ডেনিস অ্যাটকিনসন
ডেনিস সেন্ট ইভাল অ্যাটকিনসন (ইংরেজি: Denis Atkinson; জন্ম: ৯ আগস্ট, ১৯২৬ - মৃত্যু: ৯ নভেম্বর, ২০০১) ক্রাইস্টচার্চের রকলি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে বার্বাডোস এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডারের দায়িত্ব পালন করতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম কিংবা অফ স্পিন বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন ডেনিস অ্যাটকিনসন।
![]() ১৯৫৭ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে ডেনিস অ্যাটকিনসন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জন্ম | রকলি, ক্রাইস্টচার্চ, বার্বাডোস | ৯ আগস্ট ১৯২৬|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৯ নভেম্বর ২০০১ ৭৫) বার্বাডোস | (বয়স|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম, ডানহাতি অফ স্পিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় পার্শ্ব |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক | ১০ নভেম্বর ১৯৪৮ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৭ জানুয়ারি ১৯৫৮ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ |
খেলোয়াড়ী জীবন
বালক অবস্থায় গ্যারি সোবার্সকে অনুশীলনে বোলিং করার জন্য সাহস জোগাতেন। বার্বাডোসের ওয়ান্ডেরার্স ক্রিকেট ক্লাবে ডেনিস অ্যাটকিনসন খেলতেন। বীমা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করার সুবাদে অতিরিক্ত ব্যাটিং অনুশীলনের সুযোগ পেতেন। তিনি স্ট্যাম্পের ওপর একটি সিলিং রাখতেন ও সোবার্সকে তা স্পর্শ করার কথা বলতেন। এ প্রসঙ্গে সোবার্স বলেছিলেন, সিলিং স্পর্শ করার সুবাদে তিনি নিজের কাছে রাখতেন।[1]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ২২ টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন। ৯২২ রান তোলার পাশাপাশি ৪৭ উইকেট লাভ করেছেন তিনি। ১০ নভেম্বর, ১৯৪৮ তারিখে টেস্ট অভিষেক ঘটে ডেনিস অ্যাটকিনসনের।
১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে তার নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল অস্ট্রেলিয়া সফরে যায়। ক্লেয়ারমন্ট ডেপেইয়াজা’র সাথে সপ্তম উইকেট জুটিতে ৩৪৭ রান তুলেন। তাদের এ সংগ্রহটি সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটিরূপে স্বীকৃত। ফলশ্রুতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল প্রথম ইনিংসে ৫১০ রান তুলে। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল। এছাড়াও পরের বছর দলকে নিয়ে নিউজিল্যান্ড সফরে যান। ঐ সিরিজটিতে জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল।
টেস্টের এক ইনিংসে বোলিং করে উইকেটবিহীন অবস্থায় সর্বাধিক রানের অগৌরবজনক রেকর্ডের অধিকারী তিনি। ১৯৫৭ সালে বার্মিংহামের এজবাস্টনে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭২ ওভার বোলিং করে ২৯ মেইডেন দিয়ে ১৩৭ রান খরচ করেও কোন উইকেটের সন্ধান পাননি।[2]
ব্যক্তিগত জীবন
তার ছোট ভাই এরিক অ্যাটকিনসন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে ব্রিজটাউনে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে এরিকের অভিষেক ঘটা টেস্টটিই ডেনিস অ্যাটকিনসনের সর্বশেষ টেস্ট ছিল। ৯ নভেম্বর, ২০০১ তারিখে ৭৫ বছর বয়সে তার দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
- Garry Sobers, My Autobiography, Headline, London, 2002, pp. 14–15.
- Frindall, Bill (২০০৯)। Ask Bearders। BBC Books। পৃষ্ঠা 131। আইএসবিএন 978-1-84607-880-4।
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ডেনিস অ্যাটকিনসন
(ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ডেনিস অ্যাটকিনসন
(সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
পূর্বসূরী জেফ স্টলমেয়ার |
ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট ক্রিকেট অধিনায়ক ১৯৫৪/৫৫ – ১৯৫৫/৫৬ |
উত্তরসূরী জন গডার্ড |