্মাণ করেছেন নাসির উদ্দীন ইউসুফ[2]

২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি বিটিভির মহাপরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপত্র পান।[3] ২০১২ সালের ১৯ এপ্রিল তিনি বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন।[4] ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালীন তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড তুলে দিয়ে গ্রেডিং সিস্টেম চালুর পরিকল্পনা করেন।[5]

চলচ্চিত্র তালিকা

বছর চলচ্চিত্রের শিরোনাম চরিত্র পরিচালক টীকা
১৯৮৪আগামীমোরশেদুল ইসলামস্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
১৯৯৩সেশামীম আখতার ও তারেক মাসুদস্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
একাত্তরের যীশুপাদ্রীনাসির উদ্দীন ইউসুফ
১৯৯৫মহামিলনজাহিদ মল্লিকদিলীপ সোম
২০০০উত্তরের খেপশাহজাহান চৌধুরী
কিত্তনখোলাইদু কন্ট্রাক্টরআবু সাইয়ীদ
২০০১মেঘলা আকাশবাকের শাকিবনারগিস আক্তার
২০০৩আধিয়ারজমিদার কলিমুল্লাহসাইদুল আনাম টুটুল
২০০৮আমার আছে জলনিষাদ ও দিলশাদের বাবাহুমায়ূন আহমেদ
২০১১আমার বন্ধু রাশেদইবুর বাবামোরশেদুল ইসলাম
গেরিলাআনোয়ার হুসাইননাসির উদ্দীন ইউসুফ
২০১৩মৃত্তিকা মায়াসাইদুর রহমানগাজী রাকায়েত
২০১৪আমি শুধু চেয়েছি তোমায়অনন্য মামুনঅশোক পতি
বুনো হাঁসঅনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী

দুর্নীতির মামলা

বিএফডিসির দ্বায়িত্বে থাকাকালে মালামাল ক্রয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সংস্থার সাবেক এমডি ও পীযুষ বন্দোপাধ্যায়সহ চার জনের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও থানায় বাদী হয়ে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন[6]। মামলার এজাহারে বলা হয়, বিদেশ থেকে চলচ্চিত্র সাসগ্রী কেনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দাম উল্লেখ করে সরকারের অর্থ আত্মসাৎ করা হয়। এতে তারা নিজেরা লাভবান হয়েছেন ও অন্যকে লাভবান হতে সহায়তা করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র

  1. "প্রমার অনুষ্ঠানে পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় । চট্টগ্রামের মানুষের আবৃত্তি চর্চা সত্যি প্রশংসনীয়"দৈনিক আজাদী। ১৮ এপ্রিল ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১৭
  2. "সেলুলয়েডের ফিতায় মুক্তিযুদ্ধ"জাগো নিউজ। ২৫ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১৭
  3. "বিটিভি'র মহাপরিচালক হচ্ছেন পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২। ৫ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১৭
  4. "এফডিসির এমডি পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়"যায়যায়দিন। ১৯ এপ্রিল ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১৭
  5. "সেন্সর বোর্ড বলে কিছু থাকছে না আর : পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। জানুয়ারি ১২, ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১৭
  6. "দুর্নীতির অভিযোগে পীযুষ বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা"। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০১৯ অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.