পাহাড়ি বাঁশবনের তিতির

পাহাড়ি বাঁশবনের তিতির (Bambusicola fytchii) (ইংরেজি: Mountain Bamboo Partridge) ফ্যাজিয়ানিডি (Phasianidae) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত বাম্বুসিকোলা (Bambusicola) গণের এক প্রজাতির ছোট তিতির[1] এরা দক্ষিণদক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থানীয় পাখি। আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে Least Concern বা আশঙ্কাহীন বলে ঘোষণা করেছে।[2]

পাহাড়ি বাঁশবনের তিতির

ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত  (আইইউসিএন ৩.১)
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণী জগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: Galliformes
পরিবার: Phasianidae
উপপরিবার: Perdicinae
গণ: Bambusicola
প্রজাতি: B. fytchii
দ্বিপদী নাম
Bambusicola fytchii
Anderson, 1871

বিস্তৃতি

বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, চীন, লাওস, থাইল্যান্ডভিয়েতনাম পাহাড়ি বাঁশবনের তিতিরের প্রধান আবাসস্থল।[2] এসব অঞ্চলের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বনের পাশে ঘাসবন ও ছোট ঝোপঝাড়বহুল জঙ্গল এদের পছন্দের আবাস।[3]

উপপ্রজাতি

পাহাড়ি বাঁশবনের তিতিরের মোট দু'টি উপপ্রজাতি সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।[4] এরা হচ্ছে-

  • B. f. fytchii (Anderson, 1871): এর মূল বাসস্থান দক্ষিণ চীন (সিচুয়ানহাইনান প্রদেশ), উত্তর ভিয়েতনাম, উত্তর-পশ্চিম থাইল্যান্ড ও পূর্ব মিয়ানমার
  • B. f. hopkinsoni (Godwin Austen, 1874): এর মূল আবাসস্থল পূর্ব বাংলাদেশ (বিশেষত গারো পাহাড়)[1], পূর্ব ও উত্তর মিয়ানমার এবং পূর্ব ভারতের আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম,অরুণাচল প্রদেশ

বিবরণ

পাহাড়ি বাঁশবনের তিতির, স্মিথসোনিয়ান জাতীয় চিড়িয়াখানা, ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র

পাহাড়ি বাঁশবনের তিতিরের দেহ ছোট মুরগির আকারের। লেজ লম্বাটে। রক্তিম মাথায় সাদা ভ্রু ও কালো চোখ-ডোরা দৃশ্যমান। চোখ ডোরাকে ঘিরে হালকা সাদা রেখা থাকে। চোখের সামনের দিক ও থুতনি সাদাটে। পিঠ, ডানা ও লেজের গোড়ার পালক বাদামী-ধূসর। পার্শ্বদেশে কালো কালো ছোপ ছোপ থাকে। গলা, বুক ও লেজের ডগা লালচে বাদামী। দেহের নিম্নভাগ সাদা, তাতে প্রচুর কালো ছোপ। দেহে প্রচুর লালচে আভা। পা ধূসর, ঠোঁট সীসা বর্ণের। চোখের মণি কালো। এদের দৈর্ঘ্য কমবেশি ২৭ সেন্টিমিটার।[1]

আচরণ

সাধারণত এরা দলবদ্ধভাবে বসবাস করে। বীজ, তৃণ, পোকামাকড়, ঘাস ইত্যাদি বাঁশবনের তিতিরের প্রধান খাদ্য। প্রজনন ঋতুতে পুরুষ তিতিরের ডাকাডাকি বেড়ে যায়।[3]

অস্তিত্বের সংকট

ব্যাপকহারে আবাসন ধ্বংস ও বনাঞ্চল কেটে চাষাবাদের ফলে পাহাড়ি বাঁশবনের তিতিরের অস্তিত্ব সর্বত্রই হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়া মাংসের জন্য শিকারও এদের অস্তিত্ব-ঝুঁকির অন্যতম কারণ।

অঙ্কিত চিত্র

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশের পাখি, রেজা খান, বাংলা একাডেমী, ঢাকা (২০০৮), পৃ. ৩২৯।
  2. Bambusicola fytchii, The IUCN Red List of Threatened Species এ পাহাড়ি বাঁশবনের তিতির বিষয়ক পাতা।
  3. Zipcodezoo.com ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২২ আগস্ট ২০১৪ তারিখে, বাঁশবনের তিতির বিষয়ক পাতা।
  4. Bambusicola fytchii, The Internet Bird Collection এ পাহাড়ি বাঁশবনের তিতির বিষয়ক পাতা।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.