চৌডালা ইউনিয়ন
চৌডালা ইউনিয়ন গোমস্তাপুর উপজেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। কালের স্বাক্ষী বহনকারী মহানন্দা নদীর তীরে গড়ে ওঠা গোমস্তাপুর উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল হলো চৌডালা ইউনিয়ন।
চৌডালা | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | রাজশাহী বিভাগ |
জেলা | চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা |
উপজেলা | গোমস্তাপুর উপজেলা ![]() |
আয়তন | |
• মোট | ১৪.৭০ কিমি২ (৫.৬৮ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১[1]) | |
• মোট | ৩০,২৮৮ |
• জনঘনত্ব | ২১০০/কিমি২ (৫৩০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
অবস্থান ও আয়তন
চৌডালা ইউনিয়ন এর দক্ষিণে মহানন্দা নদী এবং পশ্চিমে ভারত অবস্থিত। এর আয়তন – ১৪.৭০ (বর্গ কিঃ মিঃ)।
শিক্ষা
শিক্ষার হার – ৪৯%। এর মধ্যে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়- ০৮টি,
* বে-সরকারী রেজিঃ প্রাঃ বিদ্যালয়- ০৩টি,
* উচ্চ বিদ্যালয়ঃ ৪ টি:-
১. চৌডালা দ্বিমূথী উচ্চ বিদ্যালয়।
২. চৌডালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
৩. বসনীটোলা উচ্চ বিদ্যালয়
৪. বসনীটোলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
* মাদ্রাসা- ৩টি:-
১. চৌডালা দাখিল মাদ্রাসা।
২. নন্দলালপুর দাখিল মাদ্রাসা।
৩. সাহেবগ্রাম মহিলা দাখিল মাদ্রাসা।
* কলেজ ১টি:-
১. চৌডালা জোহুর আহমেদ মিঞা কলেজ।[2]
প্রশাসনিক ব্যবস্থা
এটি মোট ১৯ টি গ্রাম এবং ৫ টি মৌজার সমন্বয়ে গঠিত।[3]
কৃতী ব্যক্তিত্ব
১. আবদুল হক(১৯১৮-১৯৯৭): বাংলাদেশের প্রথিতযশা প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, সাহিত্যিক এবং ‘বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের’ অন্যতম উত্তরসাধক ‘আবদুল হক’ ১৯১৮ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তারপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নের উদয়নগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩৬ সালে কানসাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন (প্রথম বিভাগ) এবং ১৯৩৯ সালে করটিয়ার সাদত কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট (প্রথম বিভাগ) পাশ করেন। মেধাবী ছাত্র ‘আবদুল হক’ ১৯৪৪ সালে রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে স্নাতক (ইংরেজি) এবং ১৯৪৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ (ইংরেজি) ডিগ্রী অর্জন করেন। পেশাগত জীবনে সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও ১৯৬৫ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলা উন্নয়ন বোর্ড ও বাংলা একাডেমীতে কর্মরত ছিলেন। প্রবন্ধ, গল্প, নাটক ও অনুবাদসহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তার রচিত অসংখ্য লেখা সেই সময়ের জাতীয় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। মূলত তিনি প্রাবন্ধিক হিসেবে দেশব্যাপি খ্যাতি অর্জন করেন। সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ১৯৬৮ সালে দাউদ সাহিত্য পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার-সম্মানা অর্জন করেন। তার ‘লেখকের রোজনামচায় চার দশকের রাজনীতি-পরিক্রমা প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ ১৯৫৩-১৯৯৩’ একটি মূল্যবান রেফারেন্স গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত। আবদুল হক বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত প্রাবন্ধিক ও চিন্তক কাজী আবদুল ওদুদের অত্যন্ত স্নেহভাজন ছিলেন। বাংলাদেশের প্রথিতযশা সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ‘আবদুল হক’ ১৯৯৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন। { অসমাপ্ত…/ বিস্তারিত প্রকাশিতব্য মূল গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী) } ‘বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের’ অন্যতম উত্তরসাধক ‘আবদুল হকের’ প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১৮টি গ্রন্থসমূহ তার উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থসমূহ হচ্ছে ক্রান্তিকাল, (১৯৬২), সাহিত্য ঐতিহ্য মূল্যবোধ, (১৯৬৮), বাঙালী জাতীয়তাবাদ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ, (১৩৮০), সাহিত্য ও স্বাধীনতা, (১৯৭৪), ভাষা আন্দোলনঃ আদি পর্ব (১৯৭৬) নিঃসঙ্গ চেতনা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ, চেতনার অ্যালবাম ও বিবিধ প্রসঙ্গ গল্পগ্রন্থসমূহ হচ্ছে রোকেয়ার নিজ বাড়ী (১৯৬৭), নাটকগ্রন্থসমূহ হচ্ছে অদ্বিতীয়া (১৯৫৬), ফেরদৌসী (১৩৭১), সোনার ডিম (১৯৭৬), অনুবাদগ্রন্থসমূহ হচ্ছে পুতুলের সংসার (১৯৬৬), প্রেতাত্মা (১৯৬৬), রসমার্স হোম (১৯৬৭), হেড্ডা গাবলার (১৯৬৭), মহাস্থপতি (১৯৬৬), জন গাব্রিয়েল বর্কম্যান প্রভৃতি
২. জোহুর আহমেদ মিঞা, চৌডালার সাবেক চেয়ারম্যান। চৌডালা জোহুর আহমেদ মিঞা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা।
তথ্যসূত্র
- আদমশুমারী ২০১১ প্রতিবেদন।
- ২০০১ এর শিক্ষা জরীপ
- "এক নজরে"। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৬।