অংশুমান গায়কোয়াড়

অংশুমান দত্তজিরাও গায়কোয়াড় (জন্ম: ২৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৫২) মহারাষ্ট্রের বোম্বেতে (বর্তমানে - মুম্বই) জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ভারত ক্রিকেট দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ছিলেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখান ‘গ্রেট ওয়াল’ ডাকনামে পরিচিত অংশুমান গায়কোয়াড়। ঘরোয়া ক্রিকেটে বরোদার প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে আধিপত্যবিস্তারকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান পেস বোলারদের বিপক্ষে রুখে দাঁড়াতে তিনি গভীর মনঃসংযোগ সহকারে রক্ষণাত্মক ভূমিকা পালন করতেন। অবসর পরবর্তীকালে ১৯৯০-এর দশকে দুই মেয়াদে ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন।[1]

অংশুমান গায়কোয়াড়
ক্রিকেট তথ্য
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ৪০ ১৫
রানের সংখ্যা ১৯৮৫ ২৬৯
ব্যাটিং গড় ৩০.০৭ ২০.৬৯
১০০/৫০ ২/১০ ০/১
সর্বোচ্চ রান ২০১ ৭৮
বল করেছে ৫৫.৪
উইকেট
বোলিং গড় ৯৩.৫০ ৩৯.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট -
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ১/৩৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৫/০ ৬/০
উৎস: ক্রিকইনফো, ১৯ মে ২০১৭

খেলোয়াড়ী জীবন

সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক দত্ত গায়কোয়াড়ের সন্তান অংশুমানের ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৭৪ তারিখে কলকাতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে। একই মাঠে ১৯৮৪-এর শেষ দিনে ৩১ ডিসেম্বর তারিখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি সর্বশেষ টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৪০ টেস্টে ৩০.০৭ গড়ে ২ শতক ও ১০ অর্ধ-শতক সহযোগে ১,৯৮৫ রান করেন। ১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে জামাইকায় আধুনিককালের বডিলাইন সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাইকেল হোল্ডিংয়ের বলের বিপক্ষে মোকাবেলা করে ৮১ তোলেন। ঐ সময়ে হেলমেটের প্রচলন ছিল না ও বাউন্সারের সীমাবদ্ধতা না থাকায় তার ডান কান ক্ষত-বিক্ষত হয়।[2] এরপর তাকে ৪৮ ঘন্টা হাসপাতালের নিবীড় পরিচর্যা কেন্দ্রে অবস্থান করতে হয় ও দুইবার সেলাই করতে হয়। অদ্যাবধি তিনি কানের সমস্যায় ভুগছেন।[3]

১৯৮২-৮৩ মৌসুমে জলন্ধরে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজস্ব সর্বোচ্চ ২০১ রান তোলেন। এ ইনিংসে তিনি ৬৭১ মিনিট ব্যয় করেন যা তার অসম্ভব ধৈর্যশীলতা ও গভীর মনোযোগের প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও ১৫ ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন তিনি। ৪ জুন, ১৯৭৫ তারিখে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআই অভিষেক ঘটে তার। ১৯৭৫১৯৭৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।

কোচিং

ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পর গায়কোয়াড় ভাদোদারার জিএসএফসি’র পক্ষে কাজ করেন। এরপর ২০০০ সালের প্রথমদিকে ক্রিকেট জীবন থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। অক্টোবর, ১৯৯৭ সালে মদন লালের পরিবর্তে ভারত দলে প্রথমবারের মতো কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন।[4] ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর সেপ্টেম্বর, ১৯৯৯ সালে কপিল দেব তার স্থলাভিষিক্ত হন। পরবর্তীতে আগস্ট, ২০০০ সাল থেকে অক্টোবর, ২০০০ সাল পর্যন্ত পুণরায় জাতীয় দলের কোচ ছিলেন। এবারও তার স্থলে এ দায়িত্বে আসেন কপিল দেব।

তথ্যসূত্র

  1. Vaidya, Nishad Pai। "Anshuman Gaekwad: Top level coaching involves a lot more man management"। criclife। সংগ্রহের তারিখ 2015-12-8 এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. "Anshuman Gaekwad's Cricinfo Profile"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ 2015-12-8 এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  3. Naik, Nitin (2014-11-30)। "I still have hearing issues, but at least I am alive: Anshuman Gaekwad"। সংগ্রহের তারিখ 2015-12-8 এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  4. Pathak, Nikhilesh (2011-9-1)। "Family first, Anshuman Gaekwad says no to Sri Lanka, Kenya"। dnaindia। সংগ্রহের তারিখ 2015-12-8 এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

পূর্বসূরী
মদন লাল
ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ
অক্টোবর, ১৯৯৭ - সেপ্টেম্বর, ১৯৯৯
উত্তরসূরী
কপিল দেব
পূর্বসূরী
কপিল দেব
ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ
আগস্ট, ২০০০ - অক্টোবর, ২০০০
উত্তরসূরী
জন রাইট
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.