লালসালু (উপন্যাস)
লালসালু সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত একটি উপন্যাস। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালে। এটি বাংলা সাহিত্যের একটি ধ্রুপদী সৃষ্টি।[1] সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ এই উপন্যাসের জন্যে বাংলা একাডেমী পুরস্কার পান।[2]
![]() লালসালু উপন্যাসের প্রচ্ছদ (শোভা প্রকাশ, ২০১২) | |
লেখক | সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ |
---|---|
অনুবাদক | উর্দু ---কলিমুল্লাহ ফরাসি---অ্যান-মারি-থিবো |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
বিষয় | পীর, সমাজ, ধর্ম |
ধরন | মনস্তাত্বিক উপন্যাস |
প্রকাশক | কমরেড পাবলিশার্স (১৯৪৮) |
প্রকাশনার তারিখ | ১৯৪৮ (কমরেড পাবলিশার্স) ১৯৬০ (কথাবিতান) ২০০৬ (নওরোজ কিতাবিস্তান) ২০১২ (অ্যাডর্ন পাবলিকেশন) |
বাংলায় প্রকাশিত | ১৯৬৭ |
মিডিয়া ধরন | চলচ্চিত্র (তানভীর মোকাম্মেল) |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ১১০ |
আইএসবিএন | 9844000165 |
এর পটভূমি ১৯৪০ কিংবা ১৯৫০ দশকের বাংলাদেশের গ্রামসমাজ হলেও এর প্রভাব বা বিস্তার কালোত্তীর্ণ । মূলত গ্রামীণ সমাজের সাধারণ মানুষের সরলতাকে কেন্দ্র করে ধর্মকে ব্যবসার উপাদানরূপে ব্যবহারের একটি নগ্ন চিত্র উপন্যাসটির মূল বিষয়। উপন্যাসটির রচনাকাল ১৯৪৮ সাল। এটি সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর প্রথম উপন্যাস। এটি পরে ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায় অনুবাদ করা হয়।
কাহিনীসংক্ষেপ
প্রকাশনা
লালসালু প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালে ঢাকার কমরেড পাবলিশার্স থেকে।[2] ১৯৬০ সালে কথাবিতান প্রকাশনী বের করে দ্বিতীয় সংস্করণ। পরে নওরোজ কিতাবিস্তান ২০০৬-এ এবং অ্যাডর্ন পাবলিকেশন ২০১২ সালে এটি প্রকাশ করেছে।
১৯৬০ সালে লালসালুর উর্দু অনুবাদ করাচি থেকে প্রকাশিত হয় Lal Shalu নামে। অনুবাদক ছিলেন কলিমুল্লাহ।
১৯৬১ সালে লালসালুর ফরাসী অনুবাদ L Arbre sans racines প্রকাশ করে প্যারিসের Editions du Seuil প্রকাশনী। অনুবাদ করেছিলেন ওয়ালীউল্লাহর সহধর্মিণী অ্যান-মারি-থিবো।[2] ১৯৬৩ সালে এর পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত সংস্করণ প্রকাশিত হয়।
লালসালু উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদ করেন অ্যান-মারি-থিবো, জেফ্রি ডিবিয়ান, কায়সার সাঈদ এবং মালিক খৈয়াম। তবে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ নিজে এতে সম্প্রসারণের কাজ করেন।[3] অনুবাদটি Tree without Roots নামে প্রকাশ করে লন্ডনের Chatto and Windus Ltd., ১৯৬৭ সালে।[4] পরবর্তীতে উপন্যাসটি জার্মান ও চেক ভাষাসহ বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে।[2]
সাহিত্য-সমালোচনা
কবি আহসান হাবীব লালসালুকে বলেছিলেন তৎকালীন "বাঙালি মুসলিম রচিত শ্রেষ্ঠ উপন্যাস"।[5]
চলচ্চিত্ররূপ
২০০১ সালে তানভীর মোকাম্মেলের পরিচালনায় উপন্যাসটি চলচ্চিত্ররূপ লাভ করে। এতে মজিদ চরিত্রে অভিনয় করেন রাইসুল ইসলাম আসাদ।[6] ২০০১ সালে চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র সহ আটটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে।[7] পাশাপাশি দর্শকদের বিচারে এটি শ্রেষ্ঠ ১০টি বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের তালিকায় স্থান পেয়েছে।[8]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- Shafiul Alam। "Waliullah, Syed"। Banglapedia। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৪, ২০১৬।
- নূরুল আমিন। "লালসালু"। বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৪, ২০১৬।
- আখতার ২০০১, পৃ. 10।
- Choudhury, Serajul Islam (২০০৫)। "Introduction" Tree Without Roots। Dhaka, Bangladesh: writers.ink। পৃষ্ঠা ix। আইএসবিএন 984-32-2546-5।
- 'লালসালু' প্রবন্ধ, আহসান হাবীব,আহসান হাবীব রচনাবলী
- "Lalsalu hits cinema halls"। The Daily Star। জুন ২৮, ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৪, ২০১৬।
- Rashed Shawon (আগস্ট ১৪, ২০১২)। "চার দশকে আমাদের সেরা চলচ্চিত্রগুলো"। bdnews24.com। জানুয়ারি ২৭, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৪, ২০১৬।
- "ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট"। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৭।
গ্রন্থপঞ্জী
- অ্যান-মারি-থিবো (২০১০) [2006]। আমার স্বামী ওয়ালীউল্লাহ। ঢাকা: প্রথমা প্রকাশনী।
- আখতার, সৌদা (২০০১)। সৈয়দ ওয়ালীল্লাহর লালসালু ও অন্যান্য প্রবন্ধ। ঢাকা: বাংলা একাডেমী। আইএসবিএন 984-07-4198-5।