বৃহন্নলা
বৃহন্নলা বাংলাদেশের বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ এর লেখা মিসির আলি সিরিজের একটি উপন্যাস। এটি ১৯৮৯ সালের আগস্ট মাসে প্রথম প্রকাশিত হয়। এই উপন্যাসে মিসির আলি লেখকের কাছে শোনা অতিপ্রাকৃত এক ঘটনার রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করেন।
![]() বৃহন্নলা বইয়ের প্রচ্ছদ | |
লেখক | হুমায়ূন আহমেদ |
---|---|
দেশ | ![]() |
ভাষা | বাংলা |
ধারাবাহিক | মিসির আলি |
বিষয় | মিসির আলি ভিত্তিক উপন্যাস |
ধরন | অতিপ্রাকৃত, রহস্য |
প্রকাশিত | আগস্ট ১৯৮৯ |
প্রকাশক | প্রতীক প্রকাশনা সংস্থা |
মিডিয়া ধরন | ছাপা (হার্ডকভার) |
পূর্ববর্তী বই | অন্যভুবন |
পরবর্তী বই | ভয় |
উৎসর্গপত্র
চরিত্রসমূহ
কাহিনী সারসংক্ষেপ
লেখকের মামাতো ভাইয়ের বিয়ে দিয়ে উপন্যাসের শুরু। কিন্তু পরবর্তীতে বিয়ের কনে পালিয়ে যাওয়ায় বিয়ের সমস্ত আয়োজন ভেস্তে যায়। বরযাত্রীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় স্থানীয় গ্রামবাসীদের বাড়িতে তারা আশ্রয় নেয়। এসময় লেখক গ্রামের শেষ প্রান্তের সুধাকান্তবাবুর বাড়িতে রাত্রিযাপন করতে যান। সাধু সন্ন্যাসীর মতো দেখতে সুধাকান্তবাবু লেখককে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে এক ভূতের গল্প শোনালেন। গল্পটা মোটামুটি এ রকম: সুধাকান্তবাবুর সাথে অনেক আগে এক মেয়ের বিবাহ ঠিক হয়। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে মেয়েটি সাপের কামড়ে মারা যায়। যার ফলে সুধাকান্তবাবুর মধ্যে এক তীব্র বৈরাগ্যের জন্ম হয়। তিনি সরাজীবন বিবাহ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখেন। কিন্তু হঠাৎ বাড়ির সামনের ঝোপে এক গভীর রাতে তিনি এক কিশোরীর লাশ আবিষ্কার করেন। তার মনে হয় কিশোরীর মুখটা তার সাথে যার বিবাহ হওয়ার কথা ছিল, ঠিক তার মুখের মতো। তিনি ভাবেন লাশটা ঝোপে ফেলে রাখলে শিয়াল কুকুরে দাঁত বসাতে পারে। তাই তিনি লাশটি তার ঘরে নিয়ে আসেন। আর এরপর থেকেই প্রতি রাতে তার সাথে ঘটতে থাকে অতিপ্রাকৃত কিছু ঘটনা। যেমন বাসার চারপাশে মাঝরাতে কারো হাঁটার শব্দ পাওয়া যায়। বাইরে কোথাও বাতাস না থাকলেও তার বাড়ির চালে যেন ঝড় শুরু হয়। লেখক নিজেও ঐ বাড়িতে রাতে থাকা অবস্থাতে একইরকম অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। লেখকের মতে এটির একমাত্র ব্যাখ্যা হতে পারে,পৃথিবীতে ভূত আছে। কিন্তু তার মনের একটি অংশ এতে সায় দেয় না। তাই ঘটনাটি তিনি মিসির আলিকে জানান। মিসির আলি তার যুক্তিবাদী মানসিকতা দিয়ে রহস্যটি সমাধানের চেষ্টায় নিয়োজিত হন।
প্রকাশনার ইতিহাস
১৯৮৯ সালের আগস্ট মাসে প্রতীক প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটির প্রচ্ছদ ডাচ শিল্পী আর্নলফ রেইনার এর তৈলচিত্র অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে।