হাজী মোহাম্মদ মহসিন ইমামবাড়া
হাজী মোহাম্মদ মহসিন ইমামবাড়া বা মুড়ালী ইমামবাড়া যশোর জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম একটি পুরাকীর্তি।[1] এটি মুড়ালী নামক স্থানে অবস্থিত বলে একে মুড়ালী ইমামবাড়া হিসেবে ডাকা হয়।
হাজী মোহাম্মদ মহসিন ইমামবাড়া | |
---|---|
স্থানীয় নাম মুড়লী ইমামবাড়া | |
![]() | |
ধরন | প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন |
অবস্থান | যশোর সদর |
অঞ্চল | যশোর জেলা |
পরিচালকবর্গ | বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর |
সূত্র নং | BD-D-22-43 |

ইতিহাস
মুড়ালীতে এ ইমামবাড়াটি তৈরি করেন হাঝি মন্নুজান খানম যিনি সম্পর্কে হাজি মোহাম্মদ মহসিনের বৈপিত্রেয়ী বোন ছিলেন। ১৭শ শতকের শেষের দিকে মন্নুজান এ অঞ্চলের সম্পত্তিগুলো পৈতৃক সূত্রে পেয়েছিলেন। পরবর্তিতে নবাব সিরাজউদদৌলা পরাজিত হলে মন্নুজান ও তার স্বামী সৈয়দপুর অঞ্চলে জমিদারি প্রতিষ্ঠা করেন কিন্তু ১৭৬৪ সালে মন্নুজানের স্বামী মৃত্যুবরণ করেন ও পুরো সম্পত্তির মালিক হন মন্নুজান।
১৮০২ সালে তিনি মুড়ালীতে অন্যান্য স্থাপনার সাথে এই ইমামবাড়াটিও নির্মাণ করেন। ১৮০৩ সালে মন্নুজান মৃত্যুর পূর্বে এই ইমামবাড়াসহ তার সব সম্পত্তি হাজি মোহাম্মদ মহসিনকে দিয়ে দেন। ১৯শে মার্চ ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এ ইমামবাড়াটিকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে।
অবকাঠামো
আয়তাকার আকৃতির মুড়ালী ইমামবাড়াটি সভাকক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হত। এর মোট আয়তন উত্তর ও দক্ষিণে ১৮.২৯ মিটার এবং পূর্ব থেকে পশ্চিমকে ১৫.২৪ মিটার। পুরো কাঠামোটি দশটি স্তম্ভের উপর ভিত্ত করে তৈরি করা হয়েছে যা ৩টি সাড়িতে বিভক্ত।
তথ্যসূত্র
- কল্যাণ। "স্মৃতির স্মারক : আড়াইশ' বছরের ঐতিহ্যবাহী যশোরের 'মুড়লি ইমামবাড়া'"। ২৬ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১৬।
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে হাজী মোহাম্মদ মহসিন ইমামবাড়া সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |