আবার তোরা মানুষ হ

আবার তোরা মানুষ হ হচ্ছে ১৯৭৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র।[1][2][3] চলচ্চিত্রটির পরিচালক খান আতাউর রহমান কলেজ প্রিন্সিপাল হিসেবে অভিনয় করেছিলেন।

আবার তোরা মানুষ হ
পোস্টার
পরিচালকখান আতাউর রহমান
কাহিনীকারআমজাদ হোসেন
শ্রেষ্ঠাংশেসরকার ফিরোজ
ববিতা
রাইসুল ইসলাম আসাদ
ফারুক
মুক্তি১৯৭৩
দেশ বাংলাদেশ
ভাষাবাংলা

কাহিনী সংক্ষেপ

বঙ্গবাণী নামক এক কলেজে সাতজন তরুণ পড়ত, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তারা যোগ দেয় যুদ্ধে এবং যুদ্ধ শেষে তাদের জীবন আর আগের মত থাকেনা। দেখা যায় যে যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবার পরেও তাদের কাছে রয়েছে অস্ত্র-বন্দুক। তবে অস্ত্রকে তারা কোনো ঋণাত্মক কাজে ব্যবহার করেনা। তারা সমাজের কোনো জায়গায় অন্যায়/দূর্নীতি দেখলে সেটা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। তরুণরা স্বাধীন দেশেও তাদের এক প্রকারের যুদ্ধ চালায়। বঙ্গবাণী কলেজের অধ্যক্ষ একজন অত্যন্ত আদর্শবান মানুষ, ঐ সাত তরুণ তাকে অনেক সম্মান করে।

ঐ সাত তরুণের নাম হচ্ছে হিরে, চুন্নি, পান্না, সোনা, রতন, কাঞ্চন আর মাণিক। তখনকার সাধারণ মানুষদের ভোগান্তি যেমন দোকানে বেশী দামে কোনো জিনিস বিক্রি করা, কিংবা মানুষের প্রতি অবিচার দেখলে এই সাত তরুণ ক্ষেপে যেত এবং দোকানদারদেরকে অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে তাদেরকে একবার বন্দুক দিয়ে পেটায় সোনা, হিরে আর কাঞ্চন। মাণিকের প্রেমিকা নীলা একবার এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞেস করে কিন্তু মাণিক হতাশার সহিত উত্তর দেয় এবং তার এহেন কর্মকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গায়।

চলচ্চিত্রটির কাহিনী মূলত সাত তরুণের সমাজে চলা অসততা দমন করা নিয়েই তবে একদা একবার কলেজের পরীক্ষার সময়ে পরীক্ষার হলে নকল করা হচ্ছিলো যেখানে মাণিক নিজেও নকলে অংশ নেয় এবং অধ্যক্ষের কাছে ধরা খেয়ে কলেজ থেকে বহিষ্কৃত হয়। পরবর্তীতে সাত তরুণই সমাজকে তাদের আদর্শ অনুযায়ী ঠিক করতে না পেরে ব্যক্তিগত হতাশা থেকে অপকর্মে জড়িয়ে যায়।

শ্রেষ্ঠাংশে

সঙ্গীত

চলচ্চিত্রটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন খান আতাউর রহমান নিজেই।

গানের তালিকা

পুরস্কার

সেরা কাহিনীকার - আমজাদ হোসেন[4]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.