আগুনের পরশমণি (উপন্যাস)
আগুনের পরশমণি বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ-এর একটি বাংলাদেশী স্বাধীনতা যুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস। এটি ১৯৮৬ সালে অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত হয়।[3] পরবর্তীতে ঔপন্যাসিক নিজেই এই উপন্যাস অবলম্বনে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।[4]
![]() আগুনের পরশমণি বই এর প্রচ্ছদ | |
লেখক | হুমায়ূন আহমেদ |
---|---|
প্রচ্ছদ শিল্পী | ধ্রুব এষ |
দেশ | ![]() |
ভাষা | বাংলা ভাষা |
ধরন | উপন্যাস |
প্রকাশিত | ১৯৮৬ (অন্যপ্রকাশ) |
মিডিয়া ধরন | প্রিন্ট (হার্ডকভার) |
আইএসবিএন | [[Special:BookSources/9848683739[1]|9848683739[2]]] |
পূর্ববর্তী বই | আমার আছে জল (১৯৮৫) |
পরবর্তী বই | নিশিথিনী (১৯৮৭) |
গল্প সংক্ষেপ
১৯৭১ সালের মে মাস। অবরুদ্ধ ঢাকায় ভীষণ নিস্তব্ধ রাতের বুক চিরে ছুটছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাঁজোয়া গাড়ির বহর। তীব্র হতাশা, তীব্র ভয়ে কাঁপছে বাংলাদেশের মানুষ। অবরুদ্ধ ঢাকার একটি পরিবারের কর্তা মতিন সাহেব ট্রানজিস্টার শোনার চেষ্টা করছেন মৃদু ভলিউমে। ভয়েস অব আমেরিকা, বিবিসি, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র শোনার চেষ্টা করছেন। নব ঘোরাচ্ছেন ট্রানজিস্টারের। হঠাৎ শুনতে পেলেন বজ্রকণ্ঠের অংশ বিশেষ : ‘মনে রাখবা রক্ত যখন দিয়েছি / রক্ত আরও দিবঃ / এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম / এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। মতিন সাহেবের পরিবারে কয়েকদিন পর হাজির হন উনার বন্ধুর ছেলে বদিউল আলম বদি এবং তার সাথের মুক্তিযোদ্ধারা একের পর এক অভিযান করে সফলতা লাভ করে। কিন্তু এক এক করে তারা পাক বাহিনীর হাতে বন্ধী হয়। ধরা পড়ার পর গেরিলাযোদ্ধা রাশেদুল করিমকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় থু থু ছিটিয়েছেন পাকিস্তানী মেজরের মুখে। হাতের আঙুল কেটে ফেলা হয়েছে তার। মাথা নোয়াননি। অবশেষে আসাদুজ্জামান নূর গুলি খান। তাকে সারানোর মত ডাক্তার ঔষধের এর জন্য সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু তিনি কি পারবেন সকাল পর্যন্ত বাঁচতে? তিনি কি আরেকটি সূর্যালোক দেখতে পাবেন? এভাবেই শেষ হয় উপন্যাসটির কাহিনী।
চলচ্চিত্র
আগুনের পরশমণি ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভিত্তিক এই চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশের বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। এটিই তার পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।[5] এতে অভিনয় করেছেন বিপাশা হায়াত, আসাদুজ্জামান নূর, আবুল হায়াত, ডলি জহুর সহ আরো অনেকে।[6] বাংলাদেশ সরকারের অনুদানের ছবি আগুনের পরশমণি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ আটটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে।[7]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- "আগুনের পরশমণি"। গুডরিডস। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৬।
- "আগুনের পরশমণি"। গুডরিডস। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৬।
- আহমেদ মাওলা (১৬ ডিসেম্বর ২০১৫)। "মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস : স্মৃতি ও চেতনা"। সুপ্রভাত। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৬।
- শাকুর মজিদ (৩ এপ্রিল ২০১৬)। "আগুনের পরশমণি এক চলচ্চিত্রকারের আবির্ভাব"। কালি ও কলম। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৬।
- রাশেদ শাওন; মারুফ (৩ জুন ২০১৫)। "ঢাকাই চলচ্চিত্রে হাওয়া বদল : নির্মাতা পর্ব"। রাইজিংবিডি। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৬।
- "আগুনের পরশমণি"। সাতদিন। ২০ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৬।
- "চলে গেলেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমাযূন আহমেদ"। দৈনিক জনকণ্ঠ। ঢাকা, বাংলাদেশ। ২০ জুলাই ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৬।