নাসা

নাসা (ইংরেজি: National Aeronautics and Space Administration (NASA), ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা। ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থার সদর দফতর ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত। পূর্বতন নাকা (ন্যাশনাল অ্যাডভাজরি কমিটি ফর অ্যারোনটিক্স) অবলুপ্ত হয়ে ১৯৫৮ সালের ২৯ জুলাই ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাক্ট অনুসারে নাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। মার্কিন মহাকাশ যাত্রায় এই প্রতিষ্ঠানে ভূমিকা অ্যাপোলো চন্দ্রযাত্রা, স্কাইল্যাব মহাকাশ স্টেশনস্পেস শাটল প্রভৃতিতে লক্ষ্য করা যায়। নাসা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন প্রকল্পের সাথে যুক্ত ৫টি সংস্থার একটি।

মার্কিন জাতীয় বিমানচালনবিদ্যা ও মহাকাশ প্রশাসন (নাসা)
National Aeronautics and Space Administration (NASA) (ইংরেজি)
প্রতিষ্ঠাতাজুলাই ২৯, ১৯৫৮ (ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্‌স অ্যান্ড স্পেস অ্যাক্ট দ্বারা)
সদরওয়াশিংটন, ডি.সি.
প্রশাসকমাইক গ্রিফিন
বাজেট$১৭.৬ বিলিয়ন (FY 2009)[1]
ওয়েবসাইটwww.nasa.gov

সৃষ্টি

উইলিয়াম এইচ. পিকারিং, (মাঝে) জে পি এল প্রধান, রাষ্ট্রপতি জন এফ. কেনেডি, (ডানে)। নাসা প্রধান জেমস ই. ওয়েব (পেছনে) মেরিনার পোগ্রাম নিয়ে আলোচনা করছেন, সামনেই মেরিনার পোগ্রামের মডেল উপস্থিত

১৯৪৬ সালে, ন্যাশনাল এডভাইসরি কমিটি ফর এরনেটিকস রকেট বিমান নিয়ে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করছিল। বিশেষ করে সুপারসনিক বেল এক্স-১ নিয়ে তারা তাদের গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছিল।[2] ১৯৫০ এর দশকের প্রথম দিকে, জিওগ্রাফিকাল বর্ষে (১৯৫৭-১৯৫৮), এই কমিটির ওপর একটি কৃত্রিম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের গুরুদায়িত্ব এসে পড়ে। এই প্রজেক্টটির নাম দেয়া হয় ভ্যানগার্ড। যেইনা সোভিয়েতরা ১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে, যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের প্রচেষ্টায় দ্রুত একটি কৃত্রিম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য উঠে পড়ে লাগে। ইউ এস কংগ্রেসে, একটি তড়িৎ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। রাষ্ট্রপতি ডিওয়াট ডি. আইজেনহাওয়ার এবং তার উপদেষ্টারা এ বিষয়ে আলোচনা করেন। ১৯৫৮ সালের ১৪ জানুয়ারী, কমিটির প্রধান হিউজ ড্রাইডেন "এ ন্যাশনাল রিসার্চ পোগ্রাম ফর স্পেস টেকনলজি" নামে একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন এবং বলেনঃ[3]

It is of great urgency and importance to our country both from consideration of our prestige as a nation as well as military necessity that this challenge [Sputnik] be met by an energetic program of research and development for the conquest of space… It is accordingly proposed that the scientific research be the responsibility of a national civilian agency… NACA is capable, by rapid extension and expansion of its effort, of providing leadership in space technology.[3]

সম্পর্কিত আইনসমূহ

  • ১৯১০ – ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্‌স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পিএল ৮৫-৫৬৮ (passed on জুলাই ২৯)
  • ১৯৬১ – অ্যাপোলো অভিযান পিএল ৮৭-৯৮ এ
  • ১৯৭০ – ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্‌স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন Research and Development Act PL ৯১-১১৯
  • ১৯৮৪ – ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্‌স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন Authorization Act PL ৯৮-৩৬১
  • ১৯৮৮ – ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্‌স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন Authorization Act PL ১০০-৬৮৫

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "FY09 Budget Request Summary" (PDF)। NASA। ফেব্রুয়ারি ১, ২০০৮।
  2. "The NACA, NASA, and the Supersonic-Hypersonic Frontier" (PDF)। NASA। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১১
  3. Erickson, Mark। Into the Unknown Together—The DOD, NASA, and Early Spaceflight (PDF)আইএসবিএন 1-58566-140-6। সেপ্টেম্বর ২০, ২০০৯ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা।

বহিঃসংযোগ

সাধারণ

অন্যান্য গবেষণা

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.