কূর্মপুরাণ
কূর্মপুরাণ (সংস্কৃত: कूर्म पुराण, Kūrma Purāṇa) হল হিন্দু অষ্টাদশ পুরাণের অন্যতম। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, এই পুরাণ বিষ্ণু নিজে নারদ ঋষিকে বলেছিলেন। বিষ্ণুর কূর্ম অবতারের বিস্তারিত বিবরণ এই পুরাণে পাওয়া যায়। হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, নারদ এই পুরাণ সূতকে বলেছিলেন এবং সূত বিশিষ্ট ঋষিদের এক সম্মেলনে তা ব্যক্ত করেছিলেন। পদ্মপুরাণের শ্রেণিবিন্যাস অনুসারে, এই পুরাণ একটি তামস পুরাণ।[1]
হিন্দু শাস্ত্র ও ধর্মগ্রন্থ |
---|
![]() |
অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ
|
সম্পর্কিত হিন্দু ধর্মগ্রন্থ |
|
|
শাস্ত্র, সূত্র ও অন্যান্য
|
কালরেখা
|
বিষয়বস্তু
কূর্মপুরাণের মুদ্রিত সংস্করণ দুটি ভাগে বিভক্ত। যথা - পূর্বভাগ ও উত্তরভাগ। পূর্বভাগে ৫৩টি এবং উত্তরভাগে ৪৬টি অধ্যায় রয়েছে।
প্রথাগত শ্রেণিবিন্যাস অনুসারে, কূর্মপুরাণে চারটি সংহিতা ছিল। যথা - ব্রাহ্মী সংহিতা, ভাগবতী সংহিতা, সৌরী সংহিতা ও বৈষ্ণবী সংহিতা। কূর্মপুরাণের যে অংশটি বর্তমানে পাওয়া যায়, তা ব্রাহ্মী সংহিতার অংশ।
নারদ পুরাণে উক্ত চারটি সংহিতার একটি সংক্ষিপ্ত পরিচয় পাওয়া যায়। ব্রাহ্মী সংহিতায় ৬০০০ শ্লোক ছিল। বর্তমানে কূর্মপুরাণের যে অংশটি পাওয়া যায়, তাতে ৪০০০ শ্লোক আছে। ভাগবতী সংহিতায় ৪০০০ শ্লোক ছিল। এই সংহিতা পাঁচ ভাগে বিভক্ত ছিল। তাই এট্টিকে পঞ্চপদী বলা হত। এই অংশে চার বর্ণের কর্মের উল্লেখ ছিল। সৌরী সংহিতায় ২০০০ শ্লোক ছিল। এটি ছয়টি পদে বিভক্ত ছিল। এই অংশে পাঁচ ধরনের জাদুবিদ্যার উল্লেখ ছিল। যথা - শান্তি, বশীকরণ, স্তম্ভন, বিদ্বেষণ, উচ্চাটন ও মারণ। বৈষ্ণবী সংহিতায় ৫০০০ শ্লোক ছিল। এটি চারটি পদে বিভক্ত ছিল এবং এটির মূল উপজীব্য বিষয় ছিল মোক্ষধর্ম।[2]
পাদটীকা
- Wilson, H. H. (১৮৪০)। The Vishnu Purana: A system of Hindu mythology and tradition। Oriental Translation Fund। পৃষ্ঠা 12।
- Hazra, R.C. (1962). The Puranas in S. Radhakrishnan ed. The Cultural Heritage of India, Vol.II, Calcutta: Ramakrishna Mission Institute of Culture, আইএসবিএন ৮১-৮৫৮৪৩-০৩-১, p.259
আরও পড়ুন
- Mani, Vettam. Puranic Encyclopedia. 1st English ed. New Delhi: Motilal Banarsidass, 1975.