আবিদা সুলতানা
আবিদা সুলতানা বাংলাদেশের অন্যতম কণ্ঠশিল্পী । তিনি আধুনিক গান এবং চলচ্চিত্র প্রেব্যাক এর জন্য বিখ্যাত।[1]
আবিদা সুলতানা | |
---|---|
জন্ম | |
পেশা | সঙ্গীতশিল্পী |
দাম্পত্য সঙ্গী |
প্রাথমিক জীবন
বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার একটি সাংষ্কৃতিকমনা পরিবারে আবিদার জন্ম। সাংষ্কৃতিকমনা পরিবার হওয়ায় শৈশব থেকেই আবিদা গান, নাটক, নাচসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিল। ছোটবেলায় গানের চেয়েও নাচের প্রতি আবিদার বেশি ঝোঁক ছিল। আবিদা সুলতানা বাবু রাম গোপাল মহন্ত, ওস্তাদ ফুল মোহাম্মদ, আক্তার সাদমানি, বারীন মজুমদার, ওস্তাদ নারু এবং ওস্তাদ সগীরউদ্দীন খান থেকে গানের তালিম নিয়েছেন। আবিদার সঙ্গীত জীবনে এই প্রখ্যাত ওস্তাদদের প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষ করা যায়।
কর্মজীবন
রবীন্দ্র সঙ্গীত এবং নজরুল সঙ্গীত এই দুইটির উপর আবিদা তালিম নিলেও আধুনিক গানেই তিনি বেশি মনোযোগী। পূর্ব পাকিস্তানের একটি সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় (পরবর্তীতে তা ফুলকড়িঁ নামে বেশি পরিচিতি লাভ করে) বিজয়ী হন। ১৯৬৮ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতার এর সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তখন থেকেই তিনি এই দুই মাধ্যমে নিয়মিত গান পরিবেশন করে আসছেন। ১৯৭৪ সালে তিনি চলচিত্রে সর্বপ্রথম প্লেব্যাক করেন। এই পর্যন্ত আবিদা ৪৫০ টির বেশি চলচিত্রের গানে কন্ঠ দিয়েছেন।
সংসার জীবন
আবিদা ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের আরেক সঙ্গীত কিংবদন্তি শিল্পী রফিকুল আলমের প্রেমে পড়েন। ১৯৭৫ সালে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
আবিদা সুলতানা রচিত কিছু গানের তালিকা[2]
- একটা দোলনা যদি
- বিমূর্ত এই রাত্রি আমার
- হৃদয়ের অচেনা দুটি নদী
- হারজিৎ চিরদিন থাকবেই
- হাতে থাক দুটি হাত
- মধু চন্দ্রীমার এই রাত
- আমাদের দেশটা স্বপ্ন পুরী
- একি বাঁধনে বল
- আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে
- রঙীলা পাখিরে
- আমি জ্যোতিষীর কাছে যাব
তথ্যসূত্র
- "Abida Sultana on Gtv's biography programme"। Maynal Hossain Chowdhur। daily-sun।
- "কণ্ঠশিল্পী জনাবা আবিদা সুলতানা গীত গানের তালিকা"। www.priyo.com। ১০ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৫।