অ্যাঙ্গোলা

অ্যাঙ্গোলা (পর্তুগিজ: Angola আঁগলা, কোঙ্গো: Ngola ঙ্গোলা) দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকায় আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত এটি পর্তুগালের অধীনে ছিল এবং পর্তুগিজ পশ্চিম আফ্রিকা নামেও এটি পরিচিত ছিল। ১৯৭৫ সালে পর্তুগিজদের বিরুদ্ধে অ্যাঙ্গোলানদের প্রায় ১৫ বছর যুদ্ধের পর দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার পর পরই বিরোধী অ্যাঙ্গোলান দলগুলির মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যায় এবং ২১ শতকের প্রথম কয়েক বছর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।

অ্যাঙ্গোলা প্রজাতন্ত্র
República de Angola
রাপুব্লিকা দ্যি আঁগলা
পতাকা জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা
নীতিবাক্য: "Virtus Unita Fortior"(লাতিন)
"একতা দেয় শক্তি"
জাতীয় সঙ্গীত: Angola Avante!(পর্তুগিজ)
অ্যাঙ্গোলা আভান্তি!
(অ্যাঙ্গোলা সামনে!)
 অ্যাঙ্গোলা-এর অবস্থান (dark blue)

the African Union-এ (light blue)

 অ্যাঙ্গোলা-এর অবস্থান (dark blue)

the African Union-এ (light blue)

রাজধানীলুয়ান্ডা
৮°৫০′ দক্ষিণ ১৩°২০′ পূর্ব
বৃহত্তম শহর রাজধানী
সরকারি ভাষা পর্তুগিজ
স্বীকৃত আঞ্চলিক ভাষা (সমূহ) কোঙ্গো, চোকুয়ে, দক্ষিণ ম্বুন্ডু, ম্বুন্ডু
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ অ্যাঙ্গোলীয়, অ্যাঙ্গোলান
সরকার প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্রপতি
   রাষ্ট্রপতি জস্‌ এডোয়াদো ডোস সান্তোস্‌
   প্রধানমন্ত্রী পালোও কাসসোমা
স্বাধীন পর্তুগাল থেকে
   তারিখ নভেম্বর ১১ ১৯৭৫ 
আয়তন
   মোট ১২,৪৬,৭০০ কিমি (22nd)
৪,৮১,৩৫৪ বর্গ মাইল
   জল/পানি (%) negligible
জনসংখ্যা
   2014 আদমশুমারি 25,789,024[1]
   ঘনত্ব 20.69/কিমি (199th)
৫৩.৫৭/বর্গ মাইল
মোট দেশজ উৎপাদন
(ক্রয়ক্ষমতা সমতা)
2017 আনুমানিক
   মোট $193.935 billion[2] (64th)
   মাথা পিছু $6,881[2] (107th)
মোট দেশজ উৎপাদন (নামমাত্র) 2017 আনুমানিক
   মোট $122.365 billion[2] (61st)
   মাথা পিছু $4,342[2] (91st)
জিনি সহগ (2009)42.7[3]
মাধ্যম
মানব উন্নয়ন সূচক (2015) 0.533[4]
নিম্ন · 150th
মুদ্রা কুয়াঞ্জা (AOA)
সময় অঞ্চল WAT (ইউটিসি+১)
   গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি) not observed (ইউটিসি+১)
কলিং কোড ২৪৪
ইন্টারনেট টিএলডি (.ao)

অ্যাঙ্গোলা নামটি "ন্‌গোলা" শব্দ থেকে এসেছে। উত্তর অ্যাঙ্গোলার ম্‌বুটু গোত্রের শাসকদের ন্‌গোলা নামে ডাকা হত। বর্তমান অ্যাঙ্গোলার রাজধানী ও বৃহত্তম শহর লুয়ান্ডা। অ্যাঙ্গোলার সরকারি ভাষা পর্তুগিজ, যদিও বেশির ভাগ পর্তুগিজ দেশটি ছেড়ে চলে গেছেন। পোর্তুগিজ ছাড়াও অধিকাংশ অ্যাঙ্গোলান সাধারণত বান্টু ভাষাগুলির যেকোন একটিতে কথা বলেন।

অ্যাঙ্গোলা আফ্রিকান দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে ধনী দেশে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। দেশটিতে পেট্রোলিয়াম সম্পদ, জলবিদ্যুৎ নির্মাণের সুযোগ, উর্বর ক্ষেতখামার, হীরা ও অন্যান্য খনিজ সম্পদ --- এ সবই বিদ্যমান। কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দেশটির ক্ষতিসাধন হয় এবং তারপর গৃহযুদ্ধের সময় পেট্রোডলারের অধিকাংশই অণুন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় হয়। ২০০২ সালে একটি সন্ধিচুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটে এবং এখন দেশটি শান্তি ও অর্থনৈতিক উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

ইতিহাস

রাজনীতি

প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ

সামরিক বাহিনী

অ্যাঙ্গোলার সামরিক বাহিনী একজন সেনাপ্রধান দ্বারা পরিচালিত, যিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর কাছে জবাবদিহি করেন। অ্যাঙ্গলার প্রতিরক্ষা বাহিনী তিনটি বিভাগ নিয়ে গঠিত - স্থলসেনাবাহিনী, নৌবাহিনী (মারিনিয়া দি গেররা) এবং বিমান বাহিনী। মোট সেনাসংখ্যা প্রায় ১,১০,০০০। এদের মধ্যে স্থলসেনাবাহিনীতেই ১ লক্ষ নারী-পুরুষ কর্মরত। নৌবাহিনীতে ৩ হাজার এবং বিমানবাহিনীতে ৭ হাজার সেনা কর্মরত আছেন। বিমানবাহিনীতে রুশ-নির্মিত ফাইটার ও পরিবহন বিমান ব্যবহার করা হয়।

অ্যাঙ্গোলার স্থলসেনাবাহিনীর একটি ক্ষুদ্র অংশ কঙ্গো ও গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোতে নিয়োজিত আছে।

ভূগোল

অর্থনীতি

জনসংখ্যা

সংস্কৃতি

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "2014 population census (INE Angola)" (PDF)। ৬ মে ২০১৬ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  2. "Angola"। International Monetary Fund।
  3. "Gini Index"। World Bank। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১১
  4. "2016 Human Development Report" (PDF)। United Nations Development Programme। ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১৭

বহিঃসংযোগ

সরকার
সাধারণ তথ্য
পর্যটন
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.