নুসাইবা বিনতে কা'ব
নুসাইবা বিনতে কাব (রাঃ) যিনি উম্মে উমর বা উম্মে আম্মারাহ নামে অধিক পরিচিত।[1] ছিলেন ইসলামের প্রথম দিকের একজন মুসলিম। বানু নাজ্জার উপজাতীর সদস্য নুসাইবা বিনতে কা'ব ছিলেন আব্দুল্লাহ্ ইবেন কা'ব এর বোন এবং আব্দুল্লাহ্ ও হাবিব ইবনে জায়েদ আল-আনসারী এর মা। [1]
প্রাথমিক জীবন
যখন মদিনার ৭৪ জন দলপতি, যোদ্ধা এবং লোকজন আল-আকাবাহ্ তে মুস'আব ইবন উমের এর ধর্মমত অনুসারে ইসলাম গ্রহণ করার জন্য নেমে আসলো তখন নুসাইবা এবং উম্মে মুনী আসমা বিনতে আমর বিন 'আদি ই ছিলেন যারা সরাসরি ইসলামের রাসূল মুহাম্মদ এর কাছে যান ইসলাম গ্রহণ করতে। পরে তার স্বামী, ঘাযায়া বিন 'আমর, নবী করিম (স) কে জানান যে তারা তাদের বায়াহ্ দিতে চান। নবিজী সম্মতি দেন। [1] তিনি মদিনায় ফিরে আসেন এবং মদিনার নারীদের ইসলাম শিক্ষা দিতে থাকেন।
তার দুই সন্তান যারা যুদ্ধে শহিদ হয়েছিলেন তারা ছিলেন নুসাইবার প্রথম স্বামী যায়েদ বিন 'আসেম মজনি এর সন্তান। তিনি পরে বিন 'আমর কে বিবাহ করেন এবং আরোও একজন পুত্র তামীম একজন কন্যা সন্তান খাওলাহ্ কে জন্ম দেন। [1]
সন্তানাদি
- হাবীব
- আব্দুল্লাহ
- তামীম
- খাওলাহ্
উহুদের যুদ্ধ
উহুদের যুদ্ধে নুসাইবা বিনতে কাব সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি প্রথমে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুসলিমবাহিনীর পানির মশক বহনে নিয়োজিত ছিলেন। যখন মুসলিম বাহিনীর এক অংশ বিজয় অর্জিত হয়েছে ভেবে নবীজী (সাঃ) এর নির্দেশ ভুলে গিয়ে নির্দেশিত অংশ থেকে সরে গেল তখন কাফিরবাহিনী সেই স্থান দিয়ে এগিয়ে এসে পেছন দিক থেকে মুসলিম বাহিনীকে আক্রমণ করল। এ সময় নবীজী (সাঃ) কে অরক্ষিত অবস্থায় দেখে তাকে রক্ষা করার জন্য নুসাইবা তীরধনুক হাতে নিয়ে অগ্রসরমান প্রতিপক্ষকে তীর ছুড়ে নবীজী (সাঃ) কে নিরাপত্তা দেয়ার প্রচেষ্টায় রত ছিলেন। তার স্বামী ও পুত্র যুদ্ধের ময়দানে যুদ্ধ করছিল। তিনিও এরপরপরই ঘোড়া নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে প্রবেশ করেন এবং যুদ্ধ করেন। যুদ্ধ শেষে তাকে আহত ও অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। জ্ঞান ফেরার পরও তার প্রথম বাক্য ছিল, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) জীবিত আছেন কিনা।
জনপ্রিয় সংষ্কৃতিতে নুসাইবা
তথ্যসূত্র
- Ghadanfar, Mahmood Ahmad. "Great Women of Islam", Riyadh. 2001.pp. 207-215