দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম
ডিএসসি ক্রিকেট স্টেডিয়াম আরও পরিচিত যে নামে দুবাই স্পোর্টস সিটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম হল একটি একটি নতুনভাবে সজ্জিত বিভিন্ন খেলার উদ্দেশ্য ব্যবহৃত দুবাই সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি খেলার মাঠ। এটিকে প্রধানত ব্যবহার করা হয় ক্রিকেট খেলার জন্য এবং এটি হল দেশটির তিনটি স্টেডিয়ামের মধ্যে একটি; আর অন্য দুটি স্টেডিয়াম হল শারজাহ ক্রিকেট এ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম এবং অন্যটি হল আবুধাবি শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়াম। মাঠটির দর্শক ধারণক্ষমতা হল ২৫,০০০ কিন্তু ৩০,০০০ দর্শক ধারণযোগ্য। এটি হল দুবাইয়ের দুবাই স্পোর্টস সিটি এর একটি অংশ ।
ডিএসসি | |
![]() পাকিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার চলমান একটি খেলার দৃশ্য | |
স্টেডিয়ামের তথ্যাবলী | |
---|---|
অবস্থান | দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দুবাই |
স্থানাঙ্ক | ২৫°২′৪৮″ উত্তর ৫৫°১৩′৮″ পূর্ব |
প্রতিষ্ঠাকাল | ২০০৯ |
ধারন ক্ষমতা | ২৫,০০০ (কিন্তু বিস্তারযোগ্য ৩০,০০০) |
স্বত্ত্বাধিকারী | দুবাই প্রোপ্রার্টিজ |
স্থপতি | স্থপিত ভন গর্কন, মার্গ এন্ড পার্টনার |
পরিচালনায় | পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড |
অন্যান্য | পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল |
প্রান্ত | |
আমিরাত রোড এন্ড দুবাই স্পোর্টস সিটি এন্ড | |
আন্তর্জাতিক তথ্যাবলী | |
প্রথম টেস্ট | ১২ নভেম্বর ২০১০: পাকিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা |
শেষ টেস্ট | ২৩-২৬ অক্টোবর ২০১৩: পাকিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা |
প্রথম ওডিআই | ২২ এপ্রিল ২০০৯: পাকিস্তান বনাম অস্ট্রেলিয়া |
শেষ ওডিআই | ১৮ নভেম্বর ২০১৩: পাকিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা |
২৭ নভেম্বর ২০১৩ অনুযায়ী উৎস: ইএসপিএন কিক্রইনফো |
স্টেডিয়ামের ইতিহাস
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া এবং পাকিস্তান এর মধ্যে ২২শে এপ্রিল ২০০৯ সালে; উক্ত খেলায় পাকিস্তান জয়লাভ করতে সামর্থ্য হন। স্টেডিয়ামের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ৫ উইকেট নিয়ে ৫ উইকেট ক্লাবের সদস্য হন শহীদ আফ্রিদি; যিনি মাত্র ৩৮ রান খরচ করে ৬ উইকেট তুলে নিয়ে তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং পরিসংখ্যান যুক্ত করেন। এছাড়াও স্টেডিয়ামটির সর্ব্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান সংগ্রহকারী হলেন জ্যাক ক্যালিস; যিনি ১৩৫* করে অপরাজিত থাকেন। পরবর্তীতে পাকিস্তান নিউজিল্যান্ড এর বিরুদ্ধে সিরিজ এবং ইংল্যান্ড এর বিরুদ্ধে একটি টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক মাচ আয়োজন করে। যেখানে ৫ ম্যাচ সিরিজের ৩টি ম্যাচ এই মাঠেই আয়োজন করা হয়েছিল। স্টেডিয়ামটির দ্বিতীয় ম্যাচটি ছিল অজি অলরাউন্ডার এন্ড্রু সাইমন্ডস এর শেষ ম্যাচ।
২০১০ সালের অক্টোবরে পাকিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শেষ করে ৩-২ ব্যাবধানে যাতে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ নিশ্চিত করেছিল। এছাড়াও স্টেডিয়ামটি প্রথম টেষ্ট ম্যাচ আয়োজন করে যেখানে পাকিস্তান খেলছিলেন ২০১০ সালের ১২ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে; কিন্ত উক্ত টেষ্ট ম্যাচটি ফলাফল দাড়ায় ড্রতে।
২০১২ দুবাইয়ের ১ম টেষ্টে পাকিস্তান মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড দলের সাথে যাতে পাকিস্তান খুব সহজেই ১০ উইকেটে জয় লাভ করে। সাঈদ আজমল তার অসাধারণ বোলিং নৈপূণ্য প্রদর্শন করেন। তিনি ১০ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন। ২০১২ সালের আগষ্টে পাকিস্তান ৩টি টি-২০আই ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলে যেখানে পাকিস্তানের জন্য ছিল আইসিসি ওয়াল্ডকাপ টি-২০ পূর্বে বিশাল বড় অর্জন। ফাইনাল খেলায় পাকিস্তান সুপার ওভারে জয়লাভ করে।
স্টেডিয়ামটির আলোকসজ্জা
দুবাই স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামটি হল বিশেষ পদ্ধতির আলোকসজ্জা ব্যবস্থা যার নাম হল "রিং অব ফায়ার"। বিশ্বের অন্যান্য স্টেডিয়াম এর চেয়ে এই স্টেডিয়ামটি লাইট সীমা বিস্তৃত ছাদকে ঘিরে যাতে মাঠকে ঘিরে ছায়াকে লুকাতে সাহায্য করে।
স্পোর্টস ভেন্যু আয়োজন
- ২টি ওডিআই ম্যাচ পাকিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়া ২২ থেকে ২৪ এপ্রিল ২০০৯।[1]
- ২টি টুয়েন্টি-২০ ম্যাচ পাকিস্তান বনাম নিউজিল্যান্ড ১২ থেকে ১৩ নভেম্বর ২০০৯।[2]
- ২টি টুয়েন্টি-২০ ম্যাচ পাকিস্তান বনাম ইংল্যান্ড ১৩ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০।
- এলস ক্লাব স্থানে দুবাই স্পোর্টস সিটি আয়োজনে কলওয়ে ওডিসি।[3]
- দুবাই স্পোর্টস সিটি আয়োজনে বিশ্বকাপ টুয়েন্টি-২০ কোয়ালিফায়ার ম্যাচ ফেব্রুয়ারি ২০১০ অনুষ্ঠিত হয়।[4][5]
- ৩টি ওডিআই ম্যাচ পাকিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকা মধ্য ২ থেকে ৮ নভেম্বর ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত হয়।
- টেষ্ট খেলা পাকিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার ১২ নভেম্বর ২০১০ সালে আয়োজন করা হয়।
মাঠটির রেকর্ড সমূহ
- সর্বোচ্চ দলীয় রান : ৩১৭/৫ দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম পাকিস্তান।
- সর্বনিম্ন দলীয় রান : ৯৯ পাকিস্তান বনাম ভারত
- সর্ব্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান : জ্যাক ক্যালিস ১৩৫* পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।
- ব্যক্তিগত সর্ব্বোচ্চ আকার : শহীদ আফ্রিদি ৬/৩৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া
- সর্ব্বোচ্চ রানতাড়া করে জয় : পাকিস্তান ২৭৫ রান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ১ উইকেটে জয়ী।
- সর্বনিম্ন হার : পাকিস্তান যেখানে সবাই আউট হন ২৫৭ বনাম শ্রীলঙ্কা ২১ রানে জয়ী।
তথ্যসূত্র
- "Dubai Sports City"। Dubaisportscity.ae। ৫ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১২-২৮।
- October 29, 2009 (২০০৯-১০-২৯)। "Pakistan vs New Zealand ODI Series 2009/10 Schedule/Fixture Pak vs NZ"। Crichotline.com। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১২-২৮।
- "Dubai Sports City"। Dubaisportscity.ae। ২০০৯-১১-১৮। ২৯ অক্টোবর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১২-২৮।
- Joe, Original (২০০৯-১২-২৯)। "Dubai - Sport -s City to host ICC World Twenty20 Qualifier - Sport"। ArabianBusiness.com। ২ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১২-২৮।
- "Dubai Sports City"। Dubaisportscity.ae। ৩১ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১২-২৮।