ঋতু গুহ
ঋতু গুহ (১৯৩৭-২৪ ডিসেম্বর, ২০১১)[1] একজন ভারতীয় বাঙালি রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী । ইনি বিখ্যাত সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহর স্ত্রী ।
জীবন
১৯৩৭ সালে কলকাতার বালিগঞ্জ প্লেসে ঋতু গুহ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতার নাম ছিল নির্মলচন্দ্র গুহঠাকুরতা। ঋতু গুহ বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিক্ষক তথা দক্ষিণী সংগীতবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শুভ গুহঠাকুরতার ভ্রাতুষ্পুত্রী।[2] খুব অল্প বয়সেই তিনি গান গাওয়া শুরু করেন। ১৯৪১ সালে গীতবিতান সংগীতবিদ্যালয় ও পরে ১৯৪৮ সালে দক্ষিণীতে যোগ দেন। ১৯৫৬ সালে তিনি দক্ষিণী থেকেই স্নাতক হন। দক্ষিণীতে তিনি শুভ গুহঠাকুরতা, সুনীল রায় প্রমুখ বিশিষ্ট শিক্ষকদের কাছে গান শেখেন। ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র-জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে তার প্রথম অ্যালবামটি প্রকাশিত হয়। ১৯৬২ সালে বিশিষ্ট সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহকে বিবাহ করেন। তাদের দুই কন্যা বর্তমান। ঋতু গুহের একাধিক অ্যালবাম বেরিয়েছে। তিনি দেশে ও দেশের বাইরেও একাধিক স্থানে গান গেয়েছেন। অসুস্থতার কারণে জীবনের শেষ বছরগুলিতে তিনি সংগীতজগৎ থেকে দূরে ছিলেন।[1]
গান
ঋতু গুহ প্রধানত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী হলেও শাস্ত্রীয় সংগীত, টপ্পা ও অতুলপ্রসাদী গানে তার স্বচ্ছন্দ বিচরণ ছিল। তার গাওয়া রবীন্দ্রসংগীতগুলির মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয়তা পায় 'এ কী লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ, প্রাণেশ হে' গানটি। রবীন্দ্রনাথের পূজা পর্যায়ের গান, বিশেষত ধ্রুপদাঙ্গ ও ভাঙা গান ছিল তার বিশেষত্ব। কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুচিত্রা মিত্র, শান্তিদেব ঘোষ, সত্যজিৎ রায় প্রমুখেরা ছিলেন তার গুণমুগ্ধ। বুদ্ধদেব গুহ তাদের সম্পর্কের কথা ধরে রেখেছিলেন তার খেলা যখন উপন্যাসে।[3]
ডিস্কোগ্রাফি
কমপ্যাক্ট ডিস্ক
নিচের ডিস্কগুলিতে তার ১৯৬০-১৯৮০-এর দশকে রেকর্ড-করা গানগুলি সংকলিত হয়েছে।
- বাসন্তী হে ভুবনমোহিনী (১৯৯৮)
- আপন ভিতর হতে (২০০৫)
- ত্রিধারা (২০১০)
পাদটীকা
- Ritu Guha passes away
- সঙ্গীত শিল্পী ঋতু গুহ প্রয়াত
- "ঋতু গুহের জীবনাবসান"। ১৯ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১১।