পাবনা জিলা স্কুল
পাবনা জেলা স্কুল পাবনা জেলার সবচেয়ে পুরাতন উচ্চ বিদ্যালয় এবং এটি বাংলাদেশ এর অন্যতম পুরানো বিদ্যালয়। বাংলাদেশের সেরা বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এটি তৃতীয় শ্রেণী হইতে এস. এস. সি. পর্যন্ত শিক্ষা দিয়ে থাকে। এই বিদ্যালয়এ দুইটি শিফট রয়েছে। এগুলো হল প্রভাতী ও দিবা। প্রভাতী শাখা সকাল ৭.১৫ মিঃ থেকে ১১.১৫মিঃ পর্যন্ত এবং দিবা শাখা দুপুর ১২.১৫ মিঃ থেকে ৪.৪৫ মিঃ পর্যন্ত । এছাড়াও পত্যেক ভাগ এই ৩য় ঘন্টার পর ২০মিনিট এর টিফিন বিরতি থাকে।
পাবনা জিলা স্কুল | |
---|---|
![]() | |
অবস্থান | |
এ হামিদ রোড , গোপালপুর ,পাবনা বাংলাদেশ | |
তথ্য | |
ধরন | সরকারি বিদ্যালয় |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৮৫৩ |
বিদ্যালয় জেলা | পাবনা |
প্রধান শিক্ষক | মোঃ ফরিদ উদ্দিন |
শ্রেণী | ৩য় - ১০ম (পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি) |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | ২,৫০০+ |
ক্যাম্পাসের আকার | ২.৯৫ একর |
ডাকনাম | PZS/পাজিস্কু |
ওয়েবসাইট | pzs.edu.bd |
এটি শুধুমাত্র ছেলেদের স্কুল হলেও এখানে পুরুষ ও মহিলা উভয় শিক্ষক রয়েছেন। এই স্কুলে একজন প্রধান শিক্ষক এবং দিবা ও প্রভাতী শাখার জন্য পৃথক পৃথক শিক্ষক রয়েছেন। পাবনা জিলা স্কুলে বিশালাকার একটি খেলার মাঠ এবং তিনটি বড় স্থাপনা রয়েছে। এগুলো যথাক্রমে প্রশাসনিক, একাডেমিক ও বিজ্ঞান ভবন নামে পরিচিত। এছাড়া এখানে একটি হল রুম , একটি ছাত্রাবাস এবং একটি মসজিদ রয়েছে। এখানে তিনটি সুসমৃদ্ধ কম্পিউটার ল্যাব ছাড়াও দুইটি স্থায়ী মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম,চারটি পৃথক ল্যাব রয়েছে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, বায়োলজি এবং কৃষি শিক্ষার জন্য। এখানে আরও সমৃদ্ধ লাইব্রেরী রয়েছে । ছাত্ররা লাইব্রেরীতে বসে নানা বিষয়ের বই পড়তে পারে , প্রয়োজনে তা বাড়িতে নিয়ে যেতে পারে । স্কুল এ একটি বড় মাঠ আছে যেখানে নিয়মিত সমাবেশ হয়ে থাকে এবং বিদ্যালয় ছাত্ররা এখানে টিফিনের বিরতি ও স্কুল শেষে খেলাধুলা করে। এছাড়াও প্রত্যেকটি শাখার সপ্তাহে একদিন একটি ঘন্টা খেলাধুলার জন্য নির্ধারিত । এখানে দুইটি সাইকেল গ্যারেজ আছে(একটি হোস্টেল ভবনের পাশে অন্যটি একাডেমিক ভবনের পাশে অবস্থিত। এছাড়াও স্কুল মাঠের একপাশে শহীদ মিনার আছে।
অবস্থান
পাবনা জেলা স্কুলটি রাজশাহী বিভাগের পাবনা শহরের প্রাণকেন্দ্রে গোপালপুর মৌজার আব্দুল হামিদ রোড-এ অবস্থিত।[1]
ইতিহাস
পাবনা জেলা স্কুল এংলো-ভার্নিকুলার টাইপের স্কুল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৩৬-১৮৪০ সালের মধ্যে। স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন বাবু দিগম্বর সাহা এবং তার সহায়ক ছিলেন বাবু রাধাগোবিন্দ মিত্রা । বাবু রামচন্দ্র নন্দী এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন ১৮৪৪ থেকে ১৮৫৩ সাল পর্যন্ত। ১ নভেম্বর, ১৮৫৩ স্কুলটি সরকারি স্কুল ঘোষণা করা হয় এবং পাবনা জিলা স্কুল নামকরণ করা হয়। ১৯৬৬-৬৭ সময়কালে বিদ্যালয়ে ছাত্র সংখ্যা ছিল ৭১৭ জন। কিন্তু বর্তমানে বিদ্যালয়ে ছাত্র সংখ্যা প্রায় ২৫০০ এর ও বেশী।
ভর্তি
সাধারণত প্রতিবছর তৃতীয় শ্রেণীতে ছাত্র ভর্তি করা হয়। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে ভর্তি বেশ প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠেছে। প্রতিবছর ৫০০০ এর বেশি প্রতিযোগীর মধ্যে মাত্র ২৪০ জন ছাত্রকে ভর্তি করা হয়। প্রথম অবস্থায় ভর্তি প্রক্রিয়াতে কিছু সময় লাগলেউ বর্তমানে অনলাইন আবেদন এর পদ্ধতি ব্যবহার করার জন্য ভর্তি পক্রিয়া আগের থেকে অনেক দ্রুত এবং সহজতর হয়েছে। এই ভর্তি পরীক্ষার জন্য পাবনা শহরে অনেকগুলো কোচিং সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
একাডেমী
এই স্কুল তৃতীয় শ্রেণী হইতে এস. এস. সি. পর্যন্ত শিক্ষা দিয়ে থাকে। প্রতিবছর প্রায় ২৫০জন ছাত্র এস. এস. সি. পরিক্ষা দিয়ে থাকে দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল থেকে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড এর নিয়ন্ত্রণে এবং এই সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বিদ্যালয়ের এস. এস. সি. পরীক্ষার্থীরা সর্বদা মেধাভিত্তিক ক্রমে শীর্ষস্থান দখল করে আসছে। প্রতিষ্ঠাকাল হতেই এইখান থেকে অনেক মেধাবী ছাত্র বের হয়েছে যারা পরবর্তীতে দেশ-জাতি এমনকি বিশ্বের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সরকারি বিদ্যালয় হওয়ায় এটার শিক্ষা খরচ প্রাইভেট বিদ্যালয়গুলোর তুলনায় অনেক কম। শিক্ষা খরচ এবং টিফিন ফিস সাধারণত মাসিক হিসাবে নেয়া হয়। প্রতি শ্রেণীতে ২/৩ জন করে প্রতিনিধি থাকে যারা শিক্ষকদের সাহায্য করে। এরা 'ক্লাস ক্যাপ্টেন' নামে পরিচিত। ক্লাস ক্যাপ্টেন শিক্ষকের নিয়ন্ত্রণে শ্রেণীর ছাত্রদের দ্বারা নির্বাচিত হয়।
কৃতী ছাত্র
- মিঃ আর. সি. দত্ত (আই. সি. এস.) (প্রথম বাঙালি বিভাগীয় কমিশনার)
- মিঃ জি. এন. রায় ( কলকাতার উচ্চ আদালতের বিচারক)
- মিঃ ডি. এন. রায় ( রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার)
- মিঃ সি. এন. রায় (আই. সি. এস.)
- রায় বনমালী রায় বাহাদুর (তাড়াসের জমিদার)
- ডঃ প্রাণ কৃষ্ণা আচার্য
- মিঃ জি. পি. মজুমদার (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিত বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান)
- স্যার ফজলে হাসান আবেদ - 'ব্র্যাক'-এর প্রতিষ্ঠাতা;
- কামাল লোহানী - সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ত্ব;[2]
- ডঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল - সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ত্ব;[2]
গ্যালারি
- মুল ভবন
- একাডেমিক ভবন
- হোস্টেল ভবন
- খেলার মাঠ
- শহিদ মিনার
- মসজিদ
- খেলার মাঠ (২০১০)
- ছাত্রাবাস (২০১০)
- মূল ভবন (২০১০)
- একাডেমিক ভবন(২০১০)
তথ্যসূত্র
- "স্কুলের ইতিহাস"। পাবনা জিলা স্কুল কর্তৃপক্ষ। ৩ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৫।
- {{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=[[পাবনা |ইউআরএল=http://www.pabna.gov.bd/node/98353/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC |সংগ্রহের-তারিখ=২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20170217171930/http://www.pabna.gov.bd/node/98353/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC |আর্কাইভের-তারিখ=১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}
বহিঃসংযোগ
- পাবনা জিলা স্কুল - অফিসিয়াল ওয়েব সাইট
- পাবনা জিলা স্কুল - বাংলাপিডিয়া