চাঁদের সোডিয়াম পুচ্ছ

চাঁদের সোডিয়াম পরমাণুর একটি "পুচ্ছ" রয়েছে। তবে এই পুচ্ছটি এতই অস্পষ্ট যে খালি চোখে এটিকে শনাক্ত করা যায় না। ১৯৯৮ সালে বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা লিওনিড উল্কাবৃষ্টি পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে কয়েক হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এই বৈশিষ্ট্যটি আবিষ্কার করেন।[1][2]

চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ক্রমান্বয়ে সোডিয়াম পরমাণু সূক্ষ্ম ধূলার আকারে নির্গত হচ্ছে। এই ক্ষরণের কারণ ফোটন-উদ্দীপিত নিঃসরণ, সৌরবায়ু, কণাক্ষেপণউল্কা সংঘাত।[3] সৌর বিকিরণ চাপে সোডিয়াম পরমাণুগুলি সূর্য দূরে তাড়িত হয়। এর ফলে সূর্যের বিপরীত দিকে একটি দীর্ঘায়িত পুচ্ছের সৃষ্টি হয়।

ক্রমান্বয়ে ছোটো ছোটো উল্কার সঙ্গে সংঘাতের ফলে চাঁদ থেকে একটি স্থায়ী "পুচ্ছ" সৃষ্টি হয়েছে। তবে লিওনিড এটিকে ঘনীভূত করে তোলে।[4] সেই সময় পৃথিবী থেকে এটি স্বাভাবিক অবস্থার চাইতে অধিক পরিমাণে পর্যবেক্ষণযোগ্য হয়ে ওঠে।[5]

আরও দেখুন

  • চাঁদের বায়ুমণ্ডল
  • লুনার অ্যাটমোস্ফিয়ার অ্যান্ড ডাস্ট এনভায়ারনমেন্ট এক্সপ্লোরার

তথ্যসূত্র

  1. "Astronomers discover that moon has long, comet-like tail"CNN। ১৯৯৯-০৬-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-১৮
  2. "The Sodium Tail of the Moon". NASA. 2009-12-01. Retrieved 2017-10-20
  3. "The Sodium Tail of the Moon"NASA। ডিসেম্বর ১, ২০০৯ ScienceDirect-এর মাধ্যমে।
  4. "Lunar Leonids 2000"NASA। ২০০০-১১-১৭। ২০০৭-১১-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-১৮
  5. "Moon's tail spotted"BBC। ১৯৯৯-০৬-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-১৫
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.