ইন অ্যানাদার কান্ট্রি

"ইন অ্যানাদার কান্ট্রি" (ইংরেজি: In Another Country, অনুবাদ 'অন্য দেশে') হল আর্নেস্ট হেমিংওয়ে রচিত একটি ছোটগল্প। এটি ১৯২৭ সালে মেন উইদাউট উইমেন ছোটগল্প সংকলনে প্রকাশিত হয়। গল্পটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালীন মিলানে একজন অ্যাম্বুলেন্স কর্পোরালের সদস্যকে কেন্দ্র করে আবর্তিত, যে মেশিন ভিত্তিক চিকিৎসাপদ্ধতির ব্যঙ্গধর্মী উপস্থাপন বলে বিবেচনা করা হয়।[1] নাম-পরিচয়হীন এই চরিত্রটিকে হেমিংওয়ের সৃষ্ট অর্ধ-আত্মজীবনীমূলক চরিত্র নিক অ্যাডামস বলে ধারণা করা হয়।

গল্প সংক্ষেপ

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মিলানে একজন অ্যাম্বুলেন্স কর্পোরালের সদস্য হাঁটুতে আঘাত পেয়ে প্রতিদিন চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যায়। সেখানে দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য "মেশিন" ব্যবহার করা হয় এবং ডাক্তাররা এই অলৌকিক নতুন প্রযুক্তিকে বড় করে দেখাতে থাকে। তার আঘাতের ছবি ও তা মেশিনের সাহায্যে কীভাবে সারিয়ে ওঠছে তার ছবি দেখান, কিন্তু যুদ্ধাহত সৈনিকটি এতে সন্দেহ প্রকাশ করে। যখন গল্পকথক তার সহ-সৈনিকদের নিয়ে রাস্তায় হেঁটে যান, শহরের লোকজন তাদের দিকে সরাসরি ঘৃণার দৃষ্টিতে থাকায় কারণ তার সৈনিক। চিকিৎসা পরবর্তী তারা ক্যাফে কোভাতে যান, যেখানে খাদ্য পরিবেশক খুবই দেশপ্রেমী।

যখন বাকি সৈনিকেরা গল্পকথকের পদকের প্রশংসা করেন, তারা জানতে পারে যে সে মার্কিনী এবং তারা পদক পাওয়ার জন্য এমন কষ্টের সম্মুখীন হতে চাননা। তারা তাকে আর সমভাবে দেখে না, কিন্তু তাকে তখনও বন্ধু মনে করে। গল্পকথক এই বিষয়টি গ্রহণ করে নেন, কারণ সে মনে করে তারা পদক অর্জনের চেয়েও তার জন্য বেশি কিছু করেছে। পরবর্তী কালে গল্পকথকের এক মেজর বন্ধু তাকে বিয়ে না করার পরামর্শ দেন, কিন্তু তার আশা ও স্বপ্ন ছিল বিয়ে করার, কারণ এর মধ্য দিয়ে একজন তার জীবনকে নতুনভাবে গড়ে তোলতে পারে। পরে জানা যায় যে মেজরের স্ত্রী হঠাৎ ও অপ্রত্যাশিতভাবে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। মেজরকে তার স্ত্রী হারানোয় খুব বেশি মনঃকষ্টে পীড়িত হিসেবে দেখা যায়।

তথ্যসূত্র

  1. মন্টেইরো, জর্জ (সেপ্টেম্বর ১৯৯৮)। "The Major's Therapy: Ernest Hemingway's "In Another Country""দ্য জার্নাল অব মেডিক্যাল হিউনিটিজ অ্যান্ড বায়োইথিকস: ১৪৩–১৫২। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১৯

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.