ইডেন পার্ক
ইডেন পার্ক (ইডেনের বাগান) নিউজিল্যান্ডের বিখ্যাত ও সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিকমানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম। নিউজিল্যান্ডের সর্ববৃহৎ শহর অকল্যাণ্ডের মধ্যবর্তী এলাকা থেকে তিন কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বাংশের সিবিডি এলাকায় এ স্টেডিয়ামের অবস্থান। সমৃদ্ধ ক্রীড়া ও সামাজিক ইতিহাসে ইডেন পার্কের সুনাম রয়েছে। এদেশের যে-কোন স্টেডিয়ামের তুলনায় এখানে অধিক খেলা অণুষ্ঠিত হয়েছে ও এর আন্তর্জাতিক পরিচিতি ঘটেছে। মূলতঃ শীতকালে রাগবি ইউনিয়ন খেলার জন্য স্টেডিয়ামটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ও গ্রীষ্মকালে ক্রিকেট খেলা অণুষ্ঠিত হয়। সাম্প্রতিককালে রাগবি লীগ এবং ফুটবল খেলাও এ স্টেডিয়ামে অণুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশ্বের একমাত্র স্টেডিয়াম হিসেবে এখানে একাধিকবার রাগবি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা অণুষ্ঠিত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে যৌথভাবে অণুষ্ঠিতব্য ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের অন্যতম মাঠ হিসেবে এ স্টেডিয়ামকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
ইডেনের বাগান[1] | |
![]() | |
![]() ২০০৫ সালে ইডেন পার্কে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার একদিনের আন্তর্জাতিক খেলার দৃশ্য | |
অবস্থান | কিংসল্যান্ড, অকল্যাণ্ড, নিউজিল্যান্ড |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ৩৬°৫২′৩০″ দক্ষিণ ১৭৪°৪৪′৪১″ পূর্ব |
মালিক | ইডেন পার্ক ট্রাস্ট বোর্ড |
পরিচালক | ইডেন পার্ক ট্রাস্ট বোর্ড |
ধারণক্ষমতা | ৫০,০০০ (অস্থায়ীভাবে ৬০ হাজার)[2] |
উপরিভাগ | ঘাস |
উন্মোচন | ১৯০০ |
ভাড়াটিয়া | |
ব্লুজ (সুপার রাগবি) অকল্যাণ্ড (আইটিএম কাপ) অকল্যাণ্ড এইসেস (ঘরোয়া ক্রিকেট) |
ইতিহাস
১৯০০ সালে ক্রীড়াস্থল হিসেবে ইডেন পার্কের অভিষেক ঘটে। শুরুতে এটি ব্যবহার অণুপযোগী হলে পরবর্তীতে ১৯১৪ সালে এ মাঠে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়। শুরুতেই ব্যাপকভাবে ক্রিকেট খেলায় ব্যবহার করা হয়। ঐসময় এটি কিংসল্যান্ড ক্রিকেট মাঠ হিসেবে পরিচিত ছিল। ইডেন ক্রিকেট ক্লাবের সাথে একীভূত হয়ে এটি ইডেন ক্রিকেট মাঠ নামাঙ্কিত হয়। ১৮৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত অকল্যাণ্ড ক্রিকেট সংস্থা স্টেডিয়ামের দায়িত্ব নেয়ার পর ১৯১২ সালের মধ্যে এটি ইডেন পার্ক নামে সর্বসমক্ষে পরিচিত পায়। এরপর থেকে অদ্যাবধি অকল্যাণ্ড ক্রিকেটের নিজস্ব মাঠ হিসেবে ব্যবহতসহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনেক টেস্ট, একদিনের আন্তর্জাতিক এবং টুয়েন্টি২০ ক্রিকেট খেলার আয়োজন করে আসছে।
১৯১৩ সালে অকল্যাণ্ড ক্রিকেট সংস্থার সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে রাগবি খেলা এ মাঠে অণুষ্ঠিত হয়। অকল্যাণ্ড রাগবি দল ২১ বছর মেয়াদে শীতকালে ব্যবহারের জন্য এ মাঠকে ব্যবহার করে। রাগবি ও ক্রিকেটের পাশাপাশি মাঝে-মধ্যেই ফুটবল, আন্তর্জাতিক হকি খেলাসহ ১৯৫০ সালে ব্রিটিশ এম্পায়ার গেমস প্রতিযোগিতাও ইডেন পার্কে অণুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ড ওয়ারিয়র্স ঘোষণা করে যে, ইডেন পার্কে ২০১৪ সালের এনআরএল মৌসুমের তিনটি খেলা অণুষ্ঠিত হবে।[3]
আন্তর্জাতিক অঙ্গনের অন্যতম পুরনো মাঠ হলেও এটি বেশ আধুনিক স্টেডিয়াম। যদিও আকারে এটি বেশ ছোট।
একদিবসীয় কীর্তি
এখনো অব্দি ৩ এশীয় দেশ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই মাঠে জয় পেয়েছে ।
দেশ | প্রথম জয়(সেরা খেলোয়াড়) | সর্বশেষ জয়(সেরা খেলোয়াড়) |
---|---|---|
পাকিস্তান | ১৯৮৯ (রমিজ রাজা) | ২০০১ (শোয়েব আখতার) |
ভারত | ১৯৯৪ (শচীন তেন্ডুলকর) | ২০০৩ (বীরেন্দ্র শেওয়াগ) |
শ্রীলংকা | ১৯৯৫ (সনাথ জয়াসুরিয়া) | ২০০৭ (সনাথ জয়াসুরিয়া) |
টি২০ আন্তর্জাতিক কীর্তি
এখনো অব্দি ১টি এশীয় দেশ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই মাঠে জয় পেয়েছে ।
দেশ | প্রথম জয়(সেরা খেলোয়াড়) | সর্বশেষ জয়(সেরা খেলোয়াড়) |
---|---|---|
পাকিস্তান | ২০১৬ (শহীদ আফ্রিদি) | ২০১৮ (ফখর জামান) |
তথ্যসূত্র
- "Garden of Eden to make us proud"। Rugby Heaven। ৬ এপ্রিল ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১১।
- Ihaka, James (৯ সেপ্টেম্বর ২০১০)। "Stadium has World Cup experience wrapped up"। The New Zealand Herald। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- Warriors to play three games at Eden Park ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে. 3 News NZ. 2 October 2013.
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে ইডেন পার্ক সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
নতুন ক্রীড়া ঘটনা | রাগবি বিশ্বকাপ চূড়ান্ত মাঠ ১৯৮৭ |
উত্তরসূরী টুইকেনহ্যাম, লন্ডন |
পূর্বসূরী স্টেড দ্যঁ ফ্রান্স, সেন্ট-ডেনিস |
রাগবি বিশ্বকাপ চূড়ান্ত মাঠ ২০১১ |
উত্তরসূরী টুইকেনহ্যাম, লন্ডন |
পূর্বসূরী রিজল মেমোরিয়াল স্টেডিয়াম, ম্যানিলা |
টুয়ুল রাগবি সেভেন্স গ্র্যান্ড ফাইনাল স্টেডিয়াম ২০০১ |
উত্তরসূরী টিসিএ মাঠ, হোবার্ট |