তেজগাঁও বিমানবন্দর

তেজগাঁও বিমানবন্দর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মিরপুর ও তেজগাও এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত।বর্তমানে তেজগাঁও বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামা করে না।[1] এমনকি বিমানবন্দরটি উড়োজাহাজ ওঠানামার উপযোগীও নয়, নেই কোনো অবকাঠামো। মাঝে মধ্যে কিছু হেলিকপ্টার ওঠানামা করে। কিন্তু সরকারিভাবে এটি এখনও বিমানবন্দর।১৯৮১ সালে বর্তমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত এটি দেশের প্রধান বিমানবন্দর হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।[1]

তেজগাঁও বিমানবন্দর
  • আইএটিএ: none
  • আইসিএও: VGTJ
    তেজগাঁও
    বাংলাদেশে এয়ারপোর্ট এর অবস্থান
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
বিমানবন্দরের ধরনPublic/Military
মালিকবাংলাদেশ বিমান বাহিনী
পরিচালকবাংলাদেশ বিমান বাহিনী
সেবা দেয়ঢাকা
এএমএসএল উচ্চতা ফুট /  মিটার
স্থানাঙ্ক২৩°৪৬′৪৩″ উত্তর ০৯০°২২′৫৭″ পূর্ব
রানওয়েসমূহ
দিকনির্দেশনা দৈর্ঘ্য পৃষ্ঠতল
ফুট মি
১৭/৩৫ পিচ

ইতিহাস

১৯৪১ সালে এই বিমানবন্দরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯৪৩ সালে নির্মাণাধীন তেজগাঁও বিমানবন্দরে একটি হালকা যুদ্ধবিমান অবতরণ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে তৎকালীন ব্রিটিশ শাসকরা আকাশপথে যুদ্ধের জন্য এই বিমানবন্দর নির্মাণ করে। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এটি বেসামরিক বিমান পরিবহন বন্দর হিসেবে চালু হয়। ১৯৮১ সালে বর্তমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত এটি দেশের প্রধান বিমানবন্দর হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। ১৯৮১ সালে নতুন বিমানবন্দর চালু হওয়ার পর বাংলাদেশ বিমান বাহিনী তেজগাঁও বিমানবন্দরটি পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। ১৯৮৮ সালের আগস্টে এইচ এম এরশাদ তেজগাঁও বিমানবন্দরটি পরিত্যক্ত ঘোষণার সিদ্ধান্ত দেন।[2]

বর্তমান অবস্থা

তেজগাঁও বিমানবন্দরটি এখনো সরকারিভাবে বিমানবন্দর হিসেবে স্বীকৃত হলেও বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ওঠানামার কাজেই এটি ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া দু’-একটি বেসরকারি উড়োজাহাজ প্রশিক্ষণ কোম্পানি এটিকে ব্যবহার করে থাকে। বর্তমানে তেজগাঁও বিমানবন্দরটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বাশার বেসের অংশ।[1]

সামরিক ব্যবহার

তেজগাঁও বিমানবন্দর সচল বিমানঘাঁটি হিসেবে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনীর এয়ারকোর ব্যবহার করে থাকে।বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে সব ধরনের হেলিকপ্টার, প্রশিক্ষণ বিমান, জেটবিমান এবং বৃহদাকার পরিবহন বিমান (চার ইঞ্জিনবিশিষ্ট সি-১৩০) পরিচালনা করে থাকে।[1]

জাপানি হাইজ্যাকের ঘটনা

১৯৭৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জাপান এয়ারলাইনস এর একটি বিমান হাইজ্যাক করে ঢাকায় নিয়ে এসেছিল রেড আর্মি নামের একটি সশস্ত্র গ্রুপ। জিম্মি করেছিল বিমানের যাত্রীদের। জাপানের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতৃস্থানীয় সাংসদ হাজিমে ইশি, সংসদীয় উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সমস্যার সমাধান খুঁজে নিতে বেশ কিছুদিন তখন বাংলাদেশে থেকেছিলেন।[3]

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.