মহাকাশ অভিযান
জ্যোতির্বিজ্ঞান ও মহাকাশ প্রযুক্তির মাধ্যমে বহির্বিশ্বে অভিযান পরিচালনার নাম মহাকাশ অভিযান। মহাকাশ অভিযানের জন্য ব্যবহৃত নভোযানগুলোতে মানুষ থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে। মনুষ্যবাহী নভোযানের তুলনায় রোবোটিক নভোযানের সংখ্যা অনেক বেশী।
![]() |
![]() |
(উপর থেকে নিচে)
|
ভূমিকা
আকাশে দৃশ্যমান বস্তুগুলো পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার সূচনা ঘটেছিল অনেক আগে। কিন্তু বিংশ শতাব্দীতে তরল জ্বালানির মাধ্যমে রকেট ইঞ্জিন নির্মীত হওয়ার পূর্বে মহাকাশ অভিযান সম্ভবপর হয়ে উঠেনি। এই ইঞ্জিন নির্মাণের পরই মহাকাশ যাত্রা ব্যবহারিক মাত্রা পায়। মহাকাশ অভিযানের কিছু সাধারণ মূলনীতি হচ্ছে: বৈজ্ঞানিক গবেষণা, বিভিন্ন জাতির মধ্যে ঐক্য আনয়ন, মানবতার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা এবং অন্য দশের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার খাতিরে সামরিক ও কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণ।
মহাকাশ অভিযানকে অনেক সময়ই বিবদমান জাতির মধ্যে যুদ্ধের উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। স্নায়ু যুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে মহাকাশ প্রতিযোগিতা বিশাল রূপ ধারণ করেছিল। তাই মহাকাশ অভিযানের উত্থান ঘটেছিল মহাকাশ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। এই প্রতিযোগিতার দুটি প্রধান ঘটনা হল রাশিয়ার স্পুটনিক ১ নামক প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ মাহাকাশে প্রেরণ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক চাঁদে মানুষ প্রেরণ।