বৈশেষিক সূত্র
বৈশেষিক সূত্র বা কণাদ সূত্র হল হিন্দু দর্শনের বৈশেষিক-প্রতিষ্ঠিত শাখার প্রাচীন সংস্কৃত গ্রন্থ। এই সূত্রের রচয়িতা হলেন হিন্দু ঋষি কণাদ (অপর নাম কশ্যপ)। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, তার আবির্ভাব বৌদ্ধধর্ম উৎপত্তির অনেক আগেই হয়েছিল, কারণ বৈশেষিক সূত্রে বৌদ্ধধর্ম কিংবা বৌদ্ধ মতাদর্শের কোনো উল্লেখ নেই। তবে কণাদের জীবন এখনো ধোঁয়াশাময়, এবং বৈশেষিক সূত্রের সময়কাল খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ থেকে ২য় শতাব্দী বলে অনুমিত, আর এর লিখন সম্পূর্ণ হয় বর্তমান যুগ শুরু হওয়ার ঠিক আগে।
বর্তমান যুগের প্রারম্ভের পর অনেক স্থানেই এর উল্লেখ মিলেছে, যেমন প্রশস্তপাদের পদার্থ ধর্ম সংগ্রহ-এ। এছাড়া মতিচন্দ্রের দশ পদার্থ শাস্ত্রতে এর প্রভাব পাওয়া যায়। দশ পদার্থ শাস্ত্র গ্রন্থটি সংস্কৃত ও চীনা ― দুই ভাষাতেই পাওয়া যায়। ৬৪৮ খ্রিষ্টাব্দে ইউয়ান-চুয়াং এর চীনা অনুবাদ করেন।
বৈশেষিক সূত্রের সূত্রগুলি প্রবাদধর্মী, এবং প্রাকৃতিক পরমাণুবাদ, যুক্তি ও বাস্তববাদের ওপর ভিত্তি করে সৃষ্টি ও স্থিতির তত্ত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
আস্তিক দর্শন এর মধ্যে মহর্ষি কনাদ প্রবর্তিত বৈশেষিক দর্শন অন্যতম। বুদ্ধের জন্মের 800 বা 400 বছর আগে তার আবির্ভাব কাল বলে অনুমান করা হয় । শোনা যায় তিনি স্বর্ণ কণা দিকে জীবন ধারণ করতেন তাই তার নাম কনাদ ।