মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এমসিজি) (ইংরেজি: Melbourne Cricket Ground) অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের ইয়ারা পার্কে অবস্থিত একটি আন্তর্জাতিকমানের ক্রিকেটঅস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবল স্টেডিয়াম। লক্ষাধিক আসনের দর্শক ধারণ ক্ষমতাবিশিষ্ট স্টেডিয়ামটি ১৯৫৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের প্রধান স্টেডিয়াম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৮৫৩ সালে মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব কর্তৃপক্ষ এলাকাটিকে ক্রিকেট খেলার উদ্দেশ্যে সর্বপ্রথম ব্যবহার করতে শুরু করে।[2] ক্লাবের পুরনো মাঠটি প্রায়শঃই ইয়ারা নদীর বন্যার জলে প্লাবিত হতো। ১৯৫৯ সালে অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবল খেলা এ মাঠেই প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড ট্রাস্টের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। উইলিয়াম হেইন্স উক্ত ট্রাস্টের প্রথম সভাপতি ছিলেন।

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড
এমসিজি, "জি"
অবস্থানইস্ট মেলবোর্ন, ভিক্টোরিয়া
স্থানাঙ্ক৩৭°৪৯′১২″ দক্ষিণ ১৪৪°৫৯′০″ পূর্ব
মালিকভিক্টোরিয়া সরকার
পরিচালকমেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব
নির্বাহী স্যুট১০৯
ধারণক্ষমতা১০০,০২৪
উপস্থিতির রেকর্ড১২১,৬৯৬ (১৯৭০ ভিএফএল – কার্লটন ব কলিংউড)
মাঠের আয়তন১৭১ মিটার x ১৪৬ মিটার[1]
উপরিভাগঘাস (ডিম্বাকৃতি)
নির্মাণ
উন্মোচন১৮৫৩
নির্মাণ খরচ$১৫০,০০০,০০০ (১৯৯২ সাউদার্ন স্ট্যান্ড পুণঃউন্নয়ন) $৪৬০,০০০,০০০ (২০০৬ নর্দার্ন স্ট্যান্ড পুণঃউন্নয়ন)
স্থপতিঅনেক
ভাড়াটিয়া
অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল
ভিক্টোরিয়ান বুশর‌্যাঞ্জার্স
মেলবোর্ন স্টারস
কলিংউড ফুটবল ক্লাব
হথর্ন ফুটবল ক্লাব
মেলবোর্ন ফুটবল ক্লাব
রিচমন্ড ফুটবল ক্লাব
১৯৫৬ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক

বৈশিষ্ট্য

বিশ্বের দশম সর্ববৃহৎ স্টেডিয়াম হিসেবে এর পরিচিতি রয়েছে। এছাড়াও এটি অস্ট্রেলিয়ার সর্ববৃহৎ স্টেডিয়াম। মূলতঃ স্টেডিয়ামটি ক্রিকেট খেলায় ব্যবহার করা হয়। যে-কোন ধরনের ক্রীড়া মাঠ হিসেবে আলোক প্রদানে সক্ষম সর্বোচ্চ উচ্চতার টাওয়ার নির্মাণ করে বিশ্বরেকর্ড ধারণ করে আছে।

আন্তর্জাতিকভাবে এমসিজি ১৯৫৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক এবং ২০০৬ সালের কমনওয়েলথ গেমসের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছে। খোলা ও উন্মুক্ত স্টেডিয়াম এমসিজি বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিকেট মাঠ হিসেবে পরিচিত। প্রত্যেক বছরই ২৬ ডিসেম্বরে পালিত বক্সিং ডে উপলক্ষে টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়, যা বক্সিং ডে টেস্ট নামে পরিচিত। এ উপলক্ষে ব্যাপকসংখ্যক দর্শকের সমাগম ঘটে।

এমসিজিকে প্রায়শঃই স্থানীয় বাসিন্দারা "জি" নামে আখ্যায়িত করে থাকে।[3] অন্যান্য বৃহৎ আকৃতির ক্রীড়া হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল লীগ, রাগবি ইউনিয়ন, রাগবি লীগ, ফিফা বিশ্বকাপ বাছাই-পর্বসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করা হয়। মেলবোর্ন ম্যারাথনের শেষ রেখা ও বড় আসরের রক কনসার্টের আয়োজন করা হয় এখানে।

একদিবসীয় কীর্তি

এখনো অব্দি ৩ এশীয় দেশ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই মাঠে জয় পেয়েছে ।

দেশপ্রথম জয়(সেরা খেলোয়াড়)সর্বশেষ জয়(সেরা খেলোয়াড়)
ভারত১৯৮০ (সন্দীপ পাতিল)২০০৮ (ইশান্ত শর্মা)
পাকিস্তান১৯৮১ (জাভেদ মিয়াঁদাদ)২০১৭ (মোহাম্মদ হাফিজ)
শ্রীলংকা১৯৮৫ (রুমেশ রত্নায়েকে)২০১২ (দিনেশ চান্ডিমাল)

এখনো অব্দি ৩ জন এশীয় ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই মাঠে শতরান করেছেন।

খেলোয়াড়দেশমৌসুমখেলার ফল
সৌরভ গাঙ্গুলীভারত২০০০অস্ট্রেলিয়া ২৮ রানে জয়ী হয়
রোহিত শর্মাভারত২০১৫অস্ট্রেলিয়া ৪ উইকেটে জয়ী হয়
বিরাট কোহলিভারত২০১৬অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেটে জয়ী হয়

এখনো অব্দি ৪ জন এশীয় ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই মাঠে এক ইনিংসে ৫ বা তার বেশি উইকেট পেয়েছেন ।

খেলোয়াড়দেশমৌসুমখেলার ফল
আব্দুল কাদিরপাকিস্তান১৯৮৪অস্ট্রেলিয়া ৪৩ রানে জয়ী হয়
ওয়াসিম আক্রমপাকিস্তান১৯৮৫পাকিস্তান ৬২ রানে জয়ী হয়
অজিত আগারকারভারত২০০৪অস্ট্রেলিয়া ১৮ রানে জয়ী হয়
থিসারা পেরেরাশ্রীলংকা২০১০শ্রীলংকা ১ উইকেটে জয়ী হয়

তথ্যসূত্র

  1. "MCG Facts and Figures"Melbourne Cricket Ground। ২০০৯। ৬ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০০৯
  2. "Melbourne Cricket Ground - MCG Trust 150th Anniversary". mcg.org.au. 2012. Retrieved 4 June 2012.
  3. Chappell, Ian (২৬ ডিসেম্বর ২০১০)। "Heroes wanted: Apply at the 'G"Herald Sun। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১০

আরও পড়ুন

  • Cashman, Richard (1995) Paradise of Sport Melbourne: Oxford University Press
  • Cuthbert, Betty (1966) Golden Girl
  • Gordon, Harry (1994) Australia and the Olympic Games Brisbane: University of Queensland Press
  • Hinds, Richard (1997) Low blows. Sport’s top 10 The Sydney Morning Herald 1 November
  • Linnell, Garry (1995) Football Ltd Sydney: Ironbark Pan Macmillan Australia
  • Pollard, Jack (1990) Australia Test Match Grounds London: Willow Books
  • Plan of the Town and Suburbs of Melbourne 1843
  • Vamplew, Wray; Moore, Katharine; O’Hara, John; Cashman, Richard; and Jobling, Ian [editors] (1997) The Oxford Companion to Australian Sport Second Edition Melbourne: Oxford University Press

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.